গুগলকে হারানোর স্বপ্ন দেখাটাও যেখানে পাগলামি, সেখানে এক ভারতীয় তরুণ এমন টেকনোলজি তৈরি করেছে যা গুগলের সাম্রাজ্যকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, জেফ বেজোস এবং জেনসেন হুয়াং এর মতো টাইটানরা তার পেছনে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছেন। কেন? কারণ তিনি সার্চের ভবিষ্যৎকে নতুন করে ডিজাইন করছেন।

আমরা যখন কোনো তথ্য খুঁজি, তখন আমাদের প্রথম পছন্দ হয় গুগল। কিন্তু গুগল কি আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেয়, নাকি শুধু লিঙ্কের গোলকধাঁধায় হারিয়ে দেয়? রাজ শামানির পডকাস্টে Perplexity AI এর প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ শ্রীনিবাস বলছেন, তথ্যের ভবিষ্যৎ লিঙ্কে নয়, সরাসরি উত্তরে।

যখন অরবিন্দ তার কোম্পানি শুরু করেন, তখন তার কাছে বড় কোনো ফান্ডিং ছিল না। Perplexity .ai ডোমেইনটি তিনি মাত্র ১২০ ডলারে কিনেছিলেন। নামটি কিছুটা জটিল হলেও, AI এর জগতে Perplexity একটি মেট্রিক, যা কোনো মডেল কতটা ভালোভাবে একটি বিষয় বুঝতে পারে তা পরিমাপ করে। এটিই তার কোম্পানির মূল দর্শন গভীরভাবে বোঝা এবং সঠিক উত্তর দেওয়া।

জেফ বেজোস কেন Perplexity তে ইনভেস্ট করলো?
আরাবিন্দ একটি কাল্পনিক ডেমো তৈরি করেছিলেন, যেখানে জেফ বেজোস নিজেই Perplexity এর সাথে কথা বলছেন স্টার ট্রেক এবং ব্লু অরিজিন নিয়ে। এই সৃজনশীল এবং সাহসী পদক্ষেপটি বেজোসের মনোযোগ আকর্ষণ করে।

বেজোসের মতে, Perplexity এর সাফল্য গুগলের ব্যর্থতার উপর নির্ভরশীল নয়। এটি নিজের একটি স্বতন্ত্র এবং উন্নত পণ্য তৈরি করছে, যা ব্যবহারকারীদের সরাসরি উত্তর দিয়ে তাদের সময় বাঁচায়। অ্যামাজনের মতোই, এর মূল ফোকাস হলো কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স।

বেজোস আরাবিন্দকে পরামর্শ দেন, ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে তাদের ধরে রাখার উপর মনোযোগ দাও। এই দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনাই বড় কোম্পানিগুলোকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।

Perplexity কীভাবে উত্তর দেয়?
গুগলের মতো শুধু লিঙ্ক দেখানো নয়, Perplexity একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মডেলে কাজ করে। এটি আপনার প্রশ্নটিকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের সাথে মিলিয়ে নেয়। এরপর ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল সেই তথ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করে একটি সংক্ষিপ্ত, সঠিক এবং বোধগম্য উত্তর তৈরি করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটি উত্তরের সাথে সোর্স উল্লেখ করে দেয়, যাতে আপনি তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেন।

Perplexity VS Google
Google: এটি মূলত একটি নেভিগেশন টুল। গুগলে বেশিরভাগ সার্চ হয় এক বা দুই শব্দের (যেমন: Amazon, Weather)। এটি আপনাকে তথ্যের দরজার সামনে পৌঁছে দেয়।

Perplexity: এটি একটি Answer Engine. এখানে ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ এবং জটিল প্রশ্ন করে (যেমন: শচীন টেন্ডুলকার কতবার সেঞ্চুরি করার পরেও ভারত হেরেছে?)। এটি আপনাকে সরাসরি ঘরের ভেতরে থাকা উত্তরটি এনে দেয়।

