কনটেন্ট বানাতে বছরে ২০ কোটি ডলারেরও (২ হাজার কোটি টাকার) বেশি খরচ করার পরেও মিস্টার বিস্টের মতো ইউটিউবার কেন নিজের পকেট থেকে টাকা ঢালেন? উত্তরটা জানলে আপনি বুঝে যাবেন কেন পৃথিবীর ৯৯% কনটেন্ট ক্রিয়েটর সফল হতে পারে না। সম্প্রতি রাজ শামানির পডকাস্টে এসেছিলেন কনটেন্ট জগতের বেতাজ বাদশা, জিমি ডোনাল্ডসন, ওরফে মিস্টার বিস্ট।
একজন ক্রিয়েটরের জন্য সেরা স্ট্র্যাটেজি কী?
লাউড এবং বিতকির্ত হওয়া (লোগান পলের মতো) নাকি নম্র এবং সবার জন্য সহজলভ্য হওয়া? মিস্টার বিস্টের উত্তরটি ছিল খুবই সহজ: আপনি আসলে যেমন, ঠিক তেমনই থাকুন। তার মতে, আপনি ১৫ বছর ধরে কোনো ব্যক্তিত্বের অভিনয় করতে পারবেন না। দর্শক আপনার মেকি আচরণ ধরে ফেলবে। আপনার আসল ব্যক্তিত্বই আপনার সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড।
সাফল্যের জন্য মিস্টার বিস্টের কী ত্যাগ করেছে? তার সোজাসাপ্টা উত্তর: সবকিছু। তিনি আক্ষরিক অর্থেই তার জীবনের সবকিছু ইউটিউবের জন্য উৎসর্গ করেছেন। বড়দিনের সকালে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পরিবর্তে তিনি ভিডিও এডিট করেছেন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, পার্টি, ঘুম সবকিছু বাদ দিয়ে তিনি শুধু একটি কাজেই মনোযোগ দিয়েছেন। তার মতে, এই চরম ত্যাগ ছাড়া এই পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব ছিল।
বিস্ট গেমস তৈরির পেছনের গল্প
অকল্পনীয় বাজেট: শুধুমাত্র প্রথম পর্ব বানাতেই তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা)। অ্যামাজন যে বাজেট দিয়েছিল, তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা কয়েক মিলিয়ন ডলার এই শো-তে বিনিয়োগ করেছেন, কারণ তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর সেরা শো বানানো, টাকা আয় করা নয়।
বিশাল আয়োজন: একটি সেটে ১,১০০টিরও বেশি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনোদন জগতের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। এক হাজার প্রতিযোগীর জন্য এক হাজার ট্র্যাপডোর এবং গর্ত তৈরি করা হয়েছিল।
ব্যর্থতার ঝুঁকি: তিনি জানতেন না শো-টি হিট হবে কিনা, কিন্তু তিনি তার সেরাটা দিয়েছেন। তার মতে, সাধারণ রিয়ালিটি শোগুলোর মতো নকল ড্রামা বা আগে থেকে ঠিক করে রাখা স্ক্রিপ্ট নয়, বরং সত্যিকারের ইমোশন এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনাই এই শো-এর প্রাণ।
পডকাস্ট এবং কনটেন্টের ভবিষ্যৎ
