বাঙ্গালীরা ক্যারিবিয়ান দ্বীপে খুব একটা যায়না। তবুও জেনে রাখুন, বলাতো যায়না! যদি কখনো ভাগ্যক্রমে ওই দ্বীপগুলোতে বেড়াতে চলেই যান তখন হয়তো প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে হালকা পাতার ডিজাইনের একটা ক্যামোফ্লেজ প্যান্ট বা থ্রি-কোয়ার্টার পরে বিচে ঘুরবেন! তাহলে এখনি সাবধান হোন! আপনার এই ফ্যাশন সেন্স আপনাকে সোজা হাজতে পাঠাতে পারে!

বার্বাডোস, জ্যামাইকা, সেন্ট লুসিয়ার মতো দ্বীপগুলোতে আপনার এই "সামরিক" স্টাইল একদম নিষিদ্ধ। আপনি হয়তো নিজেকে একজন ফ্যাশনিস্তা ভাবছেন, কিন্তু ওখানকার আসল মিলিটারি আপনাকে দেখে ভাববে, "আরে! এ তো আমাদের ড্রেস পড়ে বসে আসে! কিন্তু ট্রেনিংয়েতো দেখিনি কোনদিন!" ব্যস, আপনার পরিচয় যাচাই হতে হতেই ছুটির অর্ধেক শেষ।

ব্যাপারটা হলো, এই দেশগুলোতে ছদ্মবেশী বা ডোরাকাটা পোশাক পরাটা শুধু সামরিক বাহিনীর একান্ত অধিকার। আপনি যদি ভুল করে একটা ক্যামোফ্লেজ টুপিও মাথায় দেন, তাহলে ওখানকার "ফ্যাশন পুলিশ" (যারা আসলে সত্যিকারের পুলিশ) আপনাকে ধরে জরিমানা করতে পারে, সাধের পোশাকটা কেড়ে নিতে পারে, এমনকি জেলখানার হাওয়াও খাইয়ে আনতে পারে!

কারণটাও অনেকটাই যৌক্তিক। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে, যখন এই অঞ্চলের অনেক দেশ স্বাধীনতা লাভ করে, তখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ছিল একটি সাধারণ ঘটনা। সে সময় ক্ষমতা দখল বা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী সামরিক পোশাকের অপব্যবহার করত। তারা ডাকাতি, অপহরণ এবং বিভিন্ন সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের আসল পরিচয় বুঝতে না পেরে তাদের সামরিক বাহিনীর সদস্য ভেবে ভুল করেছে। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে এবং সামরিক ও বেসামরিক লোকের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করতে এই আইন করা হয়েছে।

সুতরাং, পরেরবার ক্যারিবিয়ানে গেলে ব্যাগ গোছানোর সময় নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার পোশাকে যেন কোনো "বিদ্রোহী" বা "কম্যান্ডো" ভাব না থাকে। সাধারণ ফুল-লতা-পাতার ডিজাইন পরুন, শান্তিতে থাকুন। নাহলে ছদ্মবেশ ধরতে গিয়ে নিজের পরিচয়টাই হারিয়ে ফেলবেন!
বাঙ্গালীরা ক্যারিবিয়ান দ্বীপে খুব একটা যায়না। তবুও জেনে রাখুন, বলাতো যায়না! যদি কখনো ভাগ্যক্রমে ওই দ্বীপগুলোতে বেড়াতে চলেই যান তখন হয়তো প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে হালকা পাতার ডিজাইনের একটা ক্যামোফ্লেজ প্যান্ট বা থ্রি-কোয়ার্টার পরে বিচে ঘুরবেন! তাহলে এখনি সাবধান হোন! আপনার এই ফ্যাশন সেন্স আপনাকে সোজা হাজতে পাঠাতে পারে! বার্বাডোস, জ্যামাইকা, সেন্ট লুসিয়ার মতো দ্বীপগুলোতে আপনার এই "সামরিক" স্টাইল একদম নিষিদ্ধ। আপনি হয়তো নিজেকে একজন ফ্যাশনিস্তা ভাবছেন, কিন্তু ওখানকার আসল মিলিটারি আপনাকে দেখে ভাববে, "আরে! এ তো আমাদের ড্রেস পড়ে বসে আসে! কিন্তু ট্রেনিংয়েতো দেখিনি কোনদিন!" ব্যস, আপনার পরিচয় যাচাই হতে হতেই ছুটির অর্ধেক শেষ। ব্যাপারটা হলো, এই দেশগুলোতে ছদ্মবেশী বা ডোরাকাটা পোশাক পরাটা শুধু সামরিক বাহিনীর একান্ত অধিকার। আপনি যদি ভুল করে একটা ক্যামোফ্লেজ টুপিও মাথায় দেন, তাহলে ওখানকার "ফ্যাশন পুলিশ" (যারা আসলে সত্যিকারের পুলিশ) আপনাকে ধরে জরিমানা করতে পারে, সাধের পোশাকটা কেড়ে নিতে পারে, এমনকি জেলখানার হাওয়াও খাইয়ে আনতে পারে! কারণটাও অনেকটাই যৌক্তিক। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে, যখন এই অঞ্চলের অনেক দেশ স্বাধীনতা লাভ করে, তখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ছিল একটি সাধারণ ঘটনা। সে সময় ক্ষমতা দখল বা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী সামরিক পোশাকের অপব্যবহার করত। তারা ডাকাতি, অপহরণ এবং বিভিন্ন সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের আসল পরিচয় বুঝতে না পেরে তাদের সামরিক বাহিনীর সদস্য ভেবে ভুল করেছে। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে এবং সামরিক ও বেসামরিক লোকের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করতে এই আইন করা হয়েছে। সুতরাং, পরেরবার ক্যারিবিয়ানে গেলে ব্যাগ গোছানোর সময় নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার পোশাকে যেন কোনো "বিদ্রোহী" বা "কম্যান্ডো" ভাব না থাকে। সাধারণ ফুল-লতা-পাতার ডিজাইন পরুন, শান্তিতে থাকুন। নাহলে ছদ্মবেশ ধরতে গিয়ে নিজের পরিচয়টাই হারিয়ে ফেলবেন!
0 Comments 0 Shares 19 Views 0 Reviews
BlackBird Ai
https://bbai.shop