Perplexity আজ কোথায় দাঁড়িয়ে?
এখনও বাজারের রাজা চ্যাটজিপিটি, কিন্তু Perplexity দ্রুতগতিতে উঠে আসছে।
ওয়েবে: চ্যাটজিপিটি এবং জেমিনির পর Perplexity তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

মোবাইলে: ব্যবহারের দিক থেকে তারা দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারে বলে আরাবিন্দের ধারণা।
তাদের লক্ষ্য গুগলের মতো ৯০% মার্কেট শেয়ার দখল করা নয়, বরং উত্তর-ভিত্তিক সার্চের নতুন বাজারে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হওয়া।

ইলন মাস্কের ৬ বিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং নিয়ে xAI এর আগমন আরাবিন্দকে ভীত করে না, বরং উৎসাহিত করে। তার মতে ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তি যখন এই ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, তখন এটা প্রমাণ হয় যে মার্কেট কতটা বিশাল এবং সম্ভাবনাময়। একাধিক বড় খেলোয়াড় থাকলে মার্কেট আরও ইনোভেটিভ হয় এবং ব্যবহারকারীরা সেরা পণ্যটি পায়।

AI এর জগতে ভারতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা
সম্ভাবনা: ভারতীয়রা AI টুল ব্যবহারে বিশ্বের গড় হারের চেয়ে অনেক এগিয়ে। প্রায় ৯২% ভারতীয় কর্মী AI ব্যবহার করেন, যেখানে বৈশ্বিক গড় ৬৫%।

চ্যালেঞ্জ: এখন চ্যালেঞ্জ হলো, এই টুলগুলো ব্যবহার করে শুধু সময় বাঁচানো নয়, বরং নতুন ব্যবসা তৈরি করা, আয় বাড়ানো এবং দেশের GDP তে অবদান রাখা।

সবচেয়ে অদ্ভুত সার্চ কোয়েরি
একজন ব্যবহারকারী এমন একটি মাস্ক খুঁজছিলেন যা তার মুখকে রক্ষা করবে, নিঃশ্বাস নিতে দেবে, কিন্তু নাক ঢাকা থাকবে এবং চোখের জন্য ছিদ্র থাকবে, যাতে তিনি থ্যাঙ্কসগিভিং এর সময় শীতের মধ্যে বাইক চালাতে পারেন। Perplexity তাকে সঠিক পণ্যের সন্ধান দিয়েছিল!

AI নিয়ে সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব (Conspiracy theory) হলো, একটি অতি-বুদ্ধিমান AI তৈরি করে কেউ মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। অরবিন্দের মতে আসল ঝুঁকি হলো, কোনো একটি দেশ যদি এমন AI তৈরি করে ফেলে যা দিয়ে তারা অর্থনৈতিক বা সামরিক ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে যায়, তখন অন্য দেশগুলো সেই প্রযুক্তি চুরি করার চেষ্টা করবে এবং তা থেকে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে।

প্রযুক্তির উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আমরা কি মনে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি? এটি একটি স্বাভাবিক বিবর্তন। আমরা এখন আর ফিজিক্যাল ম্যাপ দেখে রাস্তা খুঁজি না, গুগল ম্যাপ ব্যবহার করি। আমাদের মস্তিষ্ক এখন পুরনো তথ্য মনে রাখার বদলে নতুন এবং জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য তার শক্তি ব্যবহার করছে। আসল চ্যালেঞ্জ হলো, এই মুক্ত মানসিক ক্ষমতাকে আমরা সৃজনশীল কাজে ব্যবহার করছি, নাকি অলসভাবে নষ্ট করছি।

