• চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ব্যবহারকারীদের কয়েক হাজার ব্যক্তিগত কথোপকথন অনলাইনে ফাঁস হয়েছে, যা গুগল সার্চের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এতে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য, পারিবারিক সম্পর্কসহ নানা ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। ওপেনএআই জানিয়েছে, এটি একটি স্বল্পমেয়াদি পরীক্ষার ফল ছিল এবং 'মেক দিস চ্যাট ডিসকভারেবল' অপশনটি এখন মুছে ফেলা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা 'শেয়ার' বাটন ব্যবহারের সময় এই অপশনটি চালু রাখলে তথ্য ফাঁস হতো। ওপেনএআই পরামর্শ দিয়েছে, ব্যবহারকারীরা তাদের শেয়ার করা লিংকগুলো এখন থেকে পর্যালোচনা করে মুছে ফেলতে পারবেন।
    চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ব্যবহারকারীদের কয়েক হাজার ব্যক্তিগত কথোপকথন অনলাইনে ফাঁস হয়েছে, যা গুগল সার্চের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এতে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য, পারিবারিক সম্পর্কসহ নানা ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। ওপেনএআই জানিয়েছে, এটি একটি স্বল্পমেয়াদি পরীক্ষার ফল ছিল এবং 'মেক দিস চ্যাট ডিসকভারেবল' অপশনটি এখন মুছে ফেলা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা 'শেয়ার' বাটন ব্যবহারের সময় এই অপশনটি চালু রাখলে তথ্য ফাঁস হতো। ওপেনএআই পরামর্শ দিয়েছে, ব্যবহারকারীরা তাদের শেয়ার করা লিংকগুলো এখন থেকে পর্যালোচনা করে মুছে ফেলতে পারবেন।
    0 التعليقات 0 المشاركات 85 مشاهدة
  • গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনকে আরও স্মার্ট করতে নিয়ে এসেছে নতুন এআইচালিত ফিচার ‘ওয়েব গাইড’। এটি সার্চ ফলাফলকে আরও সুন্দরভাবে ভাগ করে সাজিয়ে দেবে। যেমন, কোনো বিষয়ে সার্চ করলে প্রথমে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট, এরপর এআই-এর তৈরি সংক্ষিপ্ত সারাংশ এবং সবশেষে বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে ফলাফল দেখানো হবে।

    এই ফিচারটি গুগলের জেমিনি এআই মডেল ব্যবহার করে চালু হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে সাহায্য করবে। বর্তমানে এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে এবং ব্যবহারকারীরা চাইলে গুগল সার্চ ল্যাবস থেকে এটি চালু করতে পারবেন। এর ফলে সময় বাঁচবে এবং ভুল তথ্যের ঝামেলা কমবে বলে গুগল জানিয়েছে।
    গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনকে আরও স্মার্ট করতে নিয়ে এসেছে নতুন এআইচালিত ফিচার ‘ওয়েব গাইড’। এটি সার্চ ফলাফলকে আরও সুন্দরভাবে ভাগ করে সাজিয়ে দেবে। যেমন, কোনো বিষয়ে সার্চ করলে প্রথমে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট, এরপর এআই-এর তৈরি সংক্ষিপ্ত সারাংশ এবং সবশেষে বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে ফলাফল দেখানো হবে। এই ফিচারটি গুগলের জেমিনি এআই মডেল ব্যবহার করে চালু হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে সাহায্য করবে। বর্তমানে এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে এবং ব্যবহারকারীরা চাইলে গুগল সার্চ ল্যাবস থেকে এটি চালু করতে পারবেন। এর ফলে সময় বাঁচবে এবং ভুল তথ্যের ঝামেলা কমবে বলে গুগল জানিয়েছে।
    0 التعليقات 0 المشاركات 82 مشاهدة
  • আপনি যখন চ্যাটজিপিতে একটি করে প্রশ্ন করেন, তখন গড়ে একফোঁটা করে পানি খরচ হয়! আর চ্যাটজিপিটিতে প্রতিদিন গড়ে একশো কোটি মেসেজ পাঠানো হয়! তার মানে প্রতিদিন গড়ে একশো কোটি ফোঁটা পানি শোষণ করে নিচ্ছে চ্যাটজিপিটি!
    অর্থাৎ এআই প্রযুক্তি চালু রাখতে প্রতি মিলি পানির ওপর বিশাল চাপ দেয়া হচ্ছে। আর এই হিসাব শুধু ছোট মডেলগুলোর জন্য! তাহলে ভাবুন তো একবার বড় মডেলগুলোর জন্য কি পরিমাণ পানির খরচ হতে পারে! বড় মডেল যেমন জিপিটি 3 এর মত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র ২০-১০০ টি প্রশ্ন করলেই গড়ে ১ লিটার পানি খরচ হয়ে যায়! চিন্তা করতে পারছেন ভয়াবহতা? (আল্লাহ্ রক্ষা করো)

    এছাড়া আরও আগে থেকেই তো আছে গুগল আর মাইক্রোসফট! গুগল, মাইক্রোসফট ও মেটার রিপোর্ট বলছে - তাদের ডেটা সেন্টার কুলিং সিস্টেমে প্রতি বছর একশো কোটি লিটার পানি ব্যবহৃত হয়!
    আপনি যখন চ্যাটজিপিতে একটি করে প্রশ্ন করেন, তখন গড়ে একফোঁটা করে পানি খরচ হয়! আর চ্যাটজিপিটিতে প্রতিদিন গড়ে একশো কোটি মেসেজ পাঠানো হয়! তার মানে প্রতিদিন গড়ে একশো কোটি ফোঁটা পানি শোষণ করে নিচ্ছে চ্যাটজিপিটি! অর্থাৎ এআই প্রযুক্তি চালু রাখতে প্রতি মিলি পানির ওপর বিশাল চাপ দেয়া হচ্ছে। আর এই হিসাব শুধু ছোট মডেলগুলোর জন্য! তাহলে ভাবুন তো একবার বড় মডেলগুলোর জন্য কি পরিমাণ পানির খরচ হতে পারে! বড় মডেল যেমন জিপিটি 3 এর মত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র ২০-১০০ টি প্রশ্ন করলেই গড়ে ১ লিটার পানি খরচ হয়ে যায়! চিন্তা করতে পারছেন ভয়াবহতা? (আল্লাহ্ রক্ষা করো) এছাড়া আরও আগে থেকেই তো আছে গুগল আর মাইক্রোসফট! গুগল, মাইক্রোসফট ও মেটার রিপোর্ট বলছে - তাদের ডেটা সেন্টার কুলিং সিস্টেমে প্রতি বছর একশো কোটি লিটার পানি ব্যবহৃত হয়!
    0 التعليقات 0 المشاركات 159 مشاهدة
  • গুগলের কথা বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, গুগলের কথা অনুযায়ী, এআই ওভারভিউয়ের জন্যে বিশেষ কিছু করতে হবে না।

    আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ভালো হলেই, সেটা এআই ওভারভিউতে স্থান পাবার সম্ভাবনা বাড়বে।

    ------------

    ট্রাফিক কমছে, কিংবা ইমপ্রেশন বাড়ছে কিন্তু ক্লিক কমছে, সেটা এআই ওভারভিউয়ের দোষ।

    আসলে এটাকেই বাস্তব বলে এগিয়ে যেতে হবে।

    সার্চের ধরন পরিবর্তন হইছে, আল্গরিথম পরিবর্তন হইছে, গুগল এই সুযোগে কন্টেন্ট খেয়ে দেয়ার শার্প বানাইছে।

    আগের মতো আর ক্লিক আসবে না। এভাবে সাধারণ সার্চ রেজাল্ট ধীরে ধীরে আরও ড্রপ করবে।

    তাই এসইওর ধরন পরিবর্তন করতে হবে।

    ------------

    সম্প্রতি গুগলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সারমর্ম এখানে দিলাম।

    At the Search Central Deep Dive event, Gary Illyes from Google confirmed that AI Overviews (AIO) use the same core ranking systems as the traditional organic search results.

    This means that the signals, systems, and overall evaluation, like Helpful Content, E-E-A-T, PageRank, and core ranking algorithms, also apply to what’s surfaced in AI-generated summaries.

    What This Means:

    * SEO best practices still apply to content shown in AI Overviews.

    * You don’t need to create “AIO-optimised” content separately—follow what already works for search.

    * Ranking in the top results is likely a key trigger for inclusion in AI Overviews.

    * Technical SEO, structured data, and strong topical authority are just as important as ever.

    If you’re already doing good SEO, you’re probably already eligible to be featured in AIO.
    গুগলের কথা বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, গুগলের কথা অনুযায়ী, এআই ওভারভিউয়ের জন্যে বিশেষ কিছু করতে হবে না। আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ভালো হলেই, সেটা এআই ওভারভিউতে স্থান পাবার সম্ভাবনা বাড়বে। ------------ ট্রাফিক কমছে, কিংবা ইমপ্রেশন বাড়ছে কিন্তু ক্লিক কমছে, সেটা এআই ওভারভিউয়ের দোষ। আসলে এটাকেই বাস্তব বলে এগিয়ে যেতে হবে। সার্চের ধরন পরিবর্তন হইছে, আল্গরিথম পরিবর্তন হইছে, গুগল এই সুযোগে কন্টেন্ট খেয়ে দেয়ার শার্প বানাইছে। আগের মতো আর ক্লিক আসবে না। এভাবে সাধারণ সার্চ রেজাল্ট ধীরে ধীরে আরও ড্রপ করবে। তাই এসইওর ধরন পরিবর্তন করতে হবে। ------------ সম্প্রতি গুগলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সারমর্ম এখানে দিলাম। At the Search Central Deep Dive event, Gary Illyes from Google confirmed that AI Overviews (AIO) use the same core ranking systems as the traditional organic search results. This means that the signals, systems, and overall evaluation, like Helpful Content, E-E-A-T, PageRank, and core ranking algorithms, also apply to what’s surfaced in AI-generated summaries. What This Means: * SEO best practices still apply to content shown in AI Overviews. * You don’t need to create “AIO-optimised” content separately—follow what already works for search. * Ranking in the top results is likely a key trigger for inclusion in AI Overviews. * Technical SEO, structured data, and strong topical authority are just as important as ever. If you’re already doing good SEO, you’re probably already eligible to be featured in AIO.
    0 التعليقات 0 المشاركات 247 مشاهدة
  • TSMC (Taiwan Semiconductor Manufacturing Company) — নামটি শুনে সাধারণ অনেকেই ভাবেন, এটি বোধহয় আরেকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
    কিন্তু বাস্তবে, এই কোম্পানিটি পুরো আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র।
    আপনি যেই স্মার্টফোনটা হাতে ধরেছেন, ল্যাপটপ, গাড়ি, ড্রোন, এআই চিপ—সবকিছুর মস্তিষ্ক অর্থাৎ ‘চিপ’ তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানই।
    TSMC ছাড়া আজকের প্রযুক্তির গতি যেন অক্সিজেন ছাড়াই দৌড়ানোর চেষ্টা।

    বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান?

