বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে থাকা F-7BGI যুদ্ধবিমান দেশের আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন (CAC) দ্বারা নির্মিত এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানটি F-7 সিরিজের একটি উন্নত সংস্করণ, যা মূলত সোভিয়েত মিগ-২১ (MiG-21) এর নকশার উপর ভিত্তি করে তৈরি। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এই বিমানগুলো গ্রহণ করতে শুরু করে এবং ২০১৩ সালের মধ্যে অধিকাংশ বিমানের সরবরাহ সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ, এই বিমানগুলো প্রায় ১২ থেকে ১৫ বছর ধরে আমাদের আকাশসীমা রক্ষায় নিয়োজিত।

F-7BGI সংস্করণটি পূর্ববর্তী F-7 মডেলগুলির তুলনায় উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক এভিওনিক্স, উন্নত রাডার সিস্টেম (KLJ-6F রাডার), এবং বর্ধিত অস্ত্র বহন ক্ষমতা। এটি মাল্টিরোল সক্ষমতার অধিকারী, যার অর্থ এটি আকাশ থেকে আকাশে যুদ্ধ (air-to-air combat) এবং ভূমি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার (ground attack) উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে পারদর্শী। এই বিমানের আধুনিক ককপিটে মাল্টি-ফাংশনাল ডিসপ্লে (MFD), হেড-আপ ডিসপ্লে (HUD) এবং হেলমেট মাউন্টেড সাইট (HMS) এর মতো প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে, যা পাইলটদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

F-7BGI যুদ্ধবিমানটি PL-5, PL-7, PL-8 এবং সম্ভবত PL-9 এর মতো স্বল্প-পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল বহন করতে সক্ষম। এছাড়া, এটি লেজার-গাইডেড বোমা, জিপিএস-গাইডেড বোমা এবং রকেট পড বহন করতে পারে, যা স্থল লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানার ক্ষমতা নিশ্চিত করে। প্রায় ৩০০০ কেজি ওজনের অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা এটিকে একটি শক্তিশালী যুদ্ধবিমানে পরিণত করেছে।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রতিরক্ষা চাহিদার কথা মাথায় রেখে F-7BGI বিমানগুলি বিমান বাহিনীর দ্রুত প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা (Quick Reaction Alert - QRA) বাড়াতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অপরিহার্য অবদান রাখছে। তুলনামূলক কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং উচ্চ কার্যকারিতা এটিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য একটি ব্যয়-সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে থাকা F-7BGI যুদ্ধবিমান দেশের আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন (CAC) দ্বারা নির্মিত এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানটি F-7 সিরিজের একটি উন্নত সংস্করণ, যা মূলত সোভিয়েত মিগ-২১ (MiG-21) এর নকশার উপর ভিত্তি করে তৈরি। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এই বিমানগুলো গ্রহণ করতে শুরু করে এবং ২০১৩ সালের মধ্যে অধিকাংশ বিমানের সরবরাহ সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ, এই বিমানগুলো প্রায় ১২ থেকে ১৫ বছর ধরে আমাদের আকাশসীমা রক্ষায় নিয়োজিত। F-7BGI সংস্করণটি পূর্ববর্তী F-7 মডেলগুলির তুলনায় উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক এভিওনিক্স, উন্নত রাডার সিস্টেম (KLJ-6F রাডার), এবং বর্ধিত অস্ত্র বহন ক্ষমতা। এটি মাল্টিরোল সক্ষমতার অধিকারী, যার অর্থ এটি আকাশ থেকে আকাশে যুদ্ধ (air-to-air combat) এবং ভূমি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার (ground attack) উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে পারদর্শী। এই বিমানের আধুনিক ককপিটে মাল্টি-ফাংশনাল ডিসপ্লে (MFD), হেড-আপ ডিসপ্লে (HUD) এবং হেলমেট মাউন্টেড সাইট (HMS) এর মতো প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে, যা পাইলটদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। F-7BGI যুদ্ধবিমানটি PL-5, PL-7, PL-8 এবং সম্ভবত PL-9 এর মতো স্বল্প-পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল বহন করতে সক্ষম। এছাড়া, এটি লেজার-গাইডেড বোমা, জিপিএস-গাইডেড বোমা এবং রকেট পড বহন করতে পারে, যা স্থল লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানার ক্ষমতা নিশ্চিত করে। প্রায় ৩০০০ কেজি ওজনের অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা এটিকে একটি শক্তিশালী যুদ্ধবিমানে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রতিরক্ষা চাহিদার কথা মাথায় রেখে F-7BGI বিমানগুলি বিমান বাহিনীর দ্রুত প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা (Quick Reaction Alert - QRA) বাড়াতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অপরিহার্য অবদান রাখছে। তুলনামূলক কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং উচ্চ কার্যকারিতা এটিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য একটি ব্যয়-সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0 Comments 0 Shares 37 Views
BlackBird Ai
https://bbai.shop