বেশ ইন্টারেস্টিং একটা পডকাস্ট। আপনারা চাইলে Raj Shamani চ্যানেলে পুরো পডকাস্ট টা দেখতে পারেন। AI নিয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
গুগলকে হারানোর স্বপ্ন দেখাটাও যেখানে পাগলামি, সেখানে এক ভারতীয় তরুণ এমন টেকনোলজি তৈরি করেছে যা গুগলের সাম্রাজ্যকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, জেফ বেজোস এবং জেনসেন হুয়াং এর মতো টাইটানরা তার পেছনে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছেন। কেন? কারণ তিনি সার্চের ভবিষ্যৎকে নতুন করে ডিজাইন করছেন। আমরা যখন কোনো তথ্য খুঁজি, তখন আমাদের প্রথম পছন্দ হয় গুগল। কিন্তু গুগল কি আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেয়, নাকি শুধু লিঙ্কের গোলকধাঁধায় হারিয়ে দেয়? রাজ শামানির পডকাস্টে Perplexity AI এর প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ শ্রীনিবাস বলছেন, তথ্যের ভবিষ্যৎ লিঙ্কে নয়, সরাসরি উত্তরে। যখন অরবিন্দ তার কোম্পানি শুরু করেন, তখন তার কাছে বড় কোনো ফান্ডিং ছিল না। Perplexity .ai ডোমেইনটি তিনি মাত্র ১২০ ডলারে কিনেছিলেন। নামটি কিছুটা জটিল হলেও, AI এর জগতে Perplexity একটি মেট্রিক, যা কোনো মডেল কতটা ভালোভাবে একটি বিষয় বুঝতে পারে তা পরিমাপ করে। এটিই তার কোম্পানির মূল দর্শন গভীরভাবে বোঝা এবং সঠিক উত্তর দেওয়া। জেফ বেজোস কেন Perplexity তে ইনভেস্ট করলো? আরাবিন্দ একটি কাল্পনিক ডেমো তৈরি করেছিলেন, যেখানে জেফ বেজোস নিজেই Perplexity এর সাথে কথা বলছেন স্টার ট্রেক এবং ব্লু অরিজিন নিয়ে। এই সৃজনশীল এবং সাহসী পদক্ষেপটি বেজোসের মনোযোগ আকর্ষণ করে। বেজোসের মতে, Perplexity এর সাফল্য গুগলের ব্যর্থতার উপর নির্ভরশীল নয়। এটি নিজের একটি স্বতন্ত্র এবং উন্নত পণ্য তৈরি করছে, যা ব্যবহারকারীদের সরাসরি উত্তর দিয়ে তাদের সময় বাঁচায়। অ্যামাজনের মতোই, এর মূল ফোকাস হলো কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স। বেজোস আরাবিন্দকে পরামর্শ দেন, ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে তাদের ধরে রাখার উপর মনোযোগ দাও। এই দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনাই বড় কোম্পানিগুলোকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। Perplexity কীভাবে উত্তর দেয়? গুগলের মতো শুধু লিঙ্ক দেখানো নয়, Perplexity একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মডেলে কাজ করে। এটি আপনার প্রশ্নটিকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের সাথে মিলিয়ে নেয়। এরপর ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল সেই তথ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করে একটি সংক্ষিপ্ত, সঠিক এবং বোধগম্য উত্তর তৈরি করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটি উত্তরের সাথে সোর্স উল্লেখ করে দেয়, যাতে আপনি তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেন। Perplexity VS Google Google: এটি মূলত একটি নেভিগেশন টুল। গুগলে বেশিরভাগ সার্চ হয় এক বা দুই শব্দের (যেমন: Amazon, Weather)। এটি আপনাকে তথ্যের দরজার সামনে পৌঁছে দেয়। Perplexity: এটি একটি Answer Engine. এখানে ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ এবং জটিল প্রশ্ন করে (যেমন: শচীন টেন্ডুলকার কতবার সেঞ্চুরি করার পরেও ভারত হেরেছে?)