আজকের ঘটনায় বিমান বাহিনীর দায় সম্পর্কে আমরা সন্ধ্যায় পোস্ট দিয়েছি। তবে একটি বিষয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন।
খুবই সিরিয়াস একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে- জনবসতিপূর্ণ/আরবান এলাকায় যুদ্ধবিমানের বিপদজনক প্রশিক্ষণ কেন হচ্ছিল?
আসলে এই প্রশ্নটি বিভ্রান্তিকর। নির্দিষ্টভাবে, উত্তরার উপরে কোনো ট্রেনিং/প্রশিক্ষণ হচ্ছিল না। ট্রেনিং সর্টি মুল জনবসতি এলাকার বাইরেই হয়। এটাই স্ট্যান্ডার্ড প্রসিজার। কিন্তু যুদ্ধবিমান থাকে ঘাঁটিতে। ঘাঁটি থেকে উড়ে যেয়ে ডেজিগনেটেড এরিয়াতে প্রশিক্ষণ ফ্লাইট/ম্যানুভার চর্চা করা হয়। অনুশীলন শেষ করে আবার ঘাঁটিতে ফেরত আসা হয়।
এখন কথা হচ্ছে, আজকের বিমানটি মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত হলো কেন? চলুন উত্তর জানার চেষ্টা করি। পোস্টের স্যাটেলাইট ইমেজে খেয়াল করুন। লাল সরলরেখা দেখতে পাচ্ছেন তাই না? সরলরেখার নিচের(দক্ষিণ) দিকে তাকান। রেখার নিচের অংশে দেখতে পাবেন কুর্মিটোলা/এ. কে খন্দকার বিমানঘাঁটির রানওয়ের ল্যান্ডিং অ্যাপ্রোচ। এবার রেখার ঠিক অপর প্রান্তে খেয়াল করুন। উত্তর দিকের প্রান্তে একেবারে সোজাসুজি মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাস অবস্থিত। অর্থাৎ, কোনো বিমান যখন এই ঘাঁটিতে অবতরণ করে, তখন সেই বিমানকে সাধারণত মাইলস্টোন স্কুলের খুব কাছ দিয়ে উড়ে আসতে হয়। রানওয়ে এর সাথে ক্যাম্পাসের অবস্থান এখানে সামান্য কয়েক ডিগ্রি কোণের ব্যবধান।
ISPR থেকে জানানো হয়েছে, আজ FT-7BGI ফাইটার-ট্রেইনার বিমানটি প্রশিক্ষণের জন্য উড্ডয়ন করেছিল। কিন্তু বিমানটি তার প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত এলাকার যাওয়ার আগেই সমস্যার সম্মুখীন হয়। তখন বিমানটি কুর্মিটোলা ঘাঁটিতে ফেরত আসার জন্য দিক বদলায়। আর এ কারণেই বিমানটি যখন ফিরে যাচ্ছিল, তখন অবধারিতভাবেই অবতরণ করার জন্য মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের কাছ/উপর দিয়ে উড়ে যেতে হচ্ছিল। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিমানটি শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ সাইডে রানওয়ে পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। তার কয়েক কিলোমিটার আগেই উড়ানপথে(Flight path) অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটিতে ২টি সিট থাকলেও আজকের ফ্লাইটে পাইলট তৌকির একাই ছিলেন। এখন কিছু কিছু আইডি থেকে বলা হচ্ছে- পরিপূর্ণভাবে ফাইটার পাইলটে কনভার্সনের জন্য "ট্রেইনার ভার্সনে একা চড়ে (Solo fly) করে নাকি আরবান এরিয়াতে উড়তে হয়" পরীক্ষার অংশ হিসাবে। সত্যি বলতে, এমন কোনো নিয়ম সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। সুনির্দিষ্টভাবে "Urban area তে Solo Fly" করা ফাইটার কনভার্সন ট্রেনিং এর কোনো ক্রাইটেরিয়া হয়ে থাকলে দয়া করে আমাদেরকে আপনারা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন। কোনো ফাইটার পাইলট বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
মোট কথা, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব হচ্ছে যে বিমানটি মূলত অবতরণ করতে যেয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ওখানে ট্রেইনিং ফ্লাইট পরিচালনা করছিল তখন ক্র্যাশ করেছে- ব্যাপারটা তা নয়।
সংযোজন- পাইলটের দোষ নেই- এমন বয়ানের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করানো মোটেও এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। স্কুলে বিধ্বস্ত হয়ে এত মানুষের মৃত্যুর পিছনে পাইলটের হাত থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে। যেটি নিয়ে কোনো মতামত দেওয়া হয়নি। বরং ওই নির্দিষ্ট সময়ে বিমানটি কেন ঠিক ওই স্কুলের উপর দিয়েই যাচ্ছিল, সেটির একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর জন্যই এই পোস্ট। পাইলটের কাল্পনিক বীরত্ব প্রচার, বাহিনীর হয়ে সাফাই গাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। আমরা এ বিষয়টি আগেই ক্লিয়ার করেছিলাম গতকাল সন্ধ্যায়-
https://www.facebook.com/100064456424613/posts/1168913685267168/?app=fbl
খুবই সিরিয়াস একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে- জনবসতিপূর্ণ/আরবান এলাকায় যুদ্ধবিমানের বিপদজনক প্রশিক্ষণ কেন হচ্ছিল?