মিস্টার বিস্টের মতে, পডকাস্টের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কারণ মানুষ সবসময় অন্যের মস্তিষ্কের ভেতরে কী চলছে তা জানতে চায়। তবে সফল হওয়ার জন্য কোনো শর্টকাট নেই। তার মূলমন্ত্র হলো: "Relentless obsession with making a better product." অর্থাৎ, একটি অসাধারণ কনটেন্ট তৈরির জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাওয়া। আপনার প্রশ্নগুলো কি অন্যদের চেয়ে ভালো? আপনার উপস্থাপনা কি আরও আকর্ষণীয় করা যায়? এই প্রশ্নগুলোই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Feastables: একটি চকোলেট ব্র্যান্ডের মাস্টারক্লাস
মিস্টার বিস্ট তার চকোলেট ব্র্যান্ড 'ফিস্টেবলস'-এর প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে নিজে কাজ করেছেন। বাক্সের ডিজাইন, প্যাকেজিংয়ের জন্য কোল্ড সিল নাকি হট সিল ব্যবহার করা হবে, চকোলেটের পুরুত্ব, এমনকি প্যাকেজের উপর লেখার ফন্ট সবকিছুতেই তার ছোঁয়া আছে।
ভুল থেকে শেখা: প্রথম দিকে তার চকোলেট ডেলিভারির সময় ভেঙে যেত, কারণ বক্স এবং প্যাকেজিং ঠিক ছিল না। এই সমস্যার সমাধান করতে তিনি ৮ মাস প্রোডাকশন বন্ধ রেখেছিলেন।
নৈতিক ব্যবসা: তিনি ethically কোকো সোর্স করেন, কৃষকদের ন্যায্য মজুরি দেন এবং শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করেন। তার মতে, ভালো ব্যবসা করতে গিয়ে পৃথিবীতে খারাপ প্রভাব ফেলার কোনো মানে হয় না।
৯৫% ক্রিয়েটর ব্র্যান্ড আগামী ৫ বছরে বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, বেশিরভাগ ক্রিয়েটর উদ্যোক্তা নন। তাদের উচিত একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সাথে পার্টনারশিপে যাওয়া, নিজে ব্যবসা চালানোর চেষ্টা করা নয়। কারণ একটি পণ্য তৈরি করে সফলভাবে বিক্রি করা কনটেন্ট বানানোর চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জগৎ।
প্রতিটি ইউটিউবারের নিজেকে যে ৩টি প্রশ্ন করা উচিত:
১. আমার আইডিয়াটি কি মৌলিক? (Is this video original?): আপনার আইডিয়াটি কি একটি সাধারণ গরুর মতো, নাকি একটি বেগুনি রঙের গরু (Purple Cow), যা দেখে মানুষ দাঁড়াতে বাধ্য হবে?
২. আমি কি আমার সেরাটা দিচ্ছি? (Am I truly putting as much effort as possible?): ১০০টি সাধারণ ভিডিও বানানোর চেয়ে ১টি অসাধারণ ভিডিও বানানো অনেক সহজ, যা মিলিয়ন ভিউ পাবে।
৩. গতবারের চেয়ে এবার কী উন্নত করছি? (What am I improving from last time?): প্রতিটি ভিডিওতে ১% হলেও উন্নতির চেষ্টা করুন। এই ছোট ছোট উন্নতিগুলোই দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে সবার থেকে আলাদা করে দেবে।
আমি সবসময় সম্পূর্ণ পডকাস্ট দেখার রেকমেন্ড করি। পডকাস্টের সামারিগুলো আপনাদের ভালো লাগছে কিনা কমেন্টে জানাতে পারেন। আমার কি নিয়মিত পডকাস্টের সামারি শেয়ার করা উচিত কিনা এটাও জানাতে পারেন।
একজন ক্রিয়েটরের জন্য সেরা স্ট্র্যাটেজি কী?
