বেশি খোঁচাবেন না
কানের পর্দা ফেটে গেলে করণীয়

আমাদের কানে একটি পাতলা ও সংবেদনশীল পর্দা থাকে, যার নাম টিমপ্যানিক মেমব্রেন। এটি মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণের মাঝখানে অবস্থান করে এবং শব্দ তরঙ্গ গ্রহণ করে শ্রবণক্ষমতা নিশ্চিত করে।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই পর্দা ফেটে যেতে পারে, যার ফলে শ্রবণশক্তি কমে যায় বা পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়।

---

কানের পর্দা ফাটার কারণ
১. কানের দীর্ঘস্থায়ী ইনফেকশন (যেমন: CSOM)
২. কটন বাড বা অন্য কোনো বস্তু দিয়ে কান খোঁচানো
৩. কানে কিছু ঢুকে গেলে নিজেরা বের করতে চেষ্টা করা
৪. দুর্ঘটনা বা আঘাতজনিত ক্ষতি
৫. হঠাৎ শব্দ বা বায়ুচাপের ধাক্কা (যেমন: থাপ্পড়, বিস্ফোরণ, উচ্চ শব্দ)
৬. কানের অন্য অপারেশনের সময় পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
৭. আগে থেকে দুর্বল পর্দায় কৃত্রিমভাবে চাপ প্রয়োগ করা

---

উপসর্গ
১. প্রথমে তীব্র ব্যথা অনুভব হওয়া
২. কানের ভেতর থেকে রক্তপাত
৩. শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া
৪. মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো
৫. কানে শোঁ শোঁ বা ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা (টিনিটাস)

---

চিকিৎসা
চিকিৎসা নির্ভর করে উপসর্গের মাত্রা ও কারণের উপর। কানের যেকোনো সমস্যা হলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

---

যা যা করা যাবে না

কানে পানি ঢুকানো

নিজের মতো করে ড্রপ ব্যবহার করা

হেডফোন বা লাউড স্পিকারে গান শোনা

কানে কিছু আটকে গেলে নিজেরা তোলার চেষ্টা করা

সাঁতার কাটা

উড়োজাহাজে যাত্রা করা

---

পরামর্শ

গোসলের সময় তুলা বা ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করুন

উচ্চ শব্দ থেকে কানকে রক্ষা করুন

কানে সমস্যা অনুভব করলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

কান খোঁচাবেন না, এমনকি পরিষ্কার করতেও না

---

মনে রাখবেন:
কানের পর্দা ছোট হলেও এটি আপনার শ্রবণক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অসতর্কতায় বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই কানকে ভালোবাসুন, যত্ন নিন।
বেশি খোঁচাবেন না কানের পর্দা ফেটে গেলে করণীয় আমাদের কানে একটি পাতলা ও সংবেদনশীল পর্দা থাকে, যার নাম টিমপ্যানিক মেমব্রেন। এটি মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণের মাঝখানে অবস্থান করে এবং শব্দ তরঙ্গ গ্রহণ করে শ্রবণক্ষমতা নিশ্চিত করে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই পর্দা ফেটে যেতে পারে, যার ফলে শ্রবণশক্তি কমে যায় বা পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। --- কানের পর্দা ফাটার কারণ ১. কানের দীর্ঘস্থায়ী ইনফেকশন (যেমন: CSOM) ২. কটন বাড বা অন্য কোনো বস্তু দিয়ে কান খোঁচানো ৩. কানে কিছু ঢুকে গেলে নিজেরা বের করতে চেষ্টা করা ৪. দুর্ঘটনা বা আঘাতজনিত ক্ষতি ৫. হঠাৎ শব্দ বা বায়ুচাপের ধাক্কা (যেমন: থাপ্পড়, বিস্ফোরণ, উচ্চ শব্দ) ৬. কানের অন্য অপারেশনের সময় পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ৭. আগে থেকে দুর্বল পর্দায় কৃত্রিমভাবে চাপ প্রয়োগ করা --- উপসর্গ ১. প্রথমে তীব্র ব্যথা অনুভব হওয়া ২. কানের ভেতর থেকে রক্তপাত ৩. শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া ৪. মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো ৫. কানে শোঁ শোঁ বা ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা (টিনিটাস) --- চিকিৎসা চিকিৎসা নির্ভর করে উপসর্গের মাত্রা ও কারণের উপর। কানের যেকোনো সমস্যা হলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। --- যা যা করা যাবে না কানে পানি ঢুকানো নিজের মতো করে ড্রপ ব্যবহার করা হেডফোন বা লাউড স্পিকারে গান শোনা কানে কিছু আটকে গেলে নিজেরা তোলার চেষ্টা করা সাঁতার কাটা উড়োজাহাজে যাত্রা করা --- পরামর্শ গোসলের সময় তুলা বা ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করুন উচ্চ শব্দ থেকে কানকে রক্ষা করুন কানে সমস্যা অনুভব করলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কান খোঁচাবেন না, এমনকি পরিষ্কার করতেও না --- মনে রাখবেন: কানের পর্দা ছোট হলেও এটি আপনার শ্রবণক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অসতর্কতায় বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই কানকে ভালোবাসুন, যত্ন নিন।
0 Comments 0 Shares 15 Views 0 Reviews
BlackBird Ai
https://bbai.shop