আসলে এই প্রশ্নটি বিভ্রান্তিকর। নির্দিষ্টভাবে, উত্তরার উপরে কোনো ট্রেনিং/প্রশিক্ষণ হচ্ছিল না। ট্রেনিং সর্টি মুল জনবসতি এলাকার বাইরেই হয়। এটাই স্ট্যান্ডার্ড প্রসিজার। কিন্তু যুদ্ধবিমান থাকে ঘাঁটিতে। ঘাঁটি থেকে উড়ে যেয়ে ডেজিগনেটেড এরিয়াতে প্রশিক্ষণ ফ্লাইট/ম্যানুভার চর্চা করা হয়। অনুশীলন শেষ করে আবার ঘাঁটিতে ফেরত আসা হয়।
এখন কথা হচ্ছে, আজকের বিমানটি মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত হলো কেন? চলুন উত্তর জানার চেষ্টা করি। পোস্টের স্যাটেলাইট ইমেজে খেয়াল করুন। লাল সরলরেখা দেখতে পাচ্ছেন তাই না? সরলরেখার নিচের(দক্ষিণ) দিকে তাকান। রেখার নিচের অংশে দেখতে পাবেন কুর্মিটোলা/এ. কে খন্দকার বিমানঘাঁটির রানওয়ের ল্যান্ডিং অ্যাপ্রোচ। এবার রেখার ঠিক অপর প্রান্তে খেয়াল করুন। উত্তর দিকের প্রান্তে একেবারে সোজাসুজি মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাস অবস্থিত। অর্থাৎ, কোনো বিমান যখন এই ঘাঁটিতে অবতরণ করে, তখন সেই বিমানকে সাধারণত মাইলস্টোন স্কুলের খুব কাছ দিয়ে উড়ে আসতে হয়। রানওয়ে এর সাথে ক্যাম্পাসের অবস্থান এখানে সামান্য কয়েক ডিগ্রি কোণের ব্যবধান।
ISPR থেকে জানানো হয়েছে, আজ FT-7BGI ফাইটার-ট্রেইনার বিমানটি প্রশিক্ষণের জন্য উড্ডয়ন করেছিল। কিন্তু বিমানটি তার প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত এলাকার যাওয়ার আগেই সমস্যার সম্মুখীন হয়। তখন বিমানটি কুর্মিটোলা ঘাঁটিতে ফেরত আসার জন্য দিক বদলায়। আর এ কারণেই বিমানটি যখন ফিরে যাচ্ছিল, তখন অবধারিতভাবেই অবতরণ করার জন্য মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের কাছ/উপর দিয়ে উড়ে যেতে হচ্ছিল। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিমানটি শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ সাইডে রানওয়ে পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। তার কয়েক কিলোমিটার আগেই উড়ানপথে(Flight path) অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটিতে ২টি সিট থাকলেও আজকের ফ্লাইটে পাইলট তৌকির একাই ছিলেন। এখন কিছু কিছু আইডি থেকে বলা হচ্ছে- পরিপূর্ণভাবে ফাইটার পাইলটে কনভার্সনের জন্য "ট্রেইনার ভার্সনে একা চড়ে (Solo fly) করে নাকি আরবান এরিয়াতে উড়তে হয়" পরীক্ষার অংশ হিসাবে। সত্যি বলতে, এমন কোনো নিয়ম সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। সুনির্দিষ্টভাবে "Urban area তে Solo Fly" করা ফাইটার কনভার্সন ট্রেনিং এর কোনো ক্রাইটেরিয়া হয়ে থাকলে দয়া করে আমাদেরকে আপনারা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন। কোনো ফাইটার পাইলট বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
মোট কথা, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব হচ্ছে যে বিমানটি মূলত অবতরণ করতে যেয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ওখানে ট্রেইনিং ফ্লাইট পরিচালনা করছিল তখন ক্র্যাশ করেছে- ব্যাপারটা তা নয়।
সংযোজন- পাইলটের দোষ নেই- এমন বয়ানের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করানো মোটেও এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। স্কুলে বিধ্বস্ত হয়ে এত মানুষের মৃত্যুর পিছনে পাইলটের হাত থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে। যেটি নিয়ে কোনো মতামত দেওয়া হয়নি। বরং ওই নির্দিষ্ট সময়ে বিমানটি কেন ঠিক ওই স্কুলের উপর দিয়েই যাচ্ছিল, সেটির একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর জন্যই এই পোস্ট। পাইলটের কাল্পনিক বীরত্ব প্রচার, বাহিনীর হয়ে সাফাই গাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। আমরা এ বিষয়টি আগেই ক্লিয়ার করেছিলাম গতকাল সন্ধ্যায়-
https://www.facebook.com/100064456424613/posts/1168913685267168/?app=fbl
আজকের ঘটনায় বিমান বাহিনীর দায় সম্পর্কে আমরা সন্ধ্যায় পোস্ট দিয়েছি। তবে একটি বিষয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন।
খুবই সিরিয়াস একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে- জনবসতিপূর্ণ/আরবান এলাকায় যুদ্ধবিমানের বিপদজনক প্রশিক্ষণ কেন হচ্ছিল?
