-
-
Explore Our Features
-
-
-
-
-
-
-
-
-
Ai and Tools
-
-
-
-
-
টানা সাত সপ্তাহ ধরে গবেষকরা ধীরে ধীরে গলাবেন এই দুর্লভ বরফ।

অ্যান্টার্কটিকার গভীর থেকে উত্তোলন করা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো বরফ, যার বয়স হতে পারে ১৫ লাখেরও বেশি, যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। এটি গলিয়ে পৃথিবীর জলবায়ু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আহরণ করা হবে।
এই কাচের মতো সিলিন্ডারটিই অ্যান্টার্কটিকা থেকে গভীরভাবে ড্রিল করে সংগ্রহ করা পৃথিবীর প্রাচীনতম বরফ। এর মধ্যে সংরক্ষিত রয়েছে হাজার হাজার বছরের জলবায়ুর তথ্য, যা বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জটিল সব রহস্য সমাধানে সাহায্য করবে।
ক্যামব্রিজে -২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ফ্রিজার রুমে ঢোকার আগে চোখে পড়ে লাল সতর্ক সংকেতের আলো। দরজার পাশে জরুরি সুড়ঙ্গপথ, যাতে প্রয়োজনে দ্রুত বেরিয়ে আসা যায়। নিরাপত্তাবিধি অনুযায়ী, একটানা ১৫ মিনিটের বেশি সেখানে থাকা যায় না। ঢোকার আগে পরতে হয় উষ্ণ পোশাক—প্যাডেড ওভারঅল, টুপি, গ্লাভস আর পুরু বুট। সেখানে প্রবেশ করতেই ক্যামেরার ইলেকট্রনিক শাটার জমে যায়। ঠান্ডার তীব্রতায় চুলে এক ধরণের ঝাঁঝরা শব্দ হয়, যেন বরফে ঢেকে গেছে।
টানা সাত সপ্তাহ ধরে গবেষকরা ধীরে ধীরে গলাবেন এই দুর্লভ বরফ। বরফ গলতেই বেরিয়ে আসবে হাজার হাজার বছরের পুরোনো ধুলিকণা, আগ্নেয় ছাই আর ক্ষুদ্র সামুদ্রিক শৈবাল—যেগুলো বরফে আটকে ছিল কয়েখ লাখ বছর ধরে। এই উপাদানগুলোই জানাবে সেই প্রাচীন যুগে বাতাসের গতি, তাপমাত্রা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কেমন ছিল। বরফ গলে যে তরল তৈরি হবে, তা বিশেষ নল দিয়ে পাঠানো হবে পাশের গবেষণাগারে —বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি ল্যাবের একটি, যেখানে এমন অত্যাধুনিক বিশ্লেষণ সম্ভব।