খাগড়াছড়ির ভালোবাসা ‘ফুলকলি’
খাগড়াছড়ির জন্য এক হাতি (ফুলকলির) অসামান্য অবদান। জানেন কি?- ফুলকলির মৃত্যুর কাহিনি কতটা করুণ।
গল্পটি ৩৩ বছর আগের। ইতিহাসটা আবেগের। গল্পটি এমন—ফুলকলি একটি হাতির নাম। ১৯৫০ সালের দিকে তার জন্ম।
১৯৬২ সালের কথা। তখন খাগড়াছড়ি ছিল একটি মহকুমা। ঘন জঙ্গলে ভরা খাগড়াছড়ির যোগাযোগব্যবস্থা ছিল বেশ নাজুক। শহর থেকে দূরের পাহাড়ি পথে যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি পোষা হাতি এনেছিলেন সে সময়ের মহকুমা প্রশাসক হাবিবুল ইসলাম। তিনি হাতির পিঠে চড়ে যাতায়াত করতেন। হাতিটির নাম রাখা হয় ‘ফুলকলি’।
মহকুমা প্রশাসকের একমাত্র বাহন এই ফুলকলি সবখানে পরিচিতি পেয়ে যায়। দূর গ্রামের কোথাও গেলে মানুষজন ফুলকলিকে আদর করে, পেটভরে খেতে দিত। ফুলকলিরও বিশেষ টান ছিল মানুষের প্রতি। খাগড়াছড়ির জনমানুষের সঙ্গে ফুলকলির এক আত্মিক বন্ধন গড়ে ওঠে।
১৯৮৩ সাল। খাগড়াছড়ি মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। তখনো জেলা প্রশাসকেরা ফুলকলির পিঠে চড়ে দাপ্তরিক কাজ সামলাতেন। জেলা ঘোষণার পর খাগড়াছড়িতে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে। ধীরে ধীরে উন্নত হতে শুরু করে যোগাযোগব্যবস্থা। এলো নতুন যানবাহন। এরপর খানিকটা অবসর পায় ফুলকলি। তখন ফুলকলির কাজ ছিল রাষ্ট্রীয় দিবসগুলোতে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশ নেওয়া। ফুলকলি অভিবাদন জানাত সবাইকে।
সত্তর–আশির দশকে পাহাড়ি পথে কোনো যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে খাদে পড়ে গেলে তা টেনে তোলার একমাত্র সহায় ছিল ফুলকলি। ফুলকলির প্রতিবেলার খাবার ছিল এক ছড়ি (৪০-৫০টা) পাকা কলা, ৫টি পাকা কাঁঠাল, ৫ কেজি ছোলা ও ৫ কেজি গম। এছাড়া ফুলকলির খাবার ছিল প্রতি তিন দিনে এক গাড়ি কলাগাছ।
★ফুলকলির মৃত্যুর কাহিনি বড় করুণ। একদিন পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় বুনো হাতিরা ফুলকলিকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ফুলকলি যায়নি। তখন সব বুনো হাতি মিলে তাকে আক্রমণ করে। ফুলকলির বাম পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফুলকলির চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয় চিকিত্সক। সেই সময় ফুলকলির সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করতেন ওই সময়ের কম্পাউন্ডার শশী বিন্দু চাকমা। তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত।
শশী বলেন, প্রায় আড়াই মাস চিকিত্সা শেষে ১৯৯০ সালের ২৭ জুলাই এক ঝুমবৃষ্টির দিনে পুনরায় আলুটিলা পাহাড়ে যায় ফুলকলি। একটা সময় বেখেয়ালে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। তাতে তার মৃত্যু হয়। পরে ক্রেন দিয়ে ফুলকলিকে তুলে কবর দেওয়া হয়
খাগড়াছড়ির জন্য এক হাতি (ফুলকলির) অসামান্য অবদান। জানেন কি?- ফুলকলির মৃত্যুর কাহিনি কতটা করুণ।
গল্পটি ৩৩ বছর আগের। ইতিহাসটা আবেগের। গল্পটি এমন—ফুলকলি একটি হাতির নাম। ১৯৫০ সালের দিকে তার জন্ম।
১৯৬২ সালের কথা। তখন খাগড়াছড়ি ছিল একটি মহকুমা। ঘন জঙ্গলে ভরা খাগড়াছড়ির যোগাযোগব্যবস্থা ছিল বেশ নাজুক। শহর থেকে দূরের পাহাড়ি পথে যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি পোষা হাতি এনেছিলেন সে সময়ের মহকুমা প্রশাসক হাবিবুল ইসলাম। তিনি হাতির পিঠে চড়ে যাতায়াত করতেন। হাতিটির নাম রাখা হয় ‘ফুলকলি’।
মহকুমা প্রশাসকের একমাত্র বাহন এই ফুলকলি সবখানে পরিচিতি পেয়ে যায়। দূর গ্রামের কোথাও গেলে মানুষজন ফুলকলিকে আদর করে, পেটভরে খেতে দিত। ফুলকলিরও বিশেষ টান ছিল মানুষের প্রতি। খাগড়াছড়ির জনমানুষের সঙ্গে ফুলকলির এক আত্মিক বন্ধন গড়ে ওঠে।
১৯৮৩ সাল। খাগড়াছড়ি মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। তখনো জেলা প্রশাসকেরা ফুলকলির পিঠে চড়ে দাপ্তরিক কাজ সামলাতেন। জেলা ঘোষণার পর খাগড়াছড়িতে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে। ধীরে ধীরে উন্নত হতে শুরু করে যোগাযোগব্যবস্থা। এলো নতুন যানবাহন। এরপর খানিকটা অবসর পায় ফুলকলি। তখন ফুলকলির কাজ ছিল রাষ্ট্রীয় দিবসগুলোতে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশ নেওয়া। ফুলকলি অভিবাদন জানাত সবাইকে।