    TSMC শুধুমাত্র তাইওয়ান নয়, বরং সারা বিশ্বের ৫০% এর বেশি অ্যাডভান্সড চিপ একা তৈরি করে।
    বিশেষ করে Apple, AMD, Nvidia, Qualcomm, Intel-এর মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলো তাদের চিপ ডিজাইন TSMC-কে দেয় এবং TSMC সেই ডিজাইন অনুযায়ী ন্যানো-স্কেলে চিপ বানায়।
    এটাই বলা হয়, “Apple হয়তো চিপ ডিজাইন করে, কিন্তু তা প্রাণ পায় TSMC-র স্পর্শে।”

    এআই যুগে TSMC-এর গুরুত্ব

    বর্তমানে AI (Artificial Intelligence) ভিত্তিক যেসব সুপার কম্পিউটার, ডেটা সেন্টার, এবং স্মার্ট ডিভাইস চলছে—তাদের চিপের ৭০% এর বেশি বানিয়েছে TSMC।
    বিশ্বজুড়ে AI-চালিত ভবিষ্যতের যত সম্ভাবনা, তার প্রায় সবই TSMC-এর সিলিকন জাদুর উপর নির্ভর করে।

    কেন পশ্চিমা বিশ্ব TSMC-এর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত?

    TSMC-এর প্রধান কারখানাগুলো তাইওয়ানে অবস্থিত।
    আর তাইওয়ান-চীন উত্তেজনার কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে পুরো পৃথিবীর চিপ সাপ্লাই থমকে যাবে।
    এই আশঙ্কায় আমেরিকা, জাপান, জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশ TSMC-কে নিজেদের দেশে কারখানা তৈরির জন্য বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিচ্ছে।

    বাজারমূল্যে রেকর্ড

    TSMC-এর বাজারমূল্য প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার, যা একে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কিছু কোম্পানির কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে।
    এটি এমন একটি কোম্পানি, যা অদৃশ্যভাবে সারা বিশ্বের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করছে।

    TSMC কোনো সাধারণ কোম্পানি নয়।
    এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অন্তরালে নিরব but অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে।
    যদি একদিন TSMC থেমে যায়, তাহলে থেমে যাবে আপনার ফোন, আপনার ল্যাপটপ, এমনকি আপনার গাড়িও!

    তাই বলা হয়—TSMC মানেই আধুনিক বিশ্বের ‘সিলিকন হৃদয়’।
    এটি কেবল একটি কোম্পানি নয়, বরং ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি।

    লেখায়-ফ্লোরা
    TSMC (Taiwan Semiconductor Manufacturing Company) — নামটি শুনে সাধারণ অনেকেই ভাবেন, এটি বোধহয় আরেকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাস্তবে, এই কোম্পানিটি পুরো আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র। আপনি যেই স্মার্টফোনটা হাতে ধরেছেন, ল্যাপটপ, গাড়ি, ড্রোন, এআই চিপ—সবকিছুর মস্তিষ্ক অর্থাৎ ‘চিপ’ তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানই। TSMC ছাড়া আজকের প্রযুক্তির গতি যেন অক্সিজেন ছাড়াই দৌড়ানোর চেষ্টা। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান? TSMC শুধুমাত্র তাইওয়ান নয়, বরং সারা বিশ্বের ৫০% এর বেশি অ্যাডভান্সড চিপ একা তৈরি করে। বিশেষ করে Apple, AMD, Nvidia, Qualcomm, Intel-এর মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলো তাদের চিপ ডিজাইন TSMC-কে দেয় এবং TSMC সেই ডিজাইন অনুযায়ী ন্যানো-স্কেলে চিপ বানায়। এটাই বলা হয়, “Apple হয়তো চিপ ডিজাইন করে, কিন্তু তা প্রাণ পায় TSMC-র স্পর্শে।” এআই যুগে TSMC-এর গুরুত্ব বর্তমানে AI (Artificial Intelligence) ভিত্তিক যেসব সুপার কম্পিউটার, ডেটা সেন্টার, এবং স্মার্ট ডিভাইস চলছে—তাদের চিপের ৭০% এর বেশি বানিয়েছে TSMC। বিশ্বজুড়ে AI-চালিত ভবিষ্যতের যত সম্ভাবনা, তার প্রায় সবই TSMC-এর সিলিকন জাদুর উপর নির্ভর করে। কেন পশ্চিমা বিশ্ব TSMC-এর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত? TSMC-এর প্রধান কারখানাগুলো তাইওয়ানে অবস্থিত। আর তাইওয়ান-চীন উত্তেজনার কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে পুরো পৃথিবীর চিপ সাপ্লাই থমকে যাবে। এই আশঙ্কায় আমেরিকা, জাপান, জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশ TSMC-কে নিজেদের দেশে কারখানা তৈরির জন্য বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিচ্ছে। বাজারমূল্যে রেকর্ড TSMC-এর বাজারমূল্য প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার, যা একে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কিছু কোম্পানির কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে। এটি এমন একটি কোম্পানি, যা অদৃশ্যভাবে সারা বিশ্বের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করছে। TSMC কোনো সাধারণ কোম্পানি নয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অন্তরালে নিরব but অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে। যদি একদিন TSMC থেমে যায়, তাহলে থেমে যাবে আপনার ফোন, আপনার ল্যাপটপ, এমনকি আপনার গাড়িও! তাই বলা হয়—TSMC মানেই আধুনিক বিশ্বের ‘সিলিকন হৃদয়’। এটি কেবল একটি কোম্পানি নয়, বরং ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি। লেখায়-ফ্লোরা
    0 التعليقات 0 المشاركات 164 مشاهدة
  • ক্রীড়া ও শিল্প জগতের এক অভাবনীয় সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (১৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার) মূল্যে বিক্রি হয়েছে লিওনেল মেসির পছন্দের একটি গোলের ডিজিটাল শিল্পকর্ম! তুর্কি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিল্পী রেফিক আনাদোল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এই অনন্য শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন, যার নাম ‘অ্যা গোল ইন লাইফ: মেসি x রেফিক আনাদোল’। ব্রিটেনের স্বনামধন্য নিলাম প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিস্টিস’-এর নিলামে গতকাল এই চিত্রকর্মটি বিক্রি হয়েছে। তবে, নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রেতার নাম প্রকাশ করেনি।

    দাতব্য কাজে ব্যবহৃত হবে বিক্রির অর্থ
    এই শিল্পকর্ম বিক্রির পুরো অর্থই ইন্টার মিয়ামি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে। ফাউন্ডেশনটি বিভিন্ন দাতব্য কাজে অর্থ ব্যয় করে, যার মধ্যে আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, এল সালভাদর, হন্ডুরাস ও হাইতিতে শিক্ষার প্রসারে ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

    শিল্পীর ভাবনা: "খেলার সঙ্গে শিল্পের সাক্ষাৎ"
    নিলামের আগে ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিল্পী আনাদোল জানান, তার ইচ্ছা ছিল এই শিল্পকর্ম যেন কোনো ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় হারিয়ে না যায়। তিনি যুক্তি দেন, “এটা শুধু দুজন ব্যক্তির মাঝে সংযোগ নয়, এটা দুটি বিভাগের মাঝে সংলাপও। শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীর সাক্ষাৎ নয়, খেলার সঙ্গে শিল্পের সাক্ষাৎ। এ কারণেই এটা এত সতেজ ও শক্তিশালী।”

    বিভিন্ন যন্ত্র ও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আনাদোল কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে মেসির পছন্দের গোলটির ত্রিমাত্রিক রূপ দিয়েছেন।

    মেসির পছন্দের গোল: ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল
    আনাদোল যে গোলটিকে শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করেছেন, সেটি ছিল ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের গোল। রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেডে সেই গোলটি করেছিলেন মেসি। তখন তিনি পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনার ‘ড্রিম টিম’-এর ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭০ মিনিটে জাভি হার্নান্দেজের ক্রস থেকে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার মেসি লাফিয়ে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডের (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) চেয়েও বেশি উচ্চতায় উঠে হেডে গোলটি করেছিলেন। মেসি এতটাই ওপরে উঠেছিলেন যে তার পা থেকে বুটও খসে গিয়েছিল।

    এই গোলটি যে মেসির পছন্দের গোল, তা তিনি কয়েক মাস আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যা এখনো প্রকাশিত হয়নি। মেসি সেখানে বলেছিলেন, "(পছন্দের গোল হিসেবে কোনো) একটা বেছে নেওয়া কঠিন, কারণ অনেক (গোল) আছে। ওই গোলটি আমার পছন্দের। এটা সবচেয়ে সুন্দর ও অনন্য। কারণ হেডে করেছি, লাফিয়ে অনেক উঁচুতে উঠেছিলাম যেটা আমার ক্ষেত্রে বিরল।"

