১৮০০ সালের আগের যুগে বিজ্ঞানীরা বিদ্যুতের গতি সম্পর্কে অনেক কৌতূহল পোষণ করতেন। তখনকার পরীক্ষাগুলো ছিল অনেকটা আজকের তুলনায় ভিন্নরকম এবং অনেক সময় বেশ বিপজ্জনকও। একদম এমনই এক অদ্ভুত এবং চমকপ্রদ পরীক্ষা করেছিলেন ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী ও ধর্মযাজক জাঁ-অঁতোয়ান নোলেট। তিনি ১৭৪৬ সালে ২০০ জন কার্থুসিয়ান সন্ন্যাসীকে এক বড় একটি সার্কেল আকারে দাঁড় করান, যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় এক মাইল বা ১.৬ কিলোমিটার। সন্ন্যাসীরা তাদের হাতে ব্রাসের লাঠি ধরে ছিলেন, যেগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরপর নোলেট তাদের শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করার জন্য লেইডেন জার থেকে বিদ্যুৎ চার্জ প্রেরণ করেন।

নোলেটের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যুতের গতি নির্ণয় করা। তিনি ভেবেছিলেন, বিদ্যুতের তরঙ্গ ধীরে ধীরে সন্ন্যাসীদের দেহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে এবং তারা এক এক করে আঘাত পাবে। ঠিক যেন ফুটবল খেলার স্টেডিয়ামে দেখা যায়, দর্শকরা একের পর এক হাতে হাত দোলানোর মাধ্যমে ‘ওয়েভ’ তৈরি করে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। বিদ্যুৎ সারা সার্কেলের মধ্য দিয়ে প্রচণ্ড দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সন্ন্যাসীরা প্রায় একই সময়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ কারণে নোলেট সিদ্ধান্ত নিলেন যে বিদ্যুতের গতি সীমাহীন, অর্থাৎ এটা অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে চলে।

বর্তমানে আমরা জানি, বিদ্যুতের গতি নির্ভর করে তার মাধ্যমের ওপর। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ সাধারণত প্রায় ২৭০,০০০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড বা আলোর গতি থেকে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি গতি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিদ্যুতের একক ইলেকট্রন আসলে ধীর গতিতে নড়াচড়া করে, প্রায় ০.০২ সেন্টিমিটার প্রতি সেকেন্ডের মতো। এই গতি সম্পর্কে পরিমাপ করার জন্য আজকের দিনে কারো শরীরের উপর এ ধরনের বিপজ্জনক পরীক্ষা করা হয় না।

নোলেটের এই পরীক্ষা আমাদের বিদ্যুতের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রথম ধারণা দিতে সাহায্য করেছিল। যদিও পরীক্ষা ছিল বিপজ্জনক এবং অনৈতিক বলেও বিবেচিত হতে পারে, তবুও এটি বিদ্যুতের গতি সম্পর্কে সেই যুগের জন্য একটি বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ছিল। আজকের দিনে আমরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই গতি অনেক বেশি নির্ভুলভাবে মাপতে পারি এবং নিরাপদে গবেষণা চালাতে পারি।
১৮০০ সালের আগের যুগে বিজ্ঞানীরা বিদ্যুতের গতি সম্পর্কে অনেক কৌতূহল পোষণ করতেন। তখনকার পরীক্ষাগুলো ছিল অনেকটা আজকের তুলনায় ভিন্নরকম এবং অনেক সময় বেশ বিপজ্জনকও। একদম এমনই এক অদ্ভুত এবং চমকপ্রদ পরীক্ষা করেছিলেন ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী ও ধর্মযাজক জাঁ-অঁতোয়ান নোলেট। তিনি ১৭৪৬ সালে ২০০ জন কার্থুসিয়ান সন্ন্যাসীকে এক বড় একটি সার্কেল আকারে দাঁড় করান, যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় এক মাইল বা ১.৬ কিলোমিটার। সন্ন্যাসীরা তাদের হাতে ব্রাসের লাঠি ধরে ছিলেন, যেগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরপর নোলেট তাদের শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করার জন্য লেইডেন জার থেকে বিদ্যুৎ চার্জ প্রেরণ করেন। নোলেটের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যুতের গতি নির্ণয় করা। তিনি ভেবেছিলেন, বিদ্যুতের তরঙ্গ ধীরে ধীরে সন্ন্যাসীদের দেহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে এবং তারা এক এক করে আঘাত পাবে। ঠিক যেন ফুটবল খেলার স্টেডিয়ামে দেখা যায়, দর্শকরা একের পর এক হাতে হাত দোলানোর মাধ্যমে ‘ওয়েভ’ তৈরি করে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। বিদ্যুৎ সারা সার্কেলের মধ্য দিয়ে প্রচণ্ড দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সন্ন্যাসীরা প্রায় একই সময়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ কারণে নোলেট সিদ্ধান্ত নিলেন যে বিদ্যুতের গতি সীমাহীন, অর্থাৎ এটা অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে চলে। বর্তমানে আমরা জানি, বিদ্যুতের গতি নির্ভর করে তার মাধ্যমের ওপর। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ সাধারণত প্রায় ২৭০,০০০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড বা আলোর গতি থেকে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি গতি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিদ্যুতের একক ইলেকট্রন আসলে ধীর গতিতে নড়াচড়া করে, প্রায় ০.০২ সেন্টিমিটার প্রতি সেকেন্ডের মতো। এই গতি সম্পর্কে পরিমাপ করার জন্য আজকের দিনে কারো শরীরের উপর এ ধরনের বিপজ্জনক পরীক্ষা করা হয় না। নোলেটের এই পরীক্ষা আমাদের বিদ্যুতের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রথম ধারণা দিতে সাহায্য করেছিল। যদিও পরীক্ষা ছিল বিপজ্জনক এবং অনৈতিক বলেও বিবেচিত হতে পারে, তবুও এটি বিদ্যুতের গতি সম্পর্কে সেই যুগের জন্য একটি বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ছিল। আজকের দিনে আমরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই গতি অনেক বেশি নির্ভুলভাবে মাপতে পারি এবং নিরাপদে গবেষণা চালাতে পারি।
Sad
1
0 Kommentare 0 Geteilt 174 Ansichten
BlackBird Ai
https://bbai.shop