ভূমিকম্পে নতুন করে জেগে উঠল ক্লিউচেভস্কয়

গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাশিয়ার কামচাটকায় কমপক্ষে শ খানেক ভূমিকম্প হয়েছে। তার জেরে নতুন করে জেগে উঠেছে ক্লিউচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি। নতুন কোন তৈরি হয়ে গিয়েছে আগ্নেয়গিরির মুখে। আলো-মেঘের নানা খেলা আগ্নেয়গিরির মুখের কাছে।
রাশিয়ার কামচাটকা। একে বলা হয় ল্যান্ড অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার। বরফ সবুজ মিলেমিশে থাকা এলাকা। বাদামি ভালুকের বাস। একশো ষাটখানা আগ্নেয়গিরি ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তারমধ্যে উনত্রিশটা এখনও জেগে। আগুন আর বরফের মিশেলে দিনযাপন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বাসিন্দার।
ভূমিকম্প আর সুনামি এখানে নতুন নয়। তবে রিখটার স্কেলে এই মাত্রার ভূমিকম্প অনেকদিন পর। যার জেরে আঁচ পড়তে চলেছে আমেরিকায় পর্যন্ত।
কামচাটকা। জাপানের মাথার দিকে। ডান দিকে আমেরিকার আলাস্কা। কামচাটকার নীচের দিকে কুরিল আইল্যান্ড। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এই এলাকাতেই। প্রভাব কতটা পড়বে, তা জানতে সময়ের অপেক্ষা।
এই কামচাটকাতেই বারবার ঘুম ভেঙেছে ক্লিউচেভস্কয় আগ্নেয়গিরির। সপ্তাহ দুয়েক ধরে সেখানে নানান ধোঁয়া আর আগুনের খেলা চলছে। প্রায় হাজার মাইল ধোঁয়ার নদী গলগল করে বের হয়েছে এই ক্লিউচেভস্কয় থেকে। গত চব্বিশ ঘণ্টার ভূমিকম্পে তৈরি হয়েছে নতুন কোন। দূর থেকে ভয়ংকর ক্লিউচেভস্কয়কে লাগছে সুন্দর।
ক্লিউচেভস্কয় বা ক্লিউচেভস্কায়া সোপকা। সাত হাজার বছর আগে এর জন্ম। ১৬৯৭ সালে প্রথম এর ঘুম ভাঙা। ১৭৮৮ সালে প্রথম এই আগ্নেয়গিরির বুকে পা রেখেছিলেন ড্যানিয়েল গাউস। তারপর অনেকে গিয়েছেন, গরম লাভায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছেন। ভূমিকম্পে সেই ক্লিউচেভস্কয় বা ক্লিউচেভস্কায়া সোপকা রঙ ছড়াচ্ছে আবার। প্রকৃতি ভয়ঙ্কর, প্রকৃতি সুন্দর। কখনও কখনও সুন্দর দূর থেকেই ভালো।