সত্তর–আশির দশকে পাহাড়ি পথে কোনো যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে খাদে পড়ে গেলে তা টেনে তোলার একমাত্র সহায় ছিল ফুলকলি। ফুলকলির প্রতিবেলার খাবার ছিল এক ছড়ি (৪০-৫০টা) পাকা কলা, ৫টি পাকা কাঁঠাল, ৫ কেজি ছোলা ও ৫ কেজি গম। এছাড়া ফুলকলির খাবার ছিল প্রতি তিন দিনে এক গাড়ি কলাগাছ।
★ফুলকলির মৃত্যুর কাহিনি বড় করুণ। একদিন পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় বুনো হাতিরা ফুলকলিকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ফুলকলি যায়নি। তখন সব বুনো হাতি মিলে তাকে আক্রমণ করে। ফুলকলির বাম পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফুলকলির চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয় চিকিত্সক। সেই সময় ফুলকলির সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করতেন ওই সময়ের কম্পাউন্ডার শশী বিন্দু চাকমা। তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত।
শশী বলেন, প্রায় আড়াই মাস চিকিত্সা শেষে ১৯৯০ সালের ২৭ জুলাই এক ঝুমবৃষ্টির দিনে পুনরায় আলুটিলা পাহাড়ে যায় ফুলকলি। একটা সময় বেখেয়ালে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। তাতে তার মৃত্যু হয়। পরে ক্রেন দিয়ে ফুলকলিকে তুলে কবর দেওয়া হয়
খাগড়াছড়ির ভালোবাসা ‘ফুলকলি’
খাগড়াছড়ির জন্য এক হাতি (ফুলকলির) অসামান্য অবদান। জানেন কি?- ফুলকলির মৃত্যুর কাহিনি কতটা করুণ।
গল্পটি ৩৩ বছর আগের। ইতিহাসটা আবেগের। গল্পটি এমন—ফুলকলি একটি হাতির নাম। ১৯৫০ সালের দিকে তার জন্ম।
১৯৬২ সালের কথা। তখন খাগড়াছড়ি ছিল একটি মহকুমা। ঘন জঙ্গলে ভরা খাগড়াছড়ির যোগাযোগব্যবস্থা ছিল বেশ নাজুক। শহর থেকে দূরের পাহাড়ি পথে যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি পোষা হাতি এনেছিলেন সে সময়ের মহকুমা প্রশাসক হাবিবুল ইসলাম। তিনি হাতির পিঠে চড়ে যাতায়াত করতেন। হাতিটির নাম রাখা হয় ‘ফুলকলি’।
মহকুমা প্রশাসকের একমাত্র বাহন এই ফুলকলি সবখানে পরিচিতি পেয়ে যায়। দূর গ্রামের কোথাও গেলে মানুষজন ফুলকলিকে আদর করে, পেটভরে খেতে দিত। ফুলকলিরও বিশেষ টান ছিল মানুষের প্রতি। খাগড়াছড়ির জনমানুষের সঙ্গে ফুলকলির এক আত্মিক বন্ধন গড়ে ওঠে।
১৯৮৩ সাল। খাগড়াছড়ি মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। তখনো জেলা প্রশাসকেরা ফুলকলির পিঠে চড়ে দাপ্তরিক কাজ সামলাতেন। জেলা ঘোষণার পর খাগড়াছড়িতে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে। ধীরে ধীরে উন্নত হতে শুরু করে যোগাযোগব্যবস্থা। এলো নতুন যানবাহন। এরপর খানিকটা অবসর পায় ফুলকলি। তখন ফুলকলির কাজ ছিল রাষ্ট্রীয় দিবসগুলোতে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশ নেওয়া। ফুলকলি অভিবাদন জানাত সবাইকে।
👉সত্তর–আশির দশকে পাহাড়ি পথে কোনো যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে খাদে পড়ে গেলে তা টেনে তোলার একমাত্র সহায় ছিল ফুলকলি। ফুলকলির প্রতিবেলার খাবার ছিল এক ছড়ি (৪০-৫০টা) পাকা কলা, ৫টি পাকা কাঁঠাল, ৫ কেজি ছোলা ও ৫ কেজি গম। এছাড়া ফুলকলির খাবার ছিল প্রতি তিন দিনে এক গাড়ি কলাগাছ।
★ফুলকলির মৃত্যুর কাহিনি বড় করুণ। একদিন পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় বুনো হাতিরা ফুলকলিকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ফুলকলি যায়নি। তখন সব বুনো হাতি মিলে তাকে আক্রমণ করে। ফুলকলির বাম পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফুলকলির চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয় চিকিত্সক। সেই সময় ফুলকলির সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করতেন ওই সময়ের কম্পাউন্ডার শশী বিন্দু চাকমা। তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত।
শশী বলেন, প্রায় আড়াই মাস চিকিত্সা শেষে ১৯৯০ সালের ২৭ জুলাই এক ঝুমবৃষ্টির দিনে পুনরায় আলুটিলা পাহাড়ে যায় ফুলকলি। একটা সময় বেখেয়ালে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। তাতে তার মৃত্যু হয়। পরে ক্রেন দিয়ে ফুলকলিকে তুলে কবর দেওয়া হয়
0 Comments
0 Shares
166 Views