অনেক, অনেক বছর আগে—যখন মানুষ সবে চাষাবাদ শিখছিল, তখনই এক আশ্চর্য গাছের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। এই গাছ একদিকে যেমন উঁচু, তেমনি এর ফল ছিল স্বাদে, পুষ্টিতে আর শক্তিতে ভরপুর। এই ফলের নাম খেজুর।
প্রায় সাত হাজার বছর আগে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার বাসিন্দা সুমেরিয়ানরা প্রথম এই খেজুর চাষ করেছিল। খেজুর গাছ তাদের জীবনের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিল যে, তাদের ভাষায় এর অনেকগুলো নাম ছিল। ভাষাবিদরা বলেন, কিছু নাম এত পুরোনো যে, সেগুলো হয়তো সুমেরিয়ানদেরও আগের সময়ের মানুষদের কাছ থেকে এসেছে।
শুধু সুমেরিয়ানরা নয়—সেই সময়ের আরও এক মহান সভ্যতা, সিন্ধু উপত্যকার মানুষরাও খেজুর খেত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে খ্রিস্টপূর্ব ছয় হাজার বছর আগে তাঁরা খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত ছিলেন। গবেষকদের ধারণা, এখান থেকেই খেজুর ছড়িয়ে পড়ে আরও পূর্বের দেশে, এমনকি মিশরেও।
ভারতের প্রাচীনতম গ্রন্থ অথর্ববেদ-এ খেজুরকে বলা হয়েছে "আকাশে যা উজ্জ্বল, তাই খর্জুর।" অর্থাৎ এই গাছের গুণ ও সৌন্দর্য যেন আকাশের তারাদের মতোই উজ্জ্বল। সেখানে লেখা আছে, সূর্য তার প্রখর রশ্মিতে খেজুর গাছকে বারবার পরীক্ষা করেছে, কিন্তু খেজুর আরও বেশি আনন্দে জেগে উঠেছে।
এমনকি ইসলাম ধর্মেও খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে খেজুরের নাম এসেছে কুড়িবার—আটবার এককভাবে, আর বারোবার অন্য ফলের সঙ্গে। নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেও খেজুর ভালোবাসতেন। সকালে তিনি সাতটি খেজুর আর এক গ্লাস দুধ খেয়ে দিন শুরু করতেন। খেজুরে থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন ও প্রচুর ফাইবার, যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে এতে ভিটামিন সি নেই, সম্ভবত সে কারণেই নবীজী দুধ যোগ করতেন, যাতে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না থাকে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, নিয়মিত খেজুর খেলে শয়তান মানুষের কাছে ঘেঁষতে পারে না।
খেজুরের প্রতি এই ভালোবাসা শুধু ইসলাম ধর্মে নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মেও আছে। তাদের ধর্মগুরু আব্রাহামও নাকি খেজুর খুব পছন্দ করতেন।
আরও পেছনে গেলে দেখা যায়, প্রেম ও উর্বরতার সুমেরীয় দেবী "মিলিতা"কেও কল্পনা করা হতো খেজুর গাছের রূপে। আধুনিক গবেষণাও বলে, খেজুর খেলে প্রসব যন্ত্রণা কমে l
এদিকে আমরা? আমাদের দেশে খেজুর মানেই যেন শীতের সকাল, রস উঠেছে গাছে। সেই রস দিয়ে হয় নলেন গুড়, খেজুর পাতায় বানানো হয় ঝাঁটা, চাটাই। আর সেই খেজুর গাছেই এক সাধক গেয়ে গেছেন—
"খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধ মন..."
খেজুর শুধু একটি ফল নয়—এ এক ঐতিহ্য, ইতিহাস, প্রেম, শক্তি আর আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। পৃথিবীর প্রাচীনতম গাছগুলোর একটি হয়ে সে আজও আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে, চুপচাপ।
প্রায় সাত হাজার বছর আগে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার বাসিন্দা সুমেরিয়ানরা প্রথম এই খেজুর চাষ করেছিল। খেজুর গাছ তাদের জীবনের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিল যে, তাদের ভাষায় এর অনেকগুলো নাম ছিল। ভাষাবিদরা বলেন, কিছু নাম এত পুরোনো যে, সেগুলো হয়তো সুমেরিয়ানদেরও আগের সময়ের মানুষদের কাছ থেকে এসেছে।
শুধু সুমেরিয়ানরা নয়—সেই সময়ের আরও এক মহান সভ্যতা, সিন্ধু উপত্যকার মানুষরাও খেজুর খেত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে খ্রিস্টপূর্ব ছয় হাজার বছর আগে তাঁরা খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত ছিলেন। গবেষকদের ধারণা, এখান থেকেই খেজুর ছড়িয়ে পড়ে আরও পূর্বের দেশে, এমনকি মিশরেও।
ভারতের প্রাচীনতম গ্রন্থ অথর্ববেদ-এ খেজুরকে বলা হয়েছে "আকাশে যা উজ্জ্বল, তাই খর্জুর।" অর্থাৎ এই গাছের গুণ ও সৌন্দর্য যেন আকাশের তারাদের মতোই উজ্জ্বল। সেখানে লেখা আছে, সূর্য তার প্রখর রশ্মিতে খেজুর গাছকে বারবার পরীক্ষা করেছে, কিন্তু খেজুর আরও বেশি আনন্দে জেগে উঠেছে।
এমনকি ইসলাম ধর্মেও খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে খেজুরের নাম এসেছে কুড়িবার—আটবার এককভাবে, আর বারোবার অন্য ফলের সঙ্গে। নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেও খেজুর ভালোবাসতেন। সকালে তিনি সাতটি খেজুর আর এক গ্লাস দুধ খেয়ে দিন শুরু করতেন। খেজুরে থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন ও প্রচুর ফাইবার, যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে এতে ভিটামিন সি নেই, সম্ভবত সে কারণেই নবীজী দুধ যোগ করতেন, যাতে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না থাকে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, নিয়মিত খেজুর খেলে শয়তান মানুষের কাছে ঘেঁষতে পারে না।
খেজুরের প্রতি এই ভালোবাসা শুধু ইসলাম ধর্মে নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মেও আছে। তাদের ধর্মগুরু আব্রাহামও নাকি খেজুর খুব পছন্দ করতেন।
আরও পেছনে গেলে দেখা যায়, প্রেম ও উর্বরতার সুমেরীয় দেবী "মিলিতা"কেও কল্পনা করা হতো খেজুর গাছের রূপে। আধুনিক গবেষণাও বলে, খেজুর খেলে প্রসব যন্ত্রণা কমে l
এদিকে আমরা? আমাদের দেশে খেজুর মানেই যেন শীতের সকাল, রস উঠেছে গাছে। সেই রস দিয়ে হয় নলেন গুড়, খেজুর পাতায় বানানো হয় ঝাঁটা, চাটাই। আর সেই খেজুর গাছেই এক সাধক গেয়ে গেছেন—
"খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধ মন..."