    এক নতুন দিগন্ত
    নিলামের পর কিউরেটর জিমেনা কামিনোস বলেছেন, "মেসির সবচেয়ে পছন্দের গোল থেকে এমন শিল্পকর্ম তৈরি হবে, সেটা শুধু হাজারো দর্শকদের আনন্দ দেবে না, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও এগিয়ে নেবে।" ক্রিস্টিসের ১০ম আর্ট+টেক সম্মেলনে গত ১২ জুলাই থেকে তাদের নিউইয়র্ক শাখায় এই শিল্পকর্মটি প্রদর্শিত হয়েছে। নিলাম প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সেলসের ব্যবস্থাপক সেবাস্তিয়ান সানচেজ জানান, ১৫ লাখ ডলার থেকে এই শিল্পকর্মের দাম হাঁকা শুরু হয়। ২০২২ বিশ্বকাপে মেসি যে ছয়টি জার্সি পরেছিলেন সেগুলো গত বছর খেলাধুলায় সবচেয়ে দামি স্মারক হিসেবে ৭৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
    ক্রীড়া ও শিল্প জগতের এক অভাবনীয় সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (১৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার) মূল্যে বিক্রি হয়েছে লিওনেল মেসির পছন্দের একটি গোলের ডিজিটাল শিল্পকর্ম! তুর্কি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিল্পী রেফিক আনাদোল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এই অনন্য শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন, যার নাম ‘অ্যা গোল ইন লাইফ: মেসি x রেফিক আনাদোল’। ব্রিটেনের স্বনামধন্য নিলাম প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিস্টিস’-এর নিলামে গতকাল এই চিত্রকর্মটি বিক্রি হয়েছে। তবে, নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রেতার নাম প্রকাশ করেনি। দাতব্য কাজে ব্যবহৃত হবে বিক্রির অর্থ এই শিল্পকর্ম বিক্রির পুরো অর্থই ইন্টার মিয়ামি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে। ফাউন্ডেশনটি বিভিন্ন দাতব্য কাজে অর্থ ব্যয় করে, যার মধ্যে আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, এল সালভাদর, হন্ডুরাস ও হাইতিতে শিক্ষার প্রসারে ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শিল্পীর ভাবনা: "খেলার সঙ্গে শিল্পের সাক্ষাৎ" নিলামের আগে ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিল্পী আনাদোল জানান, তার ইচ্ছা ছিল এই শিল্পকর্ম যেন কোনো ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় হারিয়ে না যায়। তিনি যুক্তি দেন, “এটা শুধু দুজন ব্যক্তির মাঝে সংযোগ নয়, এটা দুটি বিভাগের মাঝে সংলাপও। শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীর সাক্ষাৎ নয়, খেলার সঙ্গে শিল্পের সাক্ষাৎ। এ কারণেই এটা এত সতেজ ও শক্তিশালী।” বিভিন্ন যন্ত্র ও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আনাদোল কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে মেসির পছন্দের গোলটির ত্রিমাত্রিক রূপ দিয়েছেন। মেসির পছন্দের গোল: ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল আনাদোল যে গোলটিকে শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করেছেন, সেটি ছিল ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের গোল। রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেডে সেই গোলটি করেছিলেন মেসি। তখন তিনি পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনার ‘ড্রিম টিম’-এর ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭০ মিনিটে জাভি হার্নান্দেজের ক্রস থেকে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার মেসি লাফিয়ে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডের (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) চেয়েও বেশি উচ্চতায় উঠে হেডে গোলটি করেছিলেন। মেসি এতটাই ওপরে উঠেছিলেন যে তার পা থেকে বুটও খসে গিয়েছিল। এই গোলটি যে মেসির পছন্দের গোল, তা তিনি কয়েক মাস আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যা এখনো প্রকাশিত হয়নি। মেসি সেখানে বলেছিলেন, "(পছন্দের গোল হিসেবে কোনো) একটা বেছে নেওয়া কঠিন, কারণ অনেক (গোল) আছে। ওই গোলটি আমার পছন্দের। এটা সবচেয়ে সুন্দর ও অনন্য। কারণ হেডে করেছি, লাফিয়ে অনেক উঁচুতে উঠেছিলাম যেটা আমার ক্ষেত্রে বিরল।" এক নতুন দিগন্ত নিলামের পর কিউরেটর জিমেনা কামিনোস বলেছেন, "মেসির সবচেয়ে পছন্দের গোল থেকে এমন শিল্পকর্ম তৈরি হবে, সেটা শুধু হাজারো দর্শকদের আনন্দ দেবে না, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও এগিয়ে নেবে।" ক্রিস্টিসের ১০ম আর্ট+টেক সম্মেলনে গত ১২ জুলাই থেকে তাদের নিউইয়র্ক শাখায় এই শিল্পকর্মটি প্রদর্শিত হয়েছে। নিলাম প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সেলসের ব্যবস্থাপক সেবাস্তিয়ান সানচেজ জানান, ১৫ লাখ ডলার থেকে এই শিল্পকর্মের দাম হাঁকা শুরু হয়। ২০২২ বিশ্বকাপে মেসি যে ছয়টি জার্সি পরেছিলেন সেগুলো গত বছর খেলাধুলায় সবচেয়ে দামি স্মারক হিসেবে ৭৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
    0 التعليقات 0 المشاركات 194 مشاهدة
  • কোথায় আপনার রিসার্স পেপার পাবলিশ করবেন?
    আপনার গবেষণাপত্রের জন্য মানানসই জার্নাল খুঁজে বের করা বেশ সময়সাপেক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনার গবেষণার বিষয়বস্তু, এর মান এবং আপনি কোন ধরনের পাঠকশ্রেণীর কাছে পৌঁছাতে চান, তার ওপর নির্ভর করে জার্নাল নির্বাচন করা উচিত। এই ধাপে ধাপে সাজানো তালিকাটি আপনাকে বিভিন্ন বিষয়শ্রেণী এবং দেশভিত্তিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নালের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। এটি আপনাকে আপনার পছন্দের ক্ষেত্র এবং ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সঠিক প্রকাশনার পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
    ১. বহু-বিষয়ক (Multi-disciplinary) জার্নাল
    এই ক্যাটাগরির জার্নালগুলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে যুগান্তকারী এবং উচ্চ-প্রভাবশালী গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এদের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর (Impact Factor) সাধারণত অনেক বেশি হয় এবং বিশ্বব্যাপী এদের পরিচিতি রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA):
    প্রথমেই আমরা Science জার্নালটির কথা বলতে পারি। এটি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স (AAAS) দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.science.org/
    এছাড়াও, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (National Academy of Sciences) দ্বারা প্রকাশিত Proceedings of the National Academy of Sciences (PNAS) একটি উল্লেখযোগ্য জার্নাল। এটি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন মৌলিক গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.pnas.org/
    ইউরোপ (Europe):
    বিশ্বখ্যাত Nature জার্নালটি Springer Nature (জার্মানি-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য পরিচিত। আপনি তাদের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন: https://www.nature.com/
    Nature পরিবারেরই আরেকটি ওপেন-অ্যাক্সেস জার্নাল হলো Scientific Reports। এটিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমস্ত ক্ষেত্রে গবেষণা প্রকাশ করে এবং তাদের ওয়েবসাইট হলো: https://www.nature.com/srep/
    ২. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (Computer Science & Engineering)
    কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল গবেষণা প্রকাশের জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু নামকরা জার্নাল রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA):
    অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (ACM) এর অধীনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল রয়েছে, যেমন Journal of the ACM (JACM), ACM Computing Surveys, এবং গ্রাফিক্স সম্পর্কিত ACM Transactions on Graphics (TOG)। আপনি তাদের প্রকাশনাগুলো দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইটে: https://www.acm.org/publications/journals
    ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE) এর জার্নালগুলোও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, IEEE Transactions on Pattern Analysis and Machine Intelligence (TPAMI), IEEE Communications Magazine, এবং IEEE Transactions on Computers অন্যতম। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে পাওয়া যাবে: https://www.ieee.org/publications/index.html
    ইউরোপ (Europe):
    এলসেভিয়ার (Elsevier, নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) কর্তৃক প্রকাশিত Artificial Intelligence কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণার জন্য অন্যতম শীর্ষ জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/artificial-intelligence
    তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে Springer (জার্মানি-ভিত্তিক) এর Acta Informatica জার্নালটি। আপনি এটি এখানে খুঁজে পাবেন: https://link.springer.com/journal/236
    জাপান (Japan):
    দ্য ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার্স (IEICE) এর IEICE Transactions on Information and Systems তথ্য ও সিস্টেম সম্পর্কিত গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.ieice.org/eng/publications/trans_e.html
    ৩. চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য (Medical Sciences & Health)
    চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহু প্রভাবশালী জার্নাল রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA):
    ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল সোসাইটি (Massachusetts Medical Society) প্রকাশিত The New England Journal of Medicine (NEJM) চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম প্রভাবশালী এবং পুরনো জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.nejm.org/
    আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (American Medical Association) এর JAMA (Journal of the American Medical Association) সাধারণ চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://jamanetwork.com/journals/jama
    আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স (American College of Physicians) এর Annals of Internal Medicine অভ্যন্তরীণ চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি শীর্ষ জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.acpjournals.org/journal/aim
    যুক্তরাজ্য (UK):
    বিশ্বখ্যাত The BMJ (পূর্বে British Medical Journal) BMJ Publishing Group Ltd দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এটি একটি অত্যন্ত সম্মানিত সাধারণ চিকিৎসা জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.bmj.com/
    যদিও এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত, The Lancet ইউকেতে প্রতিষ্ঠিত এবং এর বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। এটি একটি উচ্চ-প্রভাবশালী চিকিৎসা জার্নাল যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যা এবং গবেষণায় মনোযোগ দেয়। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.thelancet.com/
    অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (Oxford University Press) প্রকাশিত British Medical Bulletin চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ-মানের রিভিউ প্রকাশ করে। আপনি এটি এখানে দেখতে পারেন: https://academic.oup.com/bmb
    ইউরোপ (Europe):
    কার্ডিওলজির অন্যতম শীর্ষ জার্নাল হলো European Heart Journal। এটিও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও ইউরোপীয় ফোকাস রয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট: https://academic.oup.com/eurheartj
    ৪. অর্থনীতি ও ব্যবসা (Economics & Business)
    অর্থনীতি ও ব্যবসা সম্পর্কিত গবেষণার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল নিচে দেওয়া হলো।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA):
    আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন (American Economic Association) এর American Economic Review অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা প্রকাশের জন্য সুপরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.aeaweb.org/journals/aer
    আমেরিকান ফিনান্স অ্যাসোসিয়েশন (American Finance Association) এর Journal of Finance ফিনান্সের অন্যতম শীর্ষ জার্নাল, যা Wiley দ্বারা প্রকাশিত হয়। আপনি এটি এখানে পাবেন: https://onlinelibrary.wiley.com/journal/15406261
    এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও শক্তিশালী মার্কিন উপস্থিতি সহ, Journal of Business Research ব্যবসা গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/journal-of-business...
    জার্মানি (Germany):
    Verein für Socialpolitik দ্বারা প্রকাশিত German Economic Review (Wiley দ্বারা পরিবেশিত) জার্মান অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক নীতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://onlinelibrary.wiley.com/journal/14680475
    কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি (Kiel Institute for the World Economy) এবং Springer দ্বারা প্রকাশিত Review of World Economics আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে গবেষণা প্রকাশ করে। আপনি এটি এখানে পাবেন: https://link.springer.com/journal/10290
    Springer (জার্মানি-ভিত্তিক) এর Journal of Population Economics জনসংখ্যা অর্থনীতির উপর গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://link.springer.com/journal/148
    ইউরোপ (General / Other European Countries):
    এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) এর European Economic Review ইউরোপীয় অর্থনীতির গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/european-economic-review
