বাংলাদেশের মতো একটি দেশ কেবল তখনই আবার বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে, যখন এর প্রতিভাবান ও শিক্ষিত মানুষদের—শিক্ষক, গবেষক, শিল্পী, কবি, লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের—একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আবার সক্রিয়ভাবে সমাজজীবনে ফিরে আসবেন। যদি তা ঘটে, তাহলে বর্তমানে যারা অযোগ্যতা ও মধ্যম মান নিয়ে জনজীবনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তারা আপনাআপনি কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। তখন এই দেশের শিশু-কিশোরেরা পাবে অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষদের উদাহরণ।
একটি জাতি যদি সত্যিকারের উন্নতির পথে এগোতে চায়, তবে সেখানে একটি ক্রিটিক্যাল সংখ্যক মেধাবী, আদর্শবান ও অনুকরণীয় মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। কোনো দেশে যদি ভালো ও সম্মানযোগ্য মানুষের সংখ্যা সেই প্রয়োজনীয় সীমার নিচে নেমে যায়, তাহলে সে দেশ কখনোই সত্যিকারের বাসযোগ্য হতে পারে না। এই কারণেই, আজকের দিনে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় তৃতীয়—সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজধানী দামেস্ক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলীর পরেই।
আমরা যারা পূর্ববর্তী প্রজন্মে বড় হয়েছি, তারা সৌভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, আমরা এমন এক সময়ে বড় হয়েছি, যখন টেলিভিশনে সত্যিকারের গুণী ব্যক্তিত্বরা ছিলেন, যখন সমাজে ছিলেন গভীর ভাবনাসম্পন্ন লেখক, নিষ্ঠাবান শিক্ষক, সৎ ও প্রজ্ঞাবান শিল্পী ও কবি। আমরা টেলিভিশনে ফজলে লোহানীর বুদ্ধিদীপ্ত অনুষ্ঠান দেখেছি। শুনেছি ড. আলাউদ্দিন আল-আজাদের সাহিত্য আলোচনা। আবু হেনা মুস্তাফা কামালের সঞ্চালনায় সংগীত অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি, আর কবি আসাদ চৌধুরীর উপস্থাপনায় দেখেছি মননশীল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজ টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে বটে, কিন্তু ঐ ধরনের গুণী ও অর্থবহ অনুষ্ঠান আর চোখে পড়ে না। টক-শোতে দিনভর তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কথার লড়াই—জ্ঞানার্জনের কিছু নেই, কেবল মোসাহেবি আর আত্মমুগ্ধতা। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি, তখন দেখেছি সত্যিকারের বিদ্বান শিক্ষকদের। আমাদের নিজেদের বিভাগেও পেয়েছি খ্যাতিমান, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-পরিচালকদের। আজকাল সেই জায়গাগুলো যেন ফাঁকা। অথচ এমন গুণী মানুষের সংখ্যা তো আরও বাড়ার কথা ছিল।
একটি জাতি যদি সত্যিকারের উন্নতির পথে এগোতে চায়, তবে সেখানে একটি ক্রিটিক্যাল সংখ্যক মেধাবী, আদর্শবান ও অনুকরণীয় মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। কোনো দেশে যদি ভালো ও সম্মানযোগ্য মানুষের সংখ্যা সেই প্রয়োজনীয় সীমার নিচে নেমে যায়, তাহলে সে দেশ কখনোই সত্যিকারের বাসযোগ্য হতে পারে না। এই কারণেই, আজকের দিনে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় তৃতীয়—সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজধানী দামেস্ক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলীর পরেই।