লাউড এবং বিতকির্ত হওয়া (লোগান পলের মতো) নাকি নম্র এবং সবার জন্য সহজলভ্য হওয়া? মিস্টার বিস্টের উত্তরটি ছিল খুবই সহজ: আপনি আসলে যেমন, ঠিক তেমনই থাকুন। তার মতে, আপনি ১৫ বছর ধরে কোনো ব্যক্তিত্বের অভিনয় করতে পারবেন না। দর্শক আপনার মেকি আচরণ ধরে ফেলবে। আপনার আসল ব্যক্তিত্বই আপনার সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড।
সাফল্যের জন্য মিস্টার বিস্টের কী ত্যাগ করেছে? তার সোজাসাপ্টা উত্তর: সবকিছু। তিনি আক্ষরিক অর্থেই তার জীবনের সবকিছু ইউটিউবের জন্য উৎসর্গ করেছেন। বড়দিনের সকালে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পরিবর্তে তিনি ভিডিও এডিট করেছেন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, পার্টি, ঘুম সবকিছু বাদ দিয়ে তিনি শুধু একটি কাজেই মনোযোগ দিয়েছেন। তার মতে, এই চরম ত্যাগ ছাড়া এই পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব ছিল।
বিস্ট গেমস তৈরির পেছনের গল্প
অকল্পনীয় বাজেট: শুধুমাত্র প্রথম পর্ব বানাতেই তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা)। অ্যামাজন যে বাজেট দিয়েছিল, তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা কয়েক মিলিয়ন ডলার এই শো-তে বিনিয়োগ করেছেন, কারণ তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর সেরা শো বানানো, টাকা আয় করা নয়।
বিশাল আয়োজন: একটি সেটে ১,১০০টিরও বেশি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনোদন জগতের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। এক হাজার প্রতিযোগীর জন্য এক হাজার ট্র্যাপডোর এবং গর্ত তৈরি করা হয়েছিল।
ব্যর্থতার ঝুঁকি: তিনি জানতেন না শো-টি হিট হবে কিনা, কিন্তু তিনি তার সেরাটা দিয়েছেন। তার মতে, সাধারণ রিয়ালিটি শোগুলোর মতো নকল ড্রামা বা আগে থেকে ঠিক করে রাখা স্ক্রিপ্ট নয়, বরং সত্যিকারের ইমোশন এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনাই এই শো-এর প্রাণ।
পডকাস্ট এবং কনটেন্টের ভবিষ্যৎ
মিস্টার বিস্টের মতে, পডকাস্টের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কারণ মানুষ সবসময় অন্যের মস্তিষ্কের ভেতরে কী চলছে তা জানতে চায়। তবে সফল হওয়ার জন্য কোনো শর্টকাট নেই। তার মূলমন্ত্র হলো: "Relentless obsession with making a better product." অর্থাৎ, একটি অসাধারণ কনটেন্ট তৈরির জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাওয়া। আপনার প্রশ্নগুলো কি অন্যদের চেয়ে ভালো? আপনার উপস্থাপনা কি আরও আকর্ষণীয় করা যায়? এই প্রশ্নগুলোই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Feastables: একটি চকোলেট ব্র্যান্ডের মাস্টারক্লাস
মিস্টার বিস্ট তার চকোলেট ব্র্যান্ড 'ফিস্টেবলস'-এর প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে নিজে কাজ করেছেন। বাক্সের ডিজাইন, প্যাকেজিংয়ের জন্য কোল্ড সিল নাকি হট সিল ব্যবহার করা হবে, চকোলেটের পুরুত্ব, এমনকি প্যাকেজের উপর লেখার ফন্ট সবকিছুতেই তার ছোঁয়া আছে।
ভুল থেকে শেখা: প্রথম দিকে তার চকোলেট ডেলিভারির সময় ভেঙে যেত, কারণ বক্স এবং প্যাকেজিং ঠিক ছিল না। এই সমস্যার সমাধান করতে তিনি ৮ মাস প্রোডাকশন বন্ধ রেখেছিলেন।
নৈতিক ব্যবসা: তিনি ethically কোকো সোর্স করেন, কৃষকদের ন্যায্য মজুরি দেন এবং শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করেন। তার মতে, ভালো ব্যবসা করতে গিয়ে পৃথিবীতে খারাপ প্রভাব ফেলার কোনো মানে হয় না।
৯৫% ক্রিয়েটর ব্র্যান্ড আগামী ৫ বছরে বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, বেশিরভাগ ক্রিয়েটর উদ্যোক্তা নন। তাদের উচিত একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সাথে পার্টনারশিপে যাওয়া, নিজে ব্যবসা চালানোর চেষ্টা করা নয়। কারণ একটি পণ্য তৈরি করে সফলভাবে বিক্রি করা কনটেন্ট বানানোর চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জগৎ।
প্রতিটি ইউটিউবারের নিজেকে যে ৩টি প্রশ্ন করা উচিত:
১. আমার আইডিয়াটি কি মৌলিক? (Is this video original?): আপনার আইডিয়াটি কি একটি সাধারণ গরুর মতো, নাকি একটি বেগুনি রঙের গরু (Purple Cow), যা দেখে মানুষ দাঁড়াতে বাধ্য হবে?