    ৫. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science)
    পরিবেশ বিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, এবং এর গবেষণার জন্য অনেক সুপরিচিত জার্নাল রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA):
    আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (ACS Publications) এর Environmental Science & Technology পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রণী গবেষণা প্রকাশের জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://pubs.acs.org/journal/esthag
    আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স (AAAS) এর Science Advances সমস্ত বৈজ্ঞানিক বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করে, যার মধ্যে পরিবেশ বিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.science.org/journal/sciadv
    যুক্তরাজ্য (UK):
    এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Environmental Pollution জার্নালটির ইউকেতে শক্তিশালী অবদান রয়েছে। এটি পরিবেশ দূষণ এবং এর প্রভাব নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/environmental-pollution
    অস্ট্রালিয়া (Australia):
    CSIRO Publishing এর অধীনে CSIRO PUBLISHING - Natural Environment Journals পরিবেশ বিজ্ঞানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছে Australian Journal of Botany, Environmental Chemistry, এবং Marine and Freshwater Research। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে পাওয়া যাবে: https://www.publish.csiro.au/journals/NaturalEnvironment
    টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Australasian Journal of Environmental Management (AJEM) অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.eianz.org/.../australasian-journal-of...
    ইউরোপ (Europe):
    এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) এর Science of the Total Environment পরিবেশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/science-of-the-total...
    নবায়নযোগ্য শক্তি এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার উপর পর্যালোচনা প্রকাশের জন্য Renewable and Sustainable Energy Reviews জার্নালটি সুপরিচিত। এটিও এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হয়। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/renewable-and...
    ৬. মানবিক (Humanities)
    মানবিক শাখার গবেষণার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য জার্নাল নিচে দেওয়া হলো।
    যুক্তরাজ্য (UK):
    বার্কবেক, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন (Birkbeck, University of London) এর ওপেন অ্যাক্সেস উদ্যোগ Open Library of Humanities (OLH) Journals এর অধীনে Architectural Histories (ইউরোপীয় ফোকাস) এবং C21 Literature: Journal of 21st-Century Writings (ব্রিটিশ ফোকাস) এর মতো জার্নালগুলো অন্তর্ভুক্ত। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে দেখা যাবে: https://www.openlibhums.org/journals/
    SAGE Publications (মার্কিন-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Journal of European Studies ইউরোপীয় সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসে গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.sagepub.com/home/jes
    আয়ারল্যান্ড (Ireland):
    রয়্যাল আইরিশ অ্যাকাডেমি (Royal Irish Academy) এর জার্নালগুলো আইরিশ ইতিহাস, সাহিত্য এবং অন্যান্য মানবিক বিষয়ে আলোকপাত করে। উদাহরণস্বরূপ, Ériu (আইরিশ ফিলোলজি ও সাহিত্যের উপর), Irish Studies in International Affairs, এবং Proceedings of the Royal Irish Academy: Archaeology, Culture, History, Literature। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.ria.ie/publishing-house/journals/
    ৭. পদার্থবিদ্যা (Physics)
    পদার্থবিদ্যা গবেষণার জন্য কিছু প্রখ্যাত জার্নাল নিচে উল্লেখ করা হলো।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA):
    আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি (APS) এর Physical Review Letters (PRL) পদার্থবিজ্ঞানের সকল শাখায় মৌলিক গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.aps.org/prl/
    একই প্রকাশকের Physical Review D কণা পদার্থবিদ্যা, ক্ষেত্র তত্ত্ব, মহাকর্ষ এবং কসমোলজির উপর গভীর গবেষণা প্রকাশ করে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://journals.aps.org/prd/
    যদিও IOP Publishing (ইউকে-ভিত্তিক) এবং আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি (American Astronomical Society) দ্বারা প্রকাশিত, The Astrophysical Journal এর মার্কিন উপস্থিতি শক্তিশালী এবং এটি জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওয়েবসাইট: https://iopscience.iop.org/journal/1538-4357
    জাপান (Japan):
    দ্য ফিজিক্যাল সোসাইটি অফ জাপান (The Physical Society of Japan) এর Journal of the Physical Society of Japan (JPSJ) জাপানের প্রধান পদার্থবিদ্যা জার্নাল, যা বিভিন্ন শাখায় গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://jpsj.jps.or.jp/
    IOP Publishing (ইউকে-ভিত্তিক) এবং Japan Society of Applied Physics দ্বারা প্রকাশিত Japanese Journal of Applied Physics (JJAP) ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য সুপরিচিত। এটি এখানে দেখা যাবে: https://iopscience.iop.org/journal/1347-4065
    অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে-ভিত্তিক) এবং Physical Society of Japan দ্বারা প্রকাশিত Progress of Theoretical and Experimental Physics (PTEP) তাত্ত্বিক ও পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://academic.oup.com/ptep
    ৮. সামাজিক বিজ্ঞান (Social Sciences)
    সামাজিক বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু নামকরা জার্নাল রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA):
    আমেরিকান সোশিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (ASA) এর American Sociological Review সমাজবিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.asanet.org/journals/asr
    ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস (University of Chicago Press) এর Journal of Political Economy অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের পদ্ধতিগত অধ্যয়ন নিয়ে কাজ করে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.journals.uchicago.edu/toc/jpe/current
    ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন প্রেস (University of Wisconsin Press) এর Journal of Human Resources শ্রম অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://uwpress.wisc.edu/journals/journals/jhr.html
    যুক্তরাজ্য (UK):
    টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (Taylor & Francis Group) এর Journal of Risk Research ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং সম্পর্কিত সামাজিক দিক নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.tandfonline.com/loi/rjrr20
    একই প্রকাশকের Journalism Studies জার্নালটি সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম অধ্যয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এটি এখানে দেখতে পারেন: https://www.tandfonline.com/loi/rjou20
    ইউরোপ (Europe):
    টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, European Review of Social Psychology ইউরোপে সামাজিক মনোবিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.tandfonline.com/loi/pers20
    ইউরোপীয় পাবলিক পলিসি সম্পর্কিত গবেষণার জন্য Journal of European Public Policy একটি গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল। এটিও টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.tandfonline.com/loi/rjpp20
    SAGE Publications (মার্কিন-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, European Union Politics ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর রাজনীতি নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.sagepub.com/home/eup
    এই বিশদ তালিকাটি আপনার গবেষণার জন্য উপযুক্ত জার্নাল খুঁজে পেতে একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করবে। মনে রাখবেন, প্রতিটি জার্নালের 'লক্ষ্য ও পরিধি' (Aims & Scope), প্রকাশনা ফি (যদি প্রযোজ্য হয়), এবং পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার গবেষণার জন্য শুভকামনা!
    আপনার গবেষণার বিশ্বজোড়া ঠিকানা: বিষয় ও দেশভিত্তিক জার্নাল পরিচিতি
    আপনার গবেষণাপত্রের জন্য মানানসই জার্নাল খুঁজে বের করা বেশ সময়সাপেক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনার গবেষণার বিষয়বস্তু, এর মান এবং আপনি কোন ধরনের পাঠকশ্রেণীর কাছে পৌঁছাতে চান, তার ওপর নির্ভর করে জার্নাল নির্বাচন করা উচিত। এই ধাপে ধাপে সাজানো তালিকাটি আপনাকে বিভিন্ন বিষয়শ্রেণী এবং দেশভিত্তিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নালের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। এটি আপনাকে আপনার পছন্দের ক্ষেত্র এবং ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সঠিক প্রকাশনার পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
    ১. বহু-বিষয়ক (Multi-disciplinary) জার্নাল
    এই ক্যাটাগরির জার্নালগুলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে যুগান্তকারী এবং উচ্চ-প্রভাবশালী গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এদের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর (Impact Factor) সাধারণত অনেক বেশি হয় এবং বিশ্বব্যাপী এদের পরিচিতি রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA): প্রথমেই আমরা Science জার্নালটির কথা বলতে পারি। এটি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স (AAAS) দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. science. org/
    এছাড়াও, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (National Academy of Sciences) দ্বারা প্রকাশিত Proceedings of the National Academy of Sciences (PNAS) একটি উল্লেখযোগ্য জার্নাল। এটি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন মৌলিক গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. pnas. org/
    ইউরোপ (Europe): বিশ্বখ্যাত Nature জার্নালটি Springer Nature (জার্মানি-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য পরিচিত। আপনি তাদের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন: https://www. nature. com/
    Nature পরিবারেরই আরেকটি ওপেন-অ্যাক্সেস জার্নাল হলো Scientific Reports। এটিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমস্ত ক্ষেত্রে গবেষণা প্রকাশ করে এবং তাদের ওয়েবসাইট হলো: https://www. nature.com/srep/
    ২. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (Computer Science & Engineering)
    কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল গবেষণা প্রকাশের জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু নামকরা জার্নাল রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA): অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (ACM) এর অধীনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল রয়েছে, যেমন Journal of the ACM (JACM), ACM Computing Surveys, এবং গ্রাফিক্স সম্পর্কিত ACM Transactions on Graphics (TOG)। আপনি তাদের প্রকাশনাগুলো দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইটে: https://www.acm. org/publications/journals
    ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE) এর জার্নালগুলোও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, IEEE Transactions on Pattern Analysis and Machine Intelligence (TPAMI), IEEE Communications Magazine, এবং IEEE Transactions on Computers অন্যতম। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে পাওয়া যাবে: https://www.ieee. org/publications/index.html
    ইউরোপ (Europe): এলসেভিয়ার (Elsevier, নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) কর্তৃক প্রকাশিত Artificial Intelligence কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণার জন্য অন্যতম শীর্ষ জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. journals.elsevier.com/artificial-intelligence
    তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে Springer (জার্মানি-ভিত্তিক) এর Acta Informatica জার্নালটি। আপনি এটি এখানে খুঁজে পাবেন: https://link.springer. com/journal/236
    জাপান (Japan): দ্য ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার্স (IEICE) এর IEICE Transactions on Information and Systems তথ্য ও সিস্টেম সম্পর্কিত গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.ieice. org/eng/publications/trans_e.html
    ৩. চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য (Medical Sciences & Health)
    চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহু প্রভাবশালী জার্নাল রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA): ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল সোসাইটি (Massachusetts Medical Society) প্রকাশিত The New England Journal of Medicine (NEJM) চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম প্রভাবশালী এবং পুরনো জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. nejm.org/
    আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (American Medical Association) এর JAMA (Journal of the American Medical Association) সাধারণ চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://jamanetwork. com/journals/jama
    আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স (American College of Physicians) এর Annals of Internal Medicine অভ্যন্তরীণ চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি শীর্ষ জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.acpjournals. org/journal/aim
    যুক্তরাজ্য (UK): বিশ্বখ্যাত The BMJ (পূর্বে British Medical Journal) BMJ Publishing Group Ltd দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এটি একটি অত্যন্ত সম্মানিত সাধারণ চিকিৎসা জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. bmj.com/
    যদিও এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত, The Lancet ইউকেতে প্রতিষ্ঠিত এবং এর বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। এটি একটি উচ্চ-প্রভাবশালী চিকিৎসা জার্নাল যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যা এবং গবেষণায় মনোযোগ দেয়। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.thelancet. com/
    অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (Oxford University Press) প্রকাশিত British Medical Bulletin চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ-মানের রিভিউ প্রকাশ করে। আপনি এটি এখানে দেখতে পারেন: https://academic.oup. com/bmb
    ইউরোপ (Europe): কার্ডিওলজির অন্যতম শীর্ষ জার্নাল হলো European Heart Journal। এটিও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও ইউরোপীয় ফোকাস রয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট: https://academic.oup. com/eurheartj
    ৪. অর্থনীতি ও ব্যবসা (Economics & Business)
    অর্থনীতি ও ব্যবসা সম্পর্কিত গবেষণার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল নিচে দেওয়া হলো।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন (American Economic Association) এর American Economic Review অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা প্রকাশের জন্য সুপরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.aeaweb. org/journals/aer
    আমেরিকান ফিনান্স অ্যাসোসিয়েশন (American Finance Association) এর Journal of Finance ফিনান্সের অন্যতম শীর্ষ জার্নাল, যা Wiley দ্বারা প্রকাশিত হয়। আপনি এটি এখানে পাবেন: https://onlinelibrary.wiley. com/journal/15406261
    এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও শক্তিশালী মার্কিন উপস্থিতি সহ, Journal of Business Research ব্যবসা গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/journal-of-business-research
    জার্মানি (Germany): Verein für Socialpolitik দ্বারা প্রকাশিত German Economic Review (Wiley দ্বারা পরিবেশিত) জার্মান অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক নীতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://onlinelibrary.wiley. com/journal/14680475
    কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি (Kiel Institute for the World Economy) এবং Springer দ্বারা প্রকাশিত Review of World Economics আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে গবেষণা প্রকাশ করে। আপনি এটি এখানে পাবেন: https://link.springer. com/journal/10290
    Springer (জার্মানি-ভিত্তিক) এর Journal of Population Economics জনসংখ্যা অর্থনীতির উপর গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://link.springer. com/journal/148
    ইউরোপ (General / Other European Countries): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) এর European Economic Review ইউরোপীয় অর্থনীতির গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/european-economic-review
    ৫. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science)
    পরিবেশ বিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, এবং এর গবেষণার জন্য অনেক সুপরিচিত জার্নাল রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (ACS Publications) এর Environmental Science & Technology পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রণী গবেষণা প্রকাশের জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://pubs.acs. org/journal/esthag
    আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স (AAAS) এর Science Advances সমস্ত বৈজ্ঞানিক বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করে, যার মধ্যে পরিবেশ বিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.science. org/journal/sciadv
    যুক্তরাজ্য (UK): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Environmental Pollution জার্নালটির ইউকেতে শক্তিশালী অবদান রয়েছে। এটি পরিবেশ দূষণ এবং এর প্রভাব নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/environmental-pollution
    অস্ট্রেলিয়া (Australia): CSIRO Publishing এর অধীনে CSIRO PUBLISHING - Natural Environment Journals পরিবেশ বিজ্ঞানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছে Australian Journal of Botany, Environmental Chemistry, এবং Marine and Freshwater Research। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে পাওয়া যাবে: https://www.publish.csiro. au/journals/NaturalEnvironment
    টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Australasian Journal of Environmental Management (AJEM) অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.eianz. org/news-publications/australasian-journal-of-environmental-management
    ইউরোপ (Europe): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) এর Science of the Total Environment পরিবেশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/science-of-the-total-environment
    নবায়নযোগ্য শক্তি এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার উপর পর্যালোচনা প্রকাশের জন্য Renewable and Sustainable Energy Reviews জার্নালটি সুপরিচিত। এটিও এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হয়। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/renewable-and-sustainable-energy-reviews
    ৬. মানবিক (Humanities) মানবিক শাখার গবেষণার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য জার্নাল নিচে দেওয়া হলো।
    যুক্তরাজ্য (UK): বার্কবেক, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন (Birkbeck, University of London) এর ওপেন অ্যাক্সেস উদ্যোগ Open Library of Humanities (OLH) Journals এর অধীনে Architectural Histories (ইউরোপীয় ফোকাস) এবং C21 Literature: Journal of 21st-Century Writings (ব্রিটিশ ফোকাস) এর মতো জার্নালগুলো অন্তর্ভুক্ত। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে দেখা যাবে: https://www.openlibhums. org/journals/
    SAGE Publications (মার্কিন-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Journal of European Studies ইউরোপীয় সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসে গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.sagepub. com/home/jes
    আয়ারল্যান্ড (Ireland): রয়্যাল আইরিশ অ্যাকাডেমি (Royal Irish Academy) এর জার্নালগুলো আইরিশ ইতিহাস, সাহিত্য এবং অন্যান্য মানবিক বিষয়ে আলোকপাত করে। উদাহরণস্বরূপ, Ériu (আইরিশ ফিলোলজি ও সাহিত্যের উপর), Irish Studies in International Affairs, এবং Proceedings of the Royal Irish Academy: Archaeology, Culture, History, Literature। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.ria. ie/publishing-house/journals/
    ৭. পদার্থবিদ্যা (Physics) : পদার্থবিদ্যা গবেষণার জন্য কিছু প্রখ্যাত জার্নাল নিচে উল্লেখ করা হলো।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি (APS) এর Physical Review Letters (PRL) পদার্থবিজ্ঞানের সকল শাখায় মৌলিক গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.aps. org/prl/
    একই প্রকাশকের Physical Review D কণা পদার্থবিদ্যা, ক্ষেত্র তত্ত্ব, মহাকর্ষ এবং কসমোলজির উপর গভীর গবেষণা প্রকাশ করে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://journals.aps. org/prd/
    যদিও IOP Publishing (ইউকে-ভিত্তিক) এবং আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি (American Astronomical Society) দ্বারা প্রকাশিত, The Astrophysical Journal এর মার্কিন উপস্থিতি শক্তিশালী এবং এটি জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওয়েবসাইট: https://iopscience.iop. org/journal/1538-4357
    জাপান (Japan): দ্য ফিজিক্যাল সোসাইটি অফ জাপান (The Physical Society of Japan) এর Journal of the Physical Society of Japan (JPSJ) জাপানের প্রধান পদার্থবিদ্যা জার্নাল, যা বিভিন্ন শাখায় গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://jpsj.jps.or. jp/
    IOP Publishing (ইউকে-ভিত্তিক) এবং Japan Society of Applied Physics দ্বারা প্রকাশিত Japanese Journal of Applied Physics (JJAP) ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য সুপরিচিত। এটি এখানে দেখা যাবে: https://iopscience.iop. org/journal/1347-4065
    অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে-ভিত্তিক) এবং Physical Society of Japan দ্বারা প্রকাশিত Progress of Theoretical and Experimental Physics (PTEP) তাত্ত্বিক ও পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://academic.oup. com/ptep
    ৮. সামাজিক বিজ্ঞান (Social Sciences): সামাজিক বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু নামকরা জার্নাল রয়েছে।
    যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান সোশিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (ASA) এর American Sociological Review সমাজবিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.asanet. org/journals/asr
    ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস (University of Chicago Press) এর Journal of Political Economy অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের পদ্ধতিগত অধ্যয়ন নিয়ে কাজ করে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.journals.uchicago. edu/toc/jpe/current
    ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন প্রেস (University of Wisconsin Press) এর Journal of Human Resources শ্রম অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://uwpress.wisc. edu/journals/journals/jhr.html
    যুক্তরাজ্য (UK): টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (Taylor & Francis Group) এর Journal of Risk Research ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং সম্পর্কিত সামাজিক দিক নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.tandfonline. com/loi/rjrr20
    একই প্রকাশকের Journalism Studies জার্নালটি সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম অধ্যয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এটি এখানে দেখতে পারেন: https://www.tandfonline. com/loi/rjou20
    ইউরোপ (Europe): টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, European Review of Social Psychology ইউরোপে সামাজিক মনোবিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.tandfonline. com/loi/pers20
    ইউরোপীয় পাবলিক পলিসি সম্পর্কিত গবেষণার জন্য Journal of European Public Policy একটি গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল। এটিও টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.tandfonline. com/loi/rjpp20
    SAGE Publications (মার্কিন-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, European Union Politics ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর রাজনীতি নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.sagepub. com/home/eup
    এই বিশদ তালিকাটি আপনার গবেষণার জন্য উপযুক্ত জার্নাল খুঁজে পেতে একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করবে। মনে রাখবেন, প্রতিটি জার্নালের 'লক্ষ্য ও পরিধি' (Aims & Scope), প্রকাশনা ফি (যদি প্রযোজ্য হয়), এবং পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার গবেষণার জন্য শুভকামনা!
    সংক্ষেপে:
    ১. বহু-বিষয়ক গবেষণা (Multidisciplinary Sciences)
    যুক্তরাষ্ট্র (USA): Science (AAAS): বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রভাব ফ্যাক্টর (৫৬.৯+), নোবেল বিজয়ী গবেষণার প্ল্যাটফর্ম।
    PNAS (Proceedings of the National Academy of Sciences): একাডেমিক এক্সেলেন্সের জন্য আইকনিক, দ্রুত রিভিউ প্রক্রিয়া।
    যুক্তরাজ্য (UK): Nature (Nature Portfolio): সর্বোচ্চ সাইটেশন ইমপ্যাক্ট (৬৪.৮+), আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের স্বর্ণপ্রমাণ।
    জার্মানি: Naturwissenschaften (Springer): পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের ঐতিহাসিক ভিত্তিসম্পন্ন জার্নাল।
    নেদারল্যান্ডস: Heliyon (Cell Press): উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার (OA), বৈজ্ঞানিক স্ট্যান্ডার্ডে সহজ প্রকাশনা।
    জাপান: Science Advances (AAAS): OA মডেল, আন্তঃবিষয়ক গবেষণায় বিশেষায়িত।
    অস্ট্রেলিয়া: PLOS ONE (PLOS): দ্রুত প্রকাশনা, ডেটা ট্রান্সপারেন্সির উপর জোর।
    ২. চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান (Medicine & Health)
    যুক্তরাষ্ট্র: JAMA (American Medical Association): ক্লিনিকাল ট্রায়াল ও এপিডেমিওলজিতে বিশ্বনেতা।
    New England Journal of Medicine (NEJM): চিকিৎসাবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ প্রভাব ফ্যাক্টর (১৭৬+), ব্রেকথ্রু গবেষণার কেন্দ্র।