খেজুর শুধু একটি ফল নয়—এ এক ঐতিহ্য, ইতিহাস, প্রেম, শক্তি আর আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। পৃথিবীর প্রাচীনতম গাছগুলোর একটি হয়ে সে আজও আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে, চুপচাপ।
অনেক, অনেক বছর আগে—যখন মানুষ সবে চাষাবাদ শিখছিল, তখনই এক আশ্চর্য গাছের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। এই গাছ একদিকে যেমন উঁচু, তেমনি এর ফল ছিল স্বাদে, পুষ্টিতে আর শক্তিতে ভরপুর। এই ফলের নাম খেজুর।
প্রায় সাত হাজার বছর আগে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার বাসিন্দা সুমেরিয়ানরা প্রথম এই খেজুর চাষ করেছিল। খেজুর গাছ তাদের জীবনের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিল যে, তাদের ভাষায় এর অনেকগুলো নাম ছিল। ভাষাবিদরা বলেন, কিছু নাম এত পুরোনো যে, সেগুলো হয়তো সুমেরিয়ানদেরও আগের সময়ের মানুষদের কাছ থেকে এসেছে।
শুধু সুমেরিয়ানরা নয়—সেই সময়ের আরও এক মহান সভ্যতা, সিন্ধু উপত্যকার মানুষরাও খেজুর খেত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে খ্রিস্টপূর্ব ছয় হাজার বছর আগে তাঁরা খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত ছিলেন। গবেষকদের ধারণা, এখান থেকেই খেজুর ছড়িয়ে পড়ে আরও পূর্বের দেশে, এমনকি মিশরেও।
ভারতের প্রাচীনতম গ্রন্থ অথর্ববেদ-এ খেজুরকে বলা হয়েছে "আকাশে যা উজ্জ্বল, তাই খর্জুর।" অর্থাৎ এই গাছের গুণ ও সৌন্দর্য যেন আকাশের তারাদের মতোই উজ্জ্বল। সেখানে লেখা আছে, সূর্য তার প্রখর রশ্মিতে খেজুর গাছকে বারবার পরীক্ষা করেছে, কিন্তু খেজুর আরও বেশি আনন্দে জেগে উঠেছে।
এমনকি ইসলাম ধর্মেও খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে খেজুরের নাম এসেছে কুড়িবার—আটবার এককভাবে, আর বারোবার অন্য ফলের সঙ্গে। নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেও খেজুর ভালোবাসতেন। সকালে তিনি সাতটি খেজুর আর এক গ্লাস দুধ খেয়ে দিন শুরু করতেন। খেজুরে থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন ও প্রচুর ফাইবার, যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে এতে ভিটামিন সি নেই, সম্ভবত সে কারণেই নবীজী দুধ যোগ করতেন, যাতে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না থাকে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, নিয়মিত খেজুর খেলে শয়তান মানুষের কাছে ঘেঁষতে পারে না।
খেজুরের প্রতি এই ভালোবাসা শুধু ইসলাম ধর্মে নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মেও আছে। তাদের ধর্মগুরু আব্রাহামও নাকি খেজুর খুব পছন্দ করতেন।
আরও পেছনে গেলে দেখা যায়, প্রেম ও উর্বরতার সুমেরীয় দেবী "মিলিতা"কেও কল্পনা করা হতো খেজুর গাছের রূপে। আধুনিক গবেষণাও বলে, খেজুর খেলে প্রসব যন্ত্রণা কমে l
এদিকে আমরা? আমাদের দেশে খেজুর মানেই যেন শীতের সকাল, রস উঠেছে গাছে। সেই রস দিয়ে হয় নলেন গুড়, খেজুর পাতায় বানানো হয় ঝাঁটা, চাটাই। আর সেই খেজুর গাছেই এক সাধক গেয়ে গেছেন—
"খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধ মন..."
খেজুর শুধু একটি ফল নয়—এ এক ঐতিহ্য, ইতিহাস, প্রেম, শক্তি আর আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। পৃথিবীর প্রাচীনতম গাছগুলোর একটি হয়ে সে আজও আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে, চুপচাপ।
0 Комментарии
0 Поделились
105 Просмотры