আমরা যারা পূর্ববর্তী প্রজন্মে বড় হয়েছি, তারা সৌভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, আমরা এমন এক সময়ে বড় হয়েছি, যখন টেলিভিশনে সত্যিকারের গুণী ব্যক্তিত্বরা ছিলেন, যখন সমাজে ছিলেন গভীর ভাবনাসম্পন্ন লেখক, নিষ্ঠাবান শিক্ষক, সৎ ও প্রজ্ঞাবান শিল্পী ও কবি। আমরা টেলিভিশনে ফজলে লোহানীর বুদ্ধিদীপ্ত অনুষ্ঠান দেখেছি। শুনেছি ড. আলাউদ্দিন আল-আজাদের সাহিত্য আলোচনা। আবু হেনা মুস্তাফা কামালের সঞ্চালনায় সংগীত অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি, আর কবি আসাদ চৌধুরীর উপস্থাপনায় দেখেছি মননশীল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজ টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে বটে, কিন্তু ঐ ধরনের গুণী ও অর্থবহ অনুষ্ঠান আর চোখে পড়ে না। টক-শোতে দিনভর তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কথার লড়াই—জ্ঞানার্জনের কিছু নেই, কেবল মোসাহেবি আর আত্মমুগ্ধতা। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি, তখন দেখেছি সত্যিকারের বিদ্বান শিক্ষকদের। আমাদের নিজেদের বিভাগেও পেয়েছি খ্যাতিমান, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-পরিচালকদের। আজকাল সেই জায়গাগুলো যেন ফাঁকা। অথচ এমন গুণী মানুষের সংখ্যা তো আরও বাড়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশের মতো একটি দেশ কেবল তখনই আবার বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে, যখন এর প্রতিভাবান ও শিক্ষিত মানুষদের—শিক্ষক, গবেষক, শিল্পী, কবি, লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের—একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আবার সক্রিয়ভাবে সমাজজীবনে ফিরে আসবেন। যদি তা ঘটে, তাহলে বর্তমানে যারা অযোগ্যতা ও মধ্যম মান নিয়ে জনজীবনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তারা আপনাআপনি কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। তখন এই দেশের শিশু-কিশোরেরা পাবে অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষদের উদাহরণ।
একটি জাতি যদি সত্যিকারের উন্নতির পথে এগোতে চায়, তবে সেখানে একটি ক্রিটিক্যাল সংখ্যক মেধাবী, আদর্শবান ও অনুকরণীয় মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। কোনো দেশে যদি ভালো ও সম্মানযোগ্য মানুষের সংখ্যা সেই প্রয়োজনীয় সীমার নিচে নেমে যায়, তাহলে সে দেশ কখনোই সত্যিকারের বাসযোগ্য হতে পারে না। এই কারণেই, আজকের দিনে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় তৃতীয়—সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজধানী দামেস্ক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলীর পরেই।
আমরা যারা পূর্ববর্তী প্রজন্মে বড় হয়েছি, তারা সৌভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, আমরা এমন এক সময়ে বড় হয়েছি, যখন টেলিভিশনে সত্যিকারের গুণী ব্যক্তিত্বরা ছিলেন, যখন সমাজে ছিলেন গভীর ভাবনাসম্পন্ন লেখক, নিষ্ঠাবান শিক্ষক, সৎ ও প্রজ্ঞাবান শিল্পী ও কবি। আমরা টেলিভিশনে ফজলে লোহানীর বুদ্ধিদীপ্ত অনুষ্ঠান দেখেছি। শুনেছি ড. আলাউদ্দিন আল-আজাদের সাহিত্য আলোচনা। আবু হেনা মুস্তাফা কামালের সঞ্চালনায় সংগীত অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি, আর কবি আসাদ চৌধুরীর উপস্থাপনায় দেখেছি মননশীল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজ টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে বটে, কিন্তু ঐ ধরনের গুণী ও অর্থবহ অনুষ্ঠান আর চোখে পড়ে না। টক-শোতে দিনভর তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কথার লড়াই—জ্ঞানার্জনের কিছু নেই, কেবল মোসাহেবি আর আত্মমুগ্ধতা। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি, তখন দেখেছি সত্যিকারের বিদ্বান শিক্ষকদের। আমাদের নিজেদের বিভাগেও পেয়েছি খ্যাতিমান, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-পরিচালকদের। আজকাল সেই জায়গাগুলো যেন ফাঁকা। অথচ এমন গুণী মানুষের সংখ্যা তো আরও বাড়ার কথা ছিল।