    যুক্তরাজ্য: The Lancet (Elsevier): বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নীতিতে সরাসরি প্রভাব, কোভিড-১৯ গবেষণায় পথিকৃৎ।
    আয়ারল্যান্ড: Irish Journal of Medical Science: আঞ্চলিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জেস নিয়ে গবেষণার প্ল্যাটফর্ম।
    জাপান: Cancer Science (Wiley): এশিয়ান জনগোষ্ঠীর অনকোলজি স্টাডিজে বিশেষায়িত।
    জার্মানি: Nature Reviews Clinical Oncology (Springer Nature): ক্যান্সার থেরাপির সর্বশেষ অগ্রগতির রিভিউ।
    কানাডা: CMAJ (Canadian Medical Association Journal): নীতিনির্ধারণমূলক চিকিৎসা গবেষণার জন্য স্বীকৃত।
    ৩. প্রকৌশল ও প্রযুক্তি (Engineering & Technology)
    যুক্তরাষ্ট্র: IEEE Transactions Series (IEEE): ইলেকট্রিক্যাল, রোবোটিক্স ও এআই গবেষণার জন্য ম্যান্ডেটরি।
    জার্মানি: Advanced Materials (Wiley-VCH): ন্যানোটেকনোলজিতে শীর্ষ (ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর: ৩২+), উপাদান বিজ্ঞানে রেফারেন্স।
    জাপান: JSME International Journal: যান্ত্রিক প্রকৌশলে উচ্চমানের তাত্ত্বিক গবেষণা।
    সুইজারল্যান্ড: Sensors (MDPI): IoT, বায়োসেন্সর ও স্মার্ট টেকনোলজিতে অগ্রণী।
    অস্ট্রেলিয়া: Journal of Hydraulic Engineering (ASCE): জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োগিক গবেষণা।
    ৪. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science)
    যুক্তরাজ্য: Global Change Biology (Wiley): জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তুসংস্থানিক প্রভাব নিয়ে শীর্ষস্থানীয়।
    যুক্তরাষ্ট্র: Environmental Science & Technology (ACS): পরিবেশ রসায়ন ও টেকনোলজির রেফারেন্স জার্নাল।
    অস্ট্রেলিয়া: Marine and Freshwater Research (CSIRO): সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও সংরক্ষণ গবেষণা।
    জাপান: Journal of Environmental Chemistry: ভারী ধাতু দূষণ ও ন্যানো-রেমিডিয়েশন গবেষণা।
    জার্মানি: Environmental Sciences Europe (Springer): ইউরোপীয় পরিবেশ নীতির OA জার্নাল।
    নরওয়ে: Environmental Research Letters (IOP Publishing): জলবায়ু ন্যায়বিচার ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে গুরুত্ব।
    ৫. সামাজিক বিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব (Social Sciences & Linguistics)
    যুক্তরাষ্ট্র: American Economic Review (AEA): অর্থনীতির নোবেল বিজয়ীদের গবেষণার মূল প্ল্যাটফর্ম।
    যুক্তরাজ্য: Applied Linguistics (Oxford University): ভাষা শিক্ষণ পদ্ধতি ও ডিজিটাল লার্নিং।
    জার্মানি: Zeitschrift für Soziologie: সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব ও ইউরোপীয় সমাজের রূপান্তর।
    অস্ট্রেলিয়া: Australian Review of Applied Linguistics: বহুভাষিকতা ও অভিবাসী ভাষার গবেষণা।
    আয়ারল্যান্ড: Irish Educational Studies: শিক্ষানীতির সমালোচনামূলক মূল্যায়ন।
    কোথায় আপনার রিসার্স পেপার পাবলিশ করবেন? আপনার গবেষণাপত্রের জন্য মানানসই জার্নাল খুঁজে বের করা বেশ সময়সাপেক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনার গবেষণার বিষয়বস্তু, এর মান এবং আপনি কোন ধরনের পাঠকশ্রেণীর কাছে পৌঁছাতে চান, তার ওপর নির্ভর করে জার্নাল নির্বাচন করা উচিত। এই ধাপে ধাপে সাজানো তালিকাটি আপনাকে বিভিন্ন বিষয়শ্রেণী এবং দেশভিত্তিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নালের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। এটি আপনাকে আপনার পছন্দের ক্ষেত্র এবং ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সঠিক প্রকাশনার পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। ১. বহু-বিষয়ক (Multi-disciplinary) জার্নাল এই ক্যাটাগরির জার্নালগুলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে যুগান্তকারী এবং উচ্চ-প্রভাবশালী গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এদের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর (Impact Factor) সাধারণত অনেক বেশি হয় এবং বিশ্বব্যাপী এদের পরিচিতি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): প্রথমেই আমরা Science জার্নালটির কথা বলতে পারি। এটি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স (AAAS) দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.science.org/ এছাড়াও, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (National Academy of Sciences) দ্বারা প্রকাশিত Proceedings of the National Academy of Sciences (PNAS) একটি উল্লেখযোগ্য জার্নাল। এটি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন মৌলিক গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.pnas.org/ ইউরোপ (Europe): বিশ্বখ্যাত Nature জার্নালটি Springer Nature (জার্মানি-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য পরিচিত। আপনি তাদের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন: https://www.nature.com/ Nature পরিবারেরই আরেকটি ওপেন-অ্যাক্সেস জার্নাল হলো Scientific Reports। এটিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমস্ত ক্ষেত্রে গবেষণা প্রকাশ করে এবং তাদের ওয়েবসাইট হলো: https://www.nature.com/srep/ ২. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (Computer Science & Engineering) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল গবেষণা প্রকাশের জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু নামকরা জার্নাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (ACM) এর অধীনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল রয়েছে, যেমন Journal of the ACM (JACM), ACM Computing Surveys, এবং গ্রাফিক্স সম্পর্কিত ACM Transactions on Graphics (TOG)। আপনি তাদের প্রকাশনাগুলো দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইটে: https://www.acm.org/publications/journals ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE) এর জার্নালগুলোও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, IEEE Transactions on Pattern Analysis and Machine Intelligence (TPAMI), IEEE Communications Magazine, এবং IEEE Transactions on Computers অন্যতম। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে পাওয়া যাবে: https://www.ieee.org/publications/index.html ইউরোপ (Europe): এলসেভিয়ার (Elsevier, নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) কর্তৃক প্রকাশিত Artificial Intelligence কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণার জন্য অন্যতম শীর্ষ জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/artificial-intelligence তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে Springer (জার্মানি-ভিত্তিক) এর Acta Informatica জার্নালটি। আপনি এটি এখানে খুঁজে পাবেন: https://link.springer.com/journal/236 জাপান (Japan): দ্য ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার্স (IEICE) এর IEICE Transactions on Information and Systems তথ্য ও সিস্টেম সম্পর্কিত গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.ieice.org/eng/publications/trans_e.html ৩. চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য (Medical Sciences & Health) চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহু প্রভাবশালী জার্নাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল সোসাইটি (Massachusetts Medical Society) প্রকাশিত The New England Journal of Medicine (NEJM) চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম প্রভাবশালী এবং পুরনো জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.nejm.org/ আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (American Medical Association) এর JAMA (Journal of the American Medical Association) সাধারণ চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://jamanetwork.com/journals/jama আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স (American College of Physicians) এর Annals of Internal Medicine অভ্যন্তরীণ চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি শীর্ষ জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.acpjournals.org/journal/aim যুক্তরাজ্য (UK): বিশ্বখ্যাত The BMJ (পূর্বে British Medical Journal) BMJ Publishing Group Ltd দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এটি একটি অত্যন্ত সম্মানিত সাধারণ চিকিৎসা জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.bmj.com/ যদিও এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত, The Lancet ইউকেতে প্রতিষ্ঠিত এবং এর বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। এটি একটি উচ্চ-প্রভাবশালী চিকিৎসা জার্নাল যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যা এবং গবেষণায় মনোযোগ দেয়। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.thelancet.com/ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (Oxford University Press) প্রকাশিত British Medical Bulletin চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ-মানের রিভিউ প্রকাশ করে। আপনি এটি এখানে দেখতে পারেন: https://academic.oup.com/bmb ইউরোপ (Europe): কার্ডিওলজির অন্যতম শীর্ষ জার্নাল হলো European Heart Journal। এটিও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও ইউরোপীয় ফোকাস রয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট: https://academic.oup.com/eurheartj ৪. অর্থনীতি ও ব্যবসা (Economics & Business) অর্থনীতি ও ব্যবসা সম্পর্কিত গবেষণার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল নিচে দেওয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন (American Economic Association) এর American Economic Review অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা প্রকাশের জন্য সুপরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.aeaweb.org/journals/aer আমেরিকান ফিনান্স অ্যাসোসিয়েশন (American Finance Association) এর Journal of Finance ফিনান্সের অন্যতম শীর্ষ জার্নাল, যা Wiley দ্বারা প্রকাশিত হয়। আপনি এটি এখানে পাবেন: https://onlinelibrary.wiley.com/journal/15406261 এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও শক্তিশালী মার্কিন উপস্থিতি সহ, Journal of Business Research ব্যবসা গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/journal-of-business... জার্মানি (Germany): Verein für Socialpolitik দ্বারা প্রকাশিত German Economic Review (Wiley দ্বারা পরিবেশিত) জার্মান অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক নীতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://onlinelibrary.wiley.com/journal/14680475 কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি (Kiel Institute for the World Economy) এবং Springer দ্বারা প্রকাশিত Review of World Economics আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে গবেষণা প্রকাশ করে। আপনি এটি এখানে পাবেন: https://link.springer.com/journal/10290 Springer (জার্মানি-ভিত্তিক) এর Journal of Population Economics জনসংখ্যা অর্থনীতির উপর গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://link.springer.com/journal/148 ইউরোপ (General / Other European Countries): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) এর European Economic Review ইউরোপীয় অর্থনীতির গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/european-economic-review ৫. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science) পরিবেশ বিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, এবং এর গবেষণার জন্য অনেক সুপরিচিত জার্নাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (ACS Publications) এর Environmental Science & Technology পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রণী গবেষণা প্রকাশের জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://pubs.acs.org/journal/esthag আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স (AAAS) এর Science Advances সমস্ত বৈজ্ঞানিক বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করে, যার মধ্যে পরিবেশ বিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.science.org/journal/sciadv যুক্তরাজ্য (UK): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Environmental Pollution জার্নালটির ইউকেতে শক্তিশালী অবদান রয়েছে। এটি পরিবেশ দূষণ এবং এর প্রভাব নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/environmental-pollution অস্ট্রালিয়া (Australia): CSIRO Publishing এর অধীনে CSIRO PUBLISHING - Natural Environment Journals পরিবেশ বিজ্ঞানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছে Australian Journal of Botany, Environmental Chemistry, এবং Marine and Freshwater Research। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে পাওয়া যাবে: https://www.publish.csiro.au/journals/NaturalEnvironment টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Australasian Journal of Environmental Management (AJEM) অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.eianz.org/.../australasian-journal-of... ইউরোপ (Europe): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) এর Science of the Total Environment পরিবেশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/science-of-the-total... নবায়নযোগ্য শক্তি এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার উপর পর্যালোচনা প্রকাশের জন্য Renewable and Sustainable Energy Reviews জার্নালটি সুপরিচিত। এটিও এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হয়। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier.com/renewable-and... ৬. মানবিক (Humanities) মানবিক শাখার গবেষণার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য জার্নাল নিচে দেওয়া হলো। যুক্তরাজ্য (UK): বার্কবেক, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন (Birkbeck, University of London) এর ওপেন অ্যাক্সেস উদ্যোগ Open Library of Humanities (OLH) Journals এর অধীনে Architectural Histories (ইউরোপীয় ফোকাস) এবং C21 Literature: Journal of 21st-Century Writings (ব্রিটিশ ফোকাস) এর মতো জার্নালগুলো অন্তর্ভুক্ত। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে দেখা যাবে: https://www.openlibhums.org/journals/ SAGE Publications (মার্কিন-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Journal of European Studies ইউরোপীয় সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসে গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.sagepub.com/home/jes আয়ারল্যান্ড (Ireland): রয়্যাল আইরিশ অ্যাকাডেমি (Royal Irish Academy) এর জার্নালগুলো আইরিশ ইতিহাস, সাহিত্য এবং অন্যান্য মানবিক বিষয়ে আলোকপাত করে। উদাহরণস্বরূপ, Ériu (আইরিশ ফিলোলজি ও সাহিত্যের উপর), Irish Studies in International Affairs, এবং Proceedings of the Royal Irish Academy: Archaeology, Culture, History, Literature। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.ria.ie/publishing-house/journals/ ৭. পদার্থবিদ্যা (Physics) পদার্থবিদ্যা গবেষণার জন্য কিছু প্রখ্যাত জার্নাল নিচে উল্লেখ করা হলো। যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি (APS) এর Physical Review Letters (PRL) পদার্থবিজ্ঞানের সকল শাখায় মৌলিক গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.aps.org/prl/ একই প্রকাশকের Physical Review D কণা পদার্থবিদ্যা, ক্ষেত্র তত্ত্ব, মহাকর্ষ এবং কসমোলজির উপর গভীর গবেষণা প্রকাশ করে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://journals.aps.org/prd/ যদিও IOP Publishing (ইউকে-ভিত্তিক) এবং আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি (American Astronomical Society) দ্বারা প্রকাশিত, The Astrophysical Journal এর মার্কিন উপস্থিতি শক্তিশালী এবং এটি জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওয়েবসাইট: https://iopscience.iop.org/journal/1538-4357 জাপান (Japan): দ্য ফিজিক্যাল সোসাইটি অফ জাপান (The Physical Society of Japan) এর Journal of the Physical Society of Japan (JPSJ) জাপানের প্রধান পদার্থবিদ্যা জার্নাল, যা বিভিন্ন শাখায় গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://jpsj.jps.or.jp/ IOP Publishing (ইউকে-ভিত্তিক) এবং Japan Society of Applied Physics দ্বারা প্রকাশিত Japanese Journal of Applied Physics (JJAP) ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য সুপরিচিত। এটি এখানে দেখা যাবে: https://iopscience.iop.org/journal/1347-4065 অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে-ভিত্তিক) এবং Physical Society of Japan দ্বারা প্রকাশিত Progress of Theoretical and Experimental Physics (PTEP) তাত্ত্বিক ও পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://academic.oup.com/ptep ৮. সামাজিক বিজ্ঞান (Social Sciences) সামাজিক বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু নামকরা জার্নাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান সোশিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (ASA) এর American Sociological Review সমাজবিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.asanet.org/journals/asr ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস (University of Chicago Press) এর Journal of Political Economy অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের পদ্ধতিগত অধ্যয়ন নিয়ে কাজ করে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.journals.uchicago.edu/toc/jpe/current ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন প্রেস (University of Wisconsin Press) এর Journal of Human Resources শ্রম অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://uwpress.wisc.edu/journals/journals/jhr.html যুক্তরাজ্য (UK): টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (Taylor & Francis Group) এর Journal of Risk Research ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং সম্পর্কিত সামাজিক দিক নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.tandfonline.com/loi/rjrr20 একই প্রকাশকের Journalism Studies জার্নালটি সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম অধ্যয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এটি এখানে দেখতে পারেন: https://www.tandfonline.com/loi/rjou20 ইউরোপ (Europe): টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, European Review of Social Psychology ইউরোপে সামাজিক মনোবিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.tandfonline.com/loi/pers20 ইউরোপীয় পাবলিক পলিসি সম্পর্কিত গবেষণার জন্য Journal of European Public Policy একটি গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল। এটিও টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.tandfonline.com/loi/rjpp20 SAGE Publications (মার্কিন-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, European Union Politics ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর রাজনীতি নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.sagepub.com/home/eup এই বিশদ তালিকাটি আপনার গবেষণার জন্য উপযুক্ত জার্নাল খুঁজে পেতে একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করবে। মনে রাখবেন, প্রতিটি জার্নালের 'লক্ষ্য ও পরিধি' (Aims & Scope), প্রকাশনা ফি (যদি প্রযোজ্য হয়), এবং পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার গবেষণার জন্য শুভকামনা! আপনার গবেষণার বিশ্বজোড়া ঠিকানা: বিষয় ও দেশভিত্তিক জার্নাল পরিচিতি আপনার গবেষণাপত্রের জন্য মানানসই জার্নাল খুঁজে বের করা বেশ সময়সাপেক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনার গবেষণার বিষয়বস্তু, এর মান এবং আপনি কোন ধরনের পাঠকশ্রেণীর কাছে পৌঁছাতে চান, তার ওপর নির্ভর করে জার্নাল নির্বাচন করা উচিত। এই ধাপে ধাপে সাজানো তালিকাটি আপনাকে বিভিন্ন বিষয়শ্রেণী এবং দেশভিত্তিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নালের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। এটি আপনাকে আপনার পছন্দের ক্ষেত্র এবং ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সঠিক প্রকাশনার পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। ১. বহু-বিষয়ক (Multi-disciplinary) জার্নাল এই ক্যাটাগরির জার্নালগুলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে যুগান্তকারী এবং উচ্চ-প্রভাবশালী গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এদের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর (Impact Factor) সাধারণত অনেক বেশি হয় এবং বিশ্বব্যাপী এদের পরিচিতি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): প্রথমেই আমরা Science জার্নালটির কথা বলতে পারি। এটি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স (AAAS) দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. science. org/ এছাড়াও, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (National Academy of Sciences) দ্বারা প্রকাশিত Proceedings of the National Academy of Sciences (PNAS) একটি উল্লেখযোগ্য জার্নাল। এটি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন মৌলিক গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. pnas. org/ ইউরোপ (Europe): বিশ্বখ্যাত Nature জার্নালটি Springer Nature (জার্মানি-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য পরিচিত। আপনি তাদের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন: https://www. nature. com/ Nature পরিবারেরই আরেকটি ওপেন-অ্যাক্সেস জার্নাল হলো Scientific Reports। এটিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমস্ত ক্ষেত্রে গবেষণা প্রকাশ করে এবং তাদের ওয়েবসাইট হলো: https://www. nature.com/srep/ ২. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (Computer Science & Engineering) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল গবেষণা প্রকাশের জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু নামকরা জার্নাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (ACM) এর অধীনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল রয়েছে, যেমন Journal of the ACM (JACM), ACM Computing Surveys, এবং গ্রাফিক্স সম্পর্কিত ACM Transactions on Graphics (TOG)। আপনি তাদের প্রকাশনাগুলো দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইটে: https://www.acm. org/publications/journals ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE) এর জার্নালগুলোও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, IEEE Transactions on Pattern Analysis and Machine Intelligence (TPAMI), IEEE Communications Magazine, এবং IEEE Transactions on Computers অন্যতম। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে পাওয়া যাবে: https://www.ieee. org/publications/index.html ইউরোপ (Europe): এলসেভিয়ার (Elsevier, নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) কর্তৃক প্রকাশিত Artificial Intelligence কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণার জন্য অন্যতম শীর্ষ জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. journals.elsevier.com/artificial-intelligence তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে Springer (জার্মানি-ভিত্তিক) এর Acta Informatica জার্নালটি। আপনি এটি এখানে খুঁজে পাবেন: https://link.springer. com/journal/236 জাপান (Japan): দ্য ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার্স (IEICE) এর IEICE Transactions on Information and Systems তথ্য ও সিস্টেম সম্পর্কিত গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.ieice. org/eng/publications/trans_e.html ৩. চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য (Medical Sciences & Health) চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহু প্রভাবশালী জার্নাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল সোসাইটি (Massachusetts Medical Society) প্রকাশিত The New England Journal of Medicine (NEJM) চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম প্রভাবশালী এবং পুরনো জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. nejm.org/ আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (American Medical Association) এর JAMA (Journal of the American Medical Association) সাধারণ চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://jamanetwork. com/journals/jama আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স (American College of Physicians) এর Annals of Internal Medicine অভ্যন্তরীণ চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি শীর্ষ জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.acpjournals. org/journal/aim যুক্তরাজ্য (UK): বিশ্বখ্যাত The BMJ (পূর্বে British Medical Journal) BMJ Publishing Group Ltd দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এটি একটি অত্যন্ত সম্মানিত সাধারণ চিকিৎসা জার্নাল। তাদের ওয়েবসাইট: https://www. bmj.com/ যদিও এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত, The Lancet ইউকেতে প্রতিষ্ঠিত এবং এর বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। এটি একটি উচ্চ-প্রভাবশালী চিকিৎসা জার্নাল যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যা এবং গবেষণায় মনোযোগ দেয়। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.thelancet. com/ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (Oxford University Press) প্রকাশিত British Medical Bulletin চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ-মানের রিভিউ প্রকাশ করে। আপনি এটি এখানে দেখতে পারেন: https://academic.oup. com/bmb ইউরোপ (Europe): কার্ডিওলজির অন্যতম শীর্ষ জার্নাল হলো European Heart Journal। এটিও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও ইউরোপীয় ফোকাস রয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট: https://academic.oup. com/eurheartj ৪. অর্থনীতি ও ব্যবসা (Economics & Business) অর্থনীতি ও ব্যবসা সম্পর্কিত গবেষণার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল নিচে দেওয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন (American Economic Association) এর American Economic Review অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা প্রকাশের জন্য সুপরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.aeaweb. org/journals/aer আমেরিকান ফিনান্স অ্যাসোসিয়েশন (American Finance Association) এর Journal of Finance ফিনান্সের অন্যতম শীর্ষ জার্নাল, যা Wiley দ্বারা প্রকাশিত হয়। আপনি এটি এখানে পাবেন: https://onlinelibrary.wiley. com/journal/15406261 এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও শক্তিশালী মার্কিন উপস্থিতি সহ, Journal of Business Research ব্যবসা গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/journal-of-business-research জার্মানি (Germany): Verein für Socialpolitik দ্বারা প্রকাশিত German Economic Review (Wiley দ্বারা পরিবেশিত) জার্মান অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক নীতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://onlinelibrary.wiley. com/journal/14680475 কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি (Kiel Institute for the World Economy) এবং Springer দ্বারা প্রকাশিত Review of World Economics আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে গবেষণা প্রকাশ করে। আপনি এটি এখানে পাবেন: https://link.springer. com/journal/10290 Springer (জার্মানি-ভিত্তিক) এর Journal of Population Economics জনসংখ্যা অর্থনীতির উপর গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://link.springer. com/journal/148 ইউরোপ (General / Other European Countries): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) এর European Economic Review ইউরোপীয় অর্থনীতির গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/european-economic-review ৫. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science) পরিবেশ বিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, এবং এর গবেষণার জন্য অনেক সুপরিচিত জার্নাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (ACS Publications) এর Environmental Science & Technology পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রণী গবেষণা প্রকাশের জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://pubs.acs. org/journal/esthag আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স (AAAS) এর Science Advances সমস্ত বৈজ্ঞানিক বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করে, যার মধ্যে পরিবেশ বিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.science. org/journal/sciadv যুক্তরাজ্য (UK): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Environmental Pollution জার্নালটির ইউকেতে শক্তিশালী অবদান রয়েছে। এটি পরিবেশ দূষণ এবং এর প্রভাব নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/environmental-pollution অস্ট্রেলিয়া (Australia): CSIRO Publishing এর অধীনে CSIRO PUBLISHING - Natural Environment Journals পরিবেশ বিজ্ঞানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছে Australian Journal of Botany, Environmental Chemistry, এবং Marine and Freshwater Research। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে পাওয়া যাবে: https://www.publish.csiro. au/journals/NaturalEnvironment টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Australasian Journal of Environmental Management (AJEM) অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.eianz. org/news-publications/australasian-journal-of-environmental-management ইউরোপ (Europe): এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) এর Science of the Total Environment পরিবেশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/science-of-the-total-environment নবায়নযোগ্য শক্তি এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার উপর পর্যালোচনা প্রকাশের জন্য Renewable and Sustainable Energy Reviews জার্নালটি সুপরিচিত। এটিও এলসেভিয়ার (নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হয়। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.journals.elsevier. com/renewable-and-sustainable-energy-reviews ৬. মানবিক (Humanities) মানবিক শাখার গবেষণার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য জার্নাল নিচে দেওয়া হলো। যুক্তরাজ্য (UK): বার্কবেক, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন (Birkbeck, University of London) এর ওপেন অ্যাক্সেস উদ্যোগ Open Library of Humanities (OLH) Journals এর অধীনে Architectural Histories (ইউরোপীয় ফোকাস) এবং C21 Literature: Journal of 21st-Century Writings (ব্রিটিশ ফোকাস) এর মতো জার্নালগুলো অন্তর্ভুক্ত। তাদের প্রকাশনাগুলো এখানে দেখা যাবে: https://www.openlibhums. org/journals/ SAGE Publications (মার্কিন-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, Journal of European Studies ইউরোপীয় সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাসে গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.sagepub. com/home/jes আয়ারল্যান্ড (Ireland): রয়্যাল আইরিশ অ্যাকাডেমি (Royal Irish Academy) এর জার্নালগুলো আইরিশ ইতিহাস, সাহিত্য এবং অন্যান্য মানবিক বিষয়ে আলোকপাত করে। উদাহরণস্বরূপ, Ériu (আইরিশ ফিলোলজি ও সাহিত্যের উপর), Irish Studies in International Affairs, এবং Proceedings of the Royal Irish Academy: Archaeology, Culture, History, Literature। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.ria. ie/publishing-house/journals/ ৭. পদার্থবিদ্যা (Physics) : পদার্থবিদ্যা গবেষণার জন্য কিছু প্রখ্যাত জার্নাল নিচে উল্লেখ করা হলো। যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি (APS) এর Physical Review Letters (PRL) পদার্থবিজ্ঞানের সকল শাখায় মৌলিক গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.aps. org/prl/ একই প্রকাশকের Physical Review D কণা পদার্থবিদ্যা, ক্ষেত্র তত্ত্ব, মহাকর্ষ এবং কসমোলজির উপর গভীর গবেষণা প্রকাশ করে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://journals.aps. org/prd/ যদিও IOP Publishing (ইউকে-ভিত্তিক) এবং আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি (American Astronomical Society) দ্বারা প্রকাশিত, The Astrophysical Journal এর মার্কিন উপস্থিতি শক্তিশালী এবং এটি জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওয়েবসাইট: https://iopscience.iop. org/journal/1538-4357 জাপান (Japan): দ্য ফিজিক্যাল সোসাইটি অফ জাপান (The Physical Society of Japan) এর Journal of the Physical Society of Japan (JPSJ) জাপানের প্রধান পদার্থবিদ্যা জার্নাল, যা বিভিন্ন শাখায় গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://jpsj.jps.or. jp/ IOP Publishing (ইউকে-ভিত্তিক) এবং Japan Society of Applied Physics দ্বারা প্রকাশিত Japanese Journal of Applied Physics (JJAP) ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য সুপরিচিত। এটি এখানে দেখা যাবে: https://iopscience.iop. org/journal/1347-4065 অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে-ভিত্তিক) এবং Physical Society of Japan দ্বারা প্রকাশিত Progress of Theoretical and Experimental Physics (PTEP) তাত্ত্বিক ও পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://academic.oup. com/ptep ৮. সামাজিক বিজ্ঞান (Social Sciences): সামাজিক বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু নামকরা জার্নাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র (USA): আমেরিকান সোশিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (ASA) এর American Sociological Review সমাজবিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা প্রকাশনার জন্য পরিচিত। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.asanet. org/journals/asr ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস (University of Chicago Press) এর Journal of Political Economy অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের পদ্ধতিগত অধ্যয়ন নিয়ে কাজ করে। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.journals.uchicago. edu/toc/jpe/current ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন প্রেস (University of Wisconsin Press) এর Journal of Human Resources শ্রম অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://uwpress.wisc. edu/journals/journals/jhr.html যুক্তরাজ্য (UK): টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (Taylor & Francis Group) এর Journal of Risk Research ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং সম্পর্কিত সামাজিক দিক নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.tandfonline. com/loi/rjrr20 একই প্রকাশকের Journalism Studies জার্নালটি সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম অধ্যয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এটি এখানে দেখতে পারেন: https://www.tandfonline. com/loi/rjou20 ইউরোপ (Europe): টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, European Review of Social Psychology ইউরোপে সামাজিক মনোবিজ্ঞানের গবেষণা প্রকাশ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://www.tandfonline. com/loi/pers20 ইউরোপীয় পাবলিক পলিসি সম্পর্কিত গবেষণার জন্য Journal of European Public Policy একটি গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল। এটিও টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত। এটি এখানে পাওয়া যাবে: https://www.tandfonline. com/loi/rjpp20 SAGE Publications (মার্কিন-ভিত্তিক) দ্বারা প্রকাশিত হলেও, European Union Politics ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর রাজনীতি নিয়ে কাজ করে। তাদের ওয়েবসাইট: https://journals.sagepub. com/home/eup এই বিশদ তালিকাটি আপনার গবেষণার জন্য উপযুক্ত জার্নাল খুঁজে পেতে একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করবে। মনে রাখবেন, প্রতিটি জার্নালের 'লক্ষ্য ও পরিধি' (Aims & Scope), প্রকাশনা ফি (যদি প্রযোজ্য হয়), এবং পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার গবেষণার জন্য শুভকামনা! সংক্ষেপে: ১. বহু-বিষয়ক গবেষণা (Multidisciplinary Sciences) যুক্তরাষ্ট্র (USA): Science (AAAS): বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রভাব ফ্যাক্টর (৫৬.৯+), নোবেল বিজয়ী গবেষণার প্ল্যাটফর্ম। PNAS (Proceedings of the National Academy of Sciences): একাডেমিক এক্সেলেন্সের জন্য আইকনিক, দ্রুত রিভিউ প্রক্রিয়া। যুক্তরাজ্য (UK): Nature (Nature Portfolio): সর্বোচ্চ সাইটেশন ইমপ্যাক্ট (৬৪.৮+), আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের স্বর্ণপ্রমাণ। জার্মানি: Naturwissenschaften (Springer): পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের ঐতিহাসিক ভিত্তিসম্পন্ন জার্নাল। নেদারল্যান্ডস: Heliyon (Cell Press): উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার (OA), বৈজ্ঞানিক স্ট্যান্ডার্ডে সহজ প্রকাশনা। জাপান: Science Advances (AAAS): OA মডেল, আন্তঃবিষয়ক গবেষণায় বিশেষায়িত। অস্ট্রেলিয়া: PLOS ONE (PLOS): দ্রুত প্রকাশনা, ডেটা ট্রান্সপারেন্সির উপর জোর। ২. চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান (Medicine & Health) যুক্তরাষ্ট্র: JAMA (American Medical Association): ক্লিনিকাল ট্রায়াল ও এপিডেমিওলজিতে বিশ্বনেতা। New England Journal of Medicine (NEJM): চিকিৎসাবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ প্রভাব ফ্যাক্টর (১৭৬+), ব্রেকথ্রু গবেষণার কেন্দ্র। যুক্তরাজ্য: The Lancet (Elsevier): বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নীতিতে সরাসরি প্রভাব, কোভিড-১৯ গবেষণায় পথিকৃৎ। আয়ারল্যান্ড: Irish Journal of Medical Science: আঞ্চলিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জেস নিয়ে গবেষণার প্ল্যাটফর্ম। জাপান: Cancer Science (Wiley): এশিয়ান জনগোষ্ঠীর অনকোলজি স্টাডিজে বিশেষায়িত। জার্মানি: Nature Reviews Clinical Oncology (Springer Nature): ক্যান্সার থেরাপির সর্বশেষ অগ্রগতির রিভিউ। কানাডা: CMAJ (Canadian Medical Association Journal): নীতিনির্ধারণমূলক চিকিৎসা গবেষণার জন্য স্বীকৃত। ৩. প্রকৌশল ও প্রযুক্তি (Engineering & Technology) যুক্তরাষ্ট্র: IEEE Transactions Series (IEEE): ইলেকট্রিক্যাল, রোবোটিক্স ও এআই গবেষণার জন্য ম্যান্ডেটরি। জার্মানি: Advanced Materials (Wiley-VCH): ন্যানোটেকনোলজিতে শীর্ষ (ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর: ৩২+), উপাদান বিজ্ঞানে রেফারেন্স। জাপান: JSME International Journal: যান্ত্রিক প্রকৌশলে উচ্চমানের তাত্ত্বিক গবেষণা। সুইজারল্যান্ড: Sensors (MDPI): IoT, বায়োসেন্সর ও স্মার্ট টেকনোলজিতে অগ্রণী। অস্ট্রেলিয়া: Journal of Hydraulic Engineering (ASCE): জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োগিক গবেষণা। ৪. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science) যুক্তরাজ্য: Global Change Biology (Wiley): জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তুসংস্থানিক প্রভাব নিয়ে শীর্ষস্থানীয়। যুক্তরাষ্ট্র: Environmental Science & Technology (ACS): পরিবেশ রসায়ন ও টেকনোলজির রেফারেন্স জার্নাল। অস্ট্রেলিয়া: Marine and Freshwater Research (CSIRO): সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও সংরক্ষণ গবেষণা। জাপান: Journal of Environmental Chemistry: ভারী ধাতু দূষণ ও ন্যানো-রেমিডিয়েশন গবেষণা। জার্মানি: Environmental Sciences Europe (Springer): ইউরোপীয় পরিবেশ নীতির OA জার্নাল। নরওয়ে: Environmental Research Letters (IOP Publishing): জলবায়ু ন্যায়বিচার ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে গুরুত্ব। ৫. সামাজিক বিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব (Social Sciences & Linguistics) যুক্তরাষ্ট্র: American Economic Review (AEA): অর্থনীতির নোবেল বিজয়ীদের গবেষণার মূল প্ল্যাটফর্ম। যুক্তরাজ্য: Applied Linguistics (Oxford University): ভাষা শিক্ষণ পদ্ধতি ও ডিজিটাল লার্নিং। জার্মানি: Zeitschrift für Soziologie: সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব ও ইউরোপীয় সমাজের রূপান্তর। অস্ট্রেলিয়া: Australian Review of Applied Linguistics: বহুভাষিকতা ও অভিবাসী ভাষার গবেষণা। আয়ারল্যান্ড: Irish Educational Studies: শিক্ষানীতির সমালোচনামূলক মূল্যায়ন।
    Fire
    Love
    4
    0 التعليقات 0 المشاركات 629 مشاهدة
BlackBird Ai
https://bbai.shop