২. আমি কি আমার সেরাটা দিচ্ছি? (Am I truly putting as much effort as possible?): ১০০টি সাধারণ ভিডিও বানানোর চেয়ে ১টি অসাধারণ ভিডিও বানানো অনেক সহজ, যা মিলিয়ন ভিউ পাবে।
৩. গতবারের চেয়ে এবার কী উন্নত করছি? (What am I improving from last time?): প্রতিটি ভিডিওতে ১% হলেও উন্নতির চেষ্টা করুন। এই ছোট ছোট উন্নতিগুলোই দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে সবার থেকে আলাদা করে দেবে।
আমি সবসময় সম্পূর্ণ পডকাস্ট দেখার রেকমেন্ড করি। পডকাস্টের সামারিগুলো আপনাদের ভালো লাগছে কিনা কমেন্টে জানাতে পারেন। আমার কি নিয়মিত পডকাস্টের সামারি শেয়ার করা উচিত কিনা এটাও জানাতে পারেন।
কনটেন্ট বানাতে বছরে ২০ কোটি ডলারেরও (২ হাজার কোটি টাকার) বেশি খরচ করার পরেও মিস্টার বিস্টের মতো ইউটিউবার কেন নিজের পকেট থেকে টাকা ঢালেন? উত্তরটা জানলে আপনি বুঝে যাবেন কেন পৃথিবীর ৯৯% কনটেন্ট ক্রিয়েটর সফল হতে পারে না। সম্প্রতি রাজ শামানির পডকাস্টে এসেছিলেন কনটেন্ট জগতের বেতাজ বাদশা, জিমি ডোনাল্ডসন, ওরফে মিস্টার বিস্ট।
একজন ক্রিয়েটরের জন্য সেরা স্ট্র্যাটেজি কী?
লাউড এবং বিতকির্ত হওয়া (লোগান পলের মতো) নাকি নম্র এবং সবার জন্য সহজলভ্য হওয়া? মিস্টার বিস্টের উত্তরটি ছিল খুবই সহজ: আপনি আসলে যেমন, ঠিক তেমনই থাকুন। তার মতে, আপনি ১৫ বছর ধরে কোনো ব্যক্তিত্বের অভিনয় করতে পারবেন না। দর্শক আপনার মেকি আচরণ ধরে ফেলবে। আপনার আসল ব্যক্তিত্বই আপনার সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড।
সাফল্যের জন্য মিস্টার বিস্টের কী ত্যাগ করেছে? তার সোজাসাপ্টা উত্তর: সবকিছু। তিনি আক্ষরিক অর্থেই তার জীবনের সবকিছু ইউটিউবের জন্য উৎসর্গ করেছেন। বড়দিনের সকালে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পরিবর্তে তিনি ভিডিও এডিট করেছেন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, পার্টি, ঘুম সবকিছু বাদ দিয়ে তিনি শুধু একটি কাজেই মনোযোগ দিয়েছেন। তার মতে, এই চরম ত্যাগ ছাড়া এই পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব ছিল।
বিস্ট গেমস তৈরির পেছনের গল্প
অকল্পনীয় বাজেট: শুধুমাত্র প্রথম পর্ব বানাতেই তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা)। অ্যামাজন যে বাজেট দিয়েছিল, তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা কয়েক মিলিয়ন ডলার এই শো-তে বিনিয়োগ করেছেন, কারণ তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর সেরা শো বানানো, টাকা আয় করা নয়।
বিশাল আয়োজন: একটি সেটে ১,১০০টিরও বেশি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনোদন জগতের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। এক হাজার প্রতিযোগীর জন্য এক হাজার ট্র্যাপডোর এবং গর্ত তৈরি করা হয়েছিল।
ব্যর্থতার ঝুঁকি: তিনি জানতেন না শো-টি হিট হবে কিনা, কিন্তু তিনি তার সেরাটা দিয়েছেন। তার মতে, সাধারণ রিয়ালিটি শোগুলোর মতো নকল ড্রামা বা আগে থেকে ঠিক করে রাখা স্ক্রিপ্ট নয়, বরং সত্যিকারের ইমোশন এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনাই এই শো-এর প্রাণ।
