প্রথম সন্তানের জন্মের পরই এই নারী বুঝতে পারেন, তাঁর শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বুকের দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১০ সালের কথা। টেক্সাসের অ্যালিস ওগলেট্রির বুকের এই বাড়তি দুধ নিয়ে শুরু করেন এক অবিশ্বাস্য সাধনা। অক্লান্ত শৃঙ্খলা, অন্যের প্রতি সাহায্যের তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং এমন এক কঠিন পাম্পিং রুটিন যা খুব কম মানুষই সহ্য করতে পারতো - এই সবকিছুর মাধ্যমে তিনি ২,৬০০ লিটারেরও বেশি বুকের দুধ দান করেছেন। এই পরিমাণ দুধ দেশজুড়ে প্রায় ৩,৫০,০০০ অপরিণত শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট।

এই শিশুদের অনেকেই জন্মেছিল অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়, জীবনের জন্য লড়ছিল প্রতিনিয়ত। তাদের কাছে অ্যালিসের এই দান শুধু সাধারণ কোনো দান ছিল না - এটি ছিল তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন, এক সঞ্জীবনী সুধা।

তাঁর এই অমূল্য দান 'মাদার্স মিল্ক ব্যাংক অফ নর্থ টেক্সাস' এবং 'টাইনি ট্রেজারস মিল্ক ব্যাংক'-এর মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাসপাতালের NICU-তে থাকা শিশুদের এবং সংকটাপন্ন পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে গেছে। এবং এটিই প্রথম নয়; ২০১৪ সালেও তিনি নিজের গড়া রেকর্ড ভেঙেছিলেন, যা প্রমাণ করে যে, মমতা যখন লক্ষ্যে পরিণত হয়, তখন কোনো সীমাই আর বাধা থাকে না।

৩৬ বছর বয়সী অ্যালিস এই কাজ কোনো হাততালি বা প্রশংসার জন্য করেননি। তিনি এটা করেছেন সেই শিশুদের জন্য, যাদের সাথে তাঁর হয়তো কোনোদিন দেখাই হবে না। তিনি এটা করেছেন সেই সব মায়েদের জন্য, যারা চরম অসহায়ত্বের মুহূর্তে নিজের সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না। তিনি এটা করেছেন এই বিশ্বাস থেকে যে, প্রতিটি শিশুরই পৃথিবীতে একটি সুযোগ প্রাপ্য।

সব নায়কেরাই বিশেষ পোশাক পরে আসে না। কিছু নায়ক হাতে একটি পাম্প নিয়ে, শুধুমাত্র লক্ষ্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে, দিনের পর দিন নীরবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যায়। অ্যালিস ওগলেট্রি সেই নায়কদেরই একজন।
প্রথম সন্তানের জন্মের পরই এই নারী বুঝতে পারেন, তাঁর শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বুকের দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১০ সালের কথা। টেক্সাসের অ্যালিস ওগলেট্রির বুকের এই বাড়তি দুধ নিয়ে শুরু করেন এক অবিশ্বাস্য সাধনা। অক্লান্ত শৃঙ্খলা, অন্যের প্রতি সাহায্যের তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং এমন এক কঠিন পাম্পিং রুটিন যা খুব কম মানুষই সহ্য করতে পারতো - এই সবকিছুর মাধ্যমে তিনি ২,৬০০ লিটারেরও বেশি বুকের দুধ দান করেছেন। এই পরিমাণ দুধ দেশজুড়ে প্রায় ৩,৫০,০০০ অপরিণত শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট। এই শিশুদের অনেকেই জন্মেছিল অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়, জীবনের জন্য লড়ছিল প্রতিনিয়ত। তাদের কাছে অ্যালিসের এই দান শুধু সাধারণ কোনো দান ছিল না - এটি ছিল তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন, এক সঞ্জীবনী সুধা। তাঁর এই অমূল্য দান 'মাদার্স মিল্ক ব্যাংক অফ নর্থ টেক্সাস' এবং 'টাইনি ট্রেজারস মিল্ক ব্যাংক'-এর মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাসপাতালের NICU-তে থাকা শিশুদের এবং সংকটাপন্ন পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে গেছে। এবং এটিই প্রথম নয়; ২০১৪ সালেও তিনি নিজের গড়া রেকর্ড ভেঙেছিলেন, যা প্রমাণ করে যে, মমতা যখন লক্ষ্যে পরিণত হয়, তখন কোনো সীমাই আর বাধা থাকে না। ৩৬ বছর বয়সী অ্যালিস এই কাজ কোনো হাততালি বা প্রশংসার জন্য করেননি। তিনি এটা করেছেন সেই শিশুদের জন্য, যাদের সাথে তাঁর হয়তো কোনোদিন দেখাই হবে না। তিনি এটা করেছেন সেই সব মায়েদের জন্য, যারা চরম অসহায়ত্বের মুহূর্তে নিজের সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না। তিনি এটা করেছেন এই বিশ্বাস থেকে যে, প্রতিটি শিশুরই পৃথিবীতে একটি সুযোগ প্রাপ্য। সব নায়কেরাই বিশেষ পোশাক পরে আসে না। কিছু নায়ক হাতে একটি পাম্প নিয়ে, শুধুমাত্র লক্ষ্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে, দিনের পর দিন নীরবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যায়। অ্যালিস ওগলেট্রি সেই নায়কদেরই একজন।
Love
2
0 Kommentare 0 Geteilt 13 Ansichten
BlackBird Ai
https://bbai.shop