বর্তমান বাবা-মার চরিত্রই, ভবিষ্যৎ সন্তানের চরিত্র গড়ে তোলে!

শিশুকে রাগ দেখালে রাগ শিখবে, ভালোবাসা দেখালে ভালোবাসা।” এটা একটা লাইন না, এটা প্রতিটা শিশুর বেড়ে ওঠার সবচেয়ে বড় সত্য।
👶 আপনার বাচ্চা জেদ করে?
👉 খেয়াল করেছেন কখন জেদ বাড়ে?
— যখন ওর চাওয়া আপনি বারবার থামিয়ে দেন।
— যখন ওর আগ্রহকে আপনি “না” বলে চেপে দেন।
— যখন ওর চোখের সামনে আপনি রেগে যান।
শিশু তখন ভাবে,
🧠 "আমার কথা কেউ শোনে না"
🧠 "চিৎকার করলে, কান্না করলে, রাগ করলে তবেই সবাই শুনবে"
👉 এভাবেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জেদি স্বভাব, রাগী মন, অস্থির আচরণ।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
✅কিন্তু খবরটা ভালো — কারণ আপনি চাইলে এটা বদলাতে পারেন।
💡 শিশুরা কথা নয়, আচরণ দেখে শেখে।
👉 আপনি যেমন, সেও তেমন হবেই।
🔹 আপনি যদি তাকে সময় দেন — সে নিরাপত্তা শেখে
🔹 আপনি যদি তাকে ভালোবাসেন — সে ভালোবাসা দিতে শেখে
🔹 আপনি যদি ধৈর্য ধরেন — সে ধৈর্য শেখে
🔹 আপনি যদি তার আগ্রহে সাড়া দেন — সে আত্মবিশ্বাস পায়
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
❗ একটা কথা মনে রাখবেন:
👉“না” বলাটা সহজ।
🥰কিন্তু “না”-এর জায়গায় ভালোভাবে বোঝানো শেখানো অনেক কঠিন — কিন্তু সবচেয়ে জরুরি।
🔸 শিশুর ইচ্ছে মানে তাকে উড়িয়ে দেওয়া না
🔸 ওর কৌতূহল মানে শাস্তি না
🔸 ওর চোখে জেদ মানেই রাগের জবাব না
👉 বরং বুঝিয়ে দিন, ধরিয়ে দিন, পাশে থাকুন।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
✅ তাহলে কী করবেন?
✔ কোন কিছু ধরলে না বলার পরিবর্তে বিকল্প কিছু দিন
✔ যতটা সম্ভব বাচ্চাকে ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিতে দিন
✔ সবকিছুতে না নয়, কিছু জিনিস বুঝিয়ে বলুন
✔ রেগে গেলে থামুন, কারণ আপনার রাগ ওর শেখার জায়গা
✔ প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় রাখুন শুধু ওর জন্য
✔ ওকে বলুন: “তুমি গুরুত্বপূর্ণ”, “তোমার কথা আমি শুনি”, "তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি "
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -🌸 মনে রাখবেন —
বাচ্চারা যা দেখে, তাই হয়।
আপনি যদি শান্ত থাকেন, ভালোবাসা দেন — সে-ও তাই শিখবে।
📢 এই পোস্টটা সব মা-বাবার সঙ্গে শেয়ার করুন, যিনি হঠাৎ একটু রেগে যান
হয়তো এই লেখা তার মনটা নরম করে দেবে। ❤️