অমূল্য সম্পদ⚠️

তিমির বমি দিয়ে পারফিউম!
২০১২ সালের এক বিকেলে ইংল্যান্ডের বোর্নমাউথের হেনজিস্টবারি হেড সৈকতে পরিবারের সাথে হাঁটতে বেরিয়েছিল ৮ বছরের চার্লি নেইস্মিথ। হাতে ছিল একটা ছোট বালতি। উদ্দেশ্য ছিল শামুক, ঝিনুক আর অদ্ভুত পাথর কুড়িয়ে রাখবে সেখানে। হঠাৎ করেই সে সৈকতের বালুর মধ্যে নজর দেয় এক অদ্ভুত, ফ্যাকাসে ধূসর রঙের মোমের মতো জমাটবাঁধা জিনিসের দিকে। পাথর ভেবে সেটি তুলে নেয় চার্লি। তবে সে জানত না যে এই ছোট্ট ছেলে ঠিক তখনই পেয়েছে সাগরের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক অর্মূল্য রত্ন!
বাড়ি ফিরে বাবার সঙ্গে ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে সে যা জানল, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। চার্লি যা পেয়েছে তা হলো অ্যাম্বারগ্রিস, যাকে অনেকেই বলেন "তিমির বমি" বা "তিমির মল"।
এই অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হয় তিমির হজমতন্ত্রে। তিমি যখন শক্ত কিছু (যেমন স্কুইডের ঠোঁট) হজম করতে পারে না, তখন এই জিনিস তৈরি হয়, এবং একসময় তা শরীর থেকে বের হয়ে সাগরের পানিতে ভাসতে থাকে। বছরের পর বছর তা মোমের মতো জমে একধরনের মিষ্টি, মাটির গন্ধ নেয়। আর এই সুবাসই একে পরিণত করে বিলাসবহুল পারফিউম শিল্পের এক অমূল্য উপাদানে।
বিশেষজ্ঞরা পরে জানিয়েছিলেন, চার্লির কুড়িয়ে পাওয়া সেই টুকরার দাম প্রায় ৬৩ হাজার মার্কিন ডলার!
কিন্তু পুরো কাহিনির সবচেয়ে সুন্দর দিকটি ছিল চার্লির প্রতিক্রিয়া। দামি খেলনা বা গ্যাজেট কেনার স্বপ্ন না দেখে সে বলেছিল, এই অর্থ দিয়ে সে পশুদের জন্য একটা আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে চায়।
চার্লির এই মহানুভব চিন্তার কথা ছড়িয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমে, তার স্কুলেও সে হয়ে ওঠে হিরো। সে গর্ব করে বন্ধুদের বলেছিল, "আমি তিমির বমি কুড়িয়ে পেয়েছি, যার দাম পুরো একটা বাড়ির সমান!"
---
ঘটনা পড়ে অবাক হচ্ছেন? আমরা যে পারফিউম ইউজ করি তার কিছু কিছু র ম্যাটারিয়াল এমন জঘন্য জিনিস থেকে হয়?
যাহোক, ঘটনা বাদ দেন। লালসালুতে বেশ কিছু বিদেশী পারফিউম আছে। কিছু মেন্স আর কিছু লেডিস। এছাড়া বেশ কিছু আতরও আছে। আমাদের ওয়েবসাইটে গেলে ষ্টক দেখতে পাবেন। ষ্টক সব সময় আপডেট হয়। অনেক আইটেম আছে কিন্তু ওয়েবে নাই।
https://www.lalsalu.shop/categories/perfume