। এটি আপনাকে সরাসরি ঘরের ভেতরে থাকা উত্তরটি এনে দেয়। Perplexity আজ কোথায় দাঁড়িয়ে? এখনও বাজারের রাজা চ্যাটজিপিটি, কিন্তু Perplexity দ্রুতগতিতে উঠে আসছে। ওয়েবে: চ্যাটজিপিটি এবং জেমিনির পর Perplexity তৃতীয় স্থানে রয়েছে। মোবাইলে: ব্যবহারের দিক থেকে তারা দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারে বলে আরাবিন্দের ধারণা। তাদের লক্ষ্য গুগলের মতো ৯০% মার্কেট শেয়ার দখল করা নয়, বরং উত্তর-ভিত্তিক সার্চের নতুন বাজারে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হওয়া। ইলন মাস্কের ৬ বিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং নিয়ে xAI এর আগমন আরাবিন্দকে ভীত করে না, বরং উৎসাহিত করে। তার মতে ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তি যখন এই ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, তখন এটা প্রমাণ হয় যে মার্কেট কতটা বিশাল এবং সম্ভাবনাময়। একাধিক বড় খেলোয়াড় থাকলে মার্কেট আরও ইনোভেটিভ হয় এবং ব্যবহারকারীরা সেরা পণ্যটি পায়। AI এর জগতে ভারতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা সম্ভাবনা: ভারতীয়রা AI টুল ব্যবহারে বিশ্বের গড় হারের চেয়ে অনেক এগিয়ে। প্রায় ৯২% ভারতীয় কর্মী AI ব্যবহার করেন, যেখানে বৈশ্বিক গড় ৬৫%। চ্যালেঞ্জ: এখন চ্যালেঞ্জ হলো, এই টুলগুলো ব্যবহার করে শুধু সময় বাঁচানো নয়, বরং নতুন ব্যবসা তৈরি করা, আয় বাড়ানো এবং দেশের GDP তে অবদান রাখা। সবচেয়ে অদ্ভুত সার্চ কোয়েরি একজন ব্যবহারকারী এমন একটি মাস্ক খুঁজছিলেন যা তার মুখকে রক্ষা করবে, নিঃশ্বাস নিতে দেবে, কিন্তু নাক ঢাকা থাকবে এবং চোখের জন্য ছিদ্র থাকবে, যাতে তিনি থ্যাঙ্কসগিভিং এর সময় শীতের মধ্যে বাইক চালাতে পারেন। Perplexity তাকে সঠিক পণ্যের সন্ধান দিয়েছিল! AI নিয়ে সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব (Conspiracy theory) হলো, একটি অতি-বুদ্ধিমান AI তৈরি করে কেউ মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। অরবিন্দের মতে আসল ঝুঁকি হলো, কোনো একটি দেশ যদি এমন AI তৈরি করে ফেলে যা দিয়ে তারা অর্থনৈতিক বা সামরিক ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে যায়, তখন অন্য দেশগুলো সেই প্রযুক্তি চুরি করার চেষ্টা করবে এবং তা থেকে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। প্রযুক্তির উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আমরা কি মনে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি? এটি একটি স্বাভাবিক বিবর্তন। আমরা এখন আর ফিজিক্যাল ম্যাপ দেখে রাস্তা খুঁজি না, গুগল ম্যাপ ব্যবহার করি। আমাদের মস্তিষ্ক এখন পুরনো তথ্য মনে রাখার বদলে নতুন এবং জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য তার শক্তি ব্যবহার করছে। আসল চ্যালেঞ্জ হলো, এই মুক্ত মানসিক ক্ষমতাকে আমরা সৃজনশীল কাজে ব্যবহার করছি, নাকি অলসভাবে নষ্ট করছি। বেশ ইন্টারেস্টিং একটা পডকাস্ট। আপনারা চাইলে Raj Shamani চ্যানেলে পুরো পডকাস্ট টা দেখতে পারেন। AI নিয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
Love
1
0 Commentarios 0 Acciones 158 Views
BlackBird Ai
https://bbai.shop