পডকাস্ট এবং কনটেন্টের ভবিষ্যৎ
মিস্টার বিস্টের মতে, পডকাস্টের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কারণ মানুষ সবসময় অন্যের মস্তিষ্কের ভেতরে কী চলছে তা জানতে চায়। তবে সফল হওয়ার জন্য কোনো শর্টকাট নেই। তার মূলমন্ত্র হলো: "Relentless obsession with making a better product." অর্থাৎ, একটি অসাধারণ কনটেন্ট তৈরির জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাওয়া। আপনার প্রশ্নগুলো কি অন্যদের চেয়ে ভালো? আপনার উপস্থাপনা কি আরও আকর্ষণীয় করা যায়? এই প্রশ্নগুলোই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Feastables: একটি চকোলেট ব্র্যান্ডের মাস্টারক্লাস
মিস্টার বিস্ট তার চকোলেট ব্র্যান্ড 'ফিস্টেবলস'-এর প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে নিজে কাজ করেছেন। বাক্সের ডিজাইন, প্যাকেজিংয়ের জন্য কোল্ড সিল নাকি হট সিল ব্যবহার করা হবে, চকোলেটের পুরুত্ব, এমনকি প্যাকেজের উপর লেখার ফন্ট সবকিছুতেই তার ছোঁয়া আছে।
ভুল থেকে শেখা: প্রথম দিকে তার চকোলেট ডেলিভারির সময় ভেঙে যেত, কারণ বক্স এবং প্যাকেজিং ঠিক ছিল না। এই সমস্যার সমাধান করতে তিনি ৮ মাস প্রোডাকশন বন্ধ রেখেছিলেন।
নৈতিক ব্যবসা: তিনি ethically কোকো সোর্স করেন, কৃষকদের ন্যায্য মজুরি দেন এবং শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করেন। তার মতে, ভালো ব্যবসা করতে গিয়ে পৃথিবীতে খারাপ প্রভাব ফেলার কোনো মানে হয় না।
৯৫% ক্রিয়েটর ব্র্যান্ড আগামী ৫ বছরে বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, বেশিরভাগ ক্রিয়েটর উদ্যোক্তা নন। তাদের উচিত একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সাথে পার্টনারশিপে যাওয়া, নিজে ব্যবসা চালানোর চেষ্টা করা নয়। কারণ একটি পণ্য তৈরি করে সফলভাবে বিক্রি করা কনটেন্ট বানানোর চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জগৎ।
প্রতিটি ইউটিউবারের নিজেকে যে ৩টি প্রশ্ন করা উচিত:
১. আমার আইডিয়াটি কি মৌলিক? (Is this video original?): আপনার আইডিয়াটি কি একটি সাধারণ গরুর মতো, নাকি একটি বেগুনি রঙের গরু (Purple Cow), যা দেখে মানুষ দাঁড়াতে বাধ্য হবে?
২. আমি কি আমার সেরাটা দিচ্ছি? (Am I truly putting as much effort as possible?): ১০০টি সাধারণ ভিডিও বানানোর চেয়ে ১টি অসাধারণ ভিডিও বানানো অনেক সহজ, যা মিলিয়ন ভিউ পাবে।
৩. গতবারের চেয়ে এবার কী উন্নত করছি? (What am I improving from last time?): প্রতিটি ভিডিওতে ১% হলেও উন্নতির চেষ্টা করুন। এই ছোট ছোট উন্নতিগুলোই দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে সবার থেকে আলাদা করে দেবে।
আমি সবসময় সম্পূর্ণ পডকাস্ট দেখার রেকমেন্ড করি। পডকাস্টের সামারিগুলো আপনাদের ভালো লাগছে কিনা কমেন্টে জানাতে পারেন। আমার কি নিয়মিত পডকাস্টের সামারি শেয়ার করা উচিত কিনা এটাও জানাতে পারেন।