আসলে এই প্রশ্নটি বিভ্রান্তিকর। নির্দিষ্টভাবে, উত্তরার উপরে কোনো ট্রেনিং/প্রশিক্ষণ হচ্ছিল না। ট্রেনিং সর্টি মুল জনবসতি এলাকার বাইরেই হয়। এটাই স্ট্যান্ডার্ড প্রসিজার। কিন্তু যুদ্ধবিমান থাকে ঘাঁটিতে। ঘাঁটি থেকে উড়ে যেয়ে ডেজিগনেটেড এরিয়াতে প্রশিক্ষণ ফ্লাইট/ম্যানুভার চর্চা করা হয়। অনুশীলন শেষ করে আবার ঘাঁটিতে ফেরত আসা হয়।
এখন কথা হচ্ছে, আজকের বিমানটি মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত হলো কেন? চলুন উত্তর জানার চেষ্টা করি। পোস্টের স্যাটেলাইট ইমেজে খেয়াল করুন। লাল সরলরেখা দেখতে পাচ্ছেন তাই না? সরলরেখার নিচের(দক্ষিণ) দিকে তাকান। রেখার নিচের অংশে দেখতে পাবেন কুর্মিটোলা/এ. কে খন্দকার বিমানঘাঁটির রানওয়ের ল্যান্ডিং অ্যাপ্রোচ। এবার রেখার ঠিক অপর প্রান্তে খেয়াল করুন। উত্তর দিকের প্রান্তে একেবারে সোজাসুজি মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাস অবস্থিত। অর্থাৎ, কোনো বিমান যখন এই ঘাঁটিতে অবতরণ করে, তখন সেই বিমানকে সাধারণত মাইলস্টোন স্কুলের খুব কাছ দিয়ে উড়ে আসতে হয়। রানওয়ে এর সাথে ক্যাম্পাসের অবস্থান এখানে সামান্য কয়েক ডিগ্রি কোণের ব্যবধান।
ISPR থেকে জানানো হয়েছে, আজ FT-7BGI ফাইটার-ট্রেইনার বিমানটি প্রশিক্ষণের জন্য উড্ডয়ন করেছিল। কিন্তু বিমানটি তার প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত এলাকার যাওয়ার আগেই সমস্যার সম্মুখীন হয়। তখন বিমানটি কুর্মিটোলা ঘাঁটিতে ফেরত আসার জন্য দিক বদলায়। আর এ কারণেই বিমানটি যখন ফিরে যাচ্ছিল, তখন অবধারিতভাবেই অবতরণ করার জন্য মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের কাছ/উপর দিয়ে উড়ে যেতে হচ্ছিল। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিমানটি শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ সাইডে রানওয়ে পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। তার কয়েক কিলোমিটার আগেই উড়ানপথে(Flight path) অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটিতে ২টি সিট থাকলেও আজকের ফ্লাইটে পাইলট তৌকির একাই ছিলেন। এখন কিছু কিছু আইডি থেকে বলা হচ্ছে- পরিপূর্ণভাবে ফাইটার পাইলটে কনভার্সনের জন্য "ট্রেইনার ভার্সনে একা চড়ে (Solo fly) করে নাকি আরবান এরিয়াতে উড়তে হয়" পরীক্ষার অংশ হিসাবে। সত্যি বলতে, এমন কোনো নিয়ম সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। সুনির্দিষ্টভাবে "Urban area তে Solo Fly" করা ফাইটার কনভার্সন ট্রেনিং এর কোনো ক্রাইটেরিয়া হয়ে থাকলে দয়া করে আমাদেরকে আপনারা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন। কোনো ফাইটার পাইলট বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
মোট কথা, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব হচ্ছে যে বিমানটি মূলত অবতরণ করতে যেয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ওখানে ট্রেইনিং ফ্লাইট পরিচালনা করছিল তখন ক্র্যাশ করেছে- ব্যাপারটা তা নয়।
সংযোজন- পাইলটের দোষ নেই- এমন বয়ানের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করানো মোটেও এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। স্কুলে বিধ্বস্ত হয়ে এত মানুষের মৃত্যুর পিছনে পাইলটের হাত থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে। যেটি নিয়ে কোনো মতামত দেওয়া হয়নি। বরং ওই নির্দিষ্ট সময়ে বিমানটি কেন ঠিক ওই স্কুলের উপর দিয়েই যাচ্ছিল, সেটির একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর জন্যই এই পোস্ট। পাইলটের কাল্পনিক বীরত্ব প্রচার, বাহিনীর হয়ে সাফাই গাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। আমরা এ বিষয়টি আগেই ক্লিয়ার করেছিলাম গতকাল সন্ধ্যায়-
https://www.facebook.com/100064456424613/posts/1168913685267168/?app=fbl
0 Comments
0 Shares
234 Views