উল কাঁটা বিশ্বযুদ্ধের(World War) সাক্ষী!
না, যুদ্ধ করে রক্তারক্তির সাক্ষী উল কাঁটা
নয়, এই যুগলবন্দি ছিল সেনাদের গুপ্তচর
(Spy) আর কোডের বাহক হিসেবে।

যুদ্ধকালীন সময়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সেনাদের পোশাক সরবরাহ করতেন ঘরের মায়েরা। সোয়েটার, টুপি, মজা বুনে প্রায়ই পাঠাতেন তাঁরা। কিন্তু এই শীতপোশাকগুলি যে শুধুই শীতপোশাক ছিল, তা কিন্তু নয়। আসলে এই সব বুননের মধ্যে ফুটে ওঠা নকশাগুলি ছিল এক-একটা কোড, খবর ব্যাপারটা বলতে পারেন আজকের দিনের স্টেনগ্রাফির মত। স্টেনগ্রাফি বা শর্টহ্যান্ডে যেমন যে কোনও তথ্য স্বল্প সময়ে মাত্র কয়েকটি কোডের মাধ্যমে একটা বড় লাইন লিখে ফেলা যায়, এই শীতপোশাকের উপর বুননের নকশাটাও ছিল আসলে এইরকম। এক-একটা নকশা আসলে খবর হয়ে পৌঁছে যেত দেশীয় সেনাদের কাছে। আর এই কোড যে শুধু মহিলা বা সেনারাই জানতেন তা কিন্তু নয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে মুমূর্ষু রোগী সবাইকেই শিখিয়ে দেওয়া হত এই কোড।

এই উল বোনা নিয়ে একটা দারুণ গল্পও শোনা যায়। মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলাদেলফিয়ার বাসিন্দা মলি নামের এক গৃহবধূ দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। একদিন মলির বাড়িতে হামলা করে ইংরেজ সেনা। বাড়িতে মলিকে আটকে রেখে সবাইকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। মলিকে তারা রেখেছিল তাদের সেবা করার জন্য। মলি তাতে ঘাবড়ে না গিয়ে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ফেলে। কাজ করতে করতে সেনাদের সব কথা সে শুনতে থাকে। আর সেই সব তথ্য কাগজে লিখে সেই কাগজ মুড়িয়ে তাকে পুরে ফেলত উলের গোলার ভিতরে। সেই গোলা পাচার করে দিত বাইরে, দেশীয় সেনাদের কাছে।

এই রকম আরও একটা গল্প প্রচলন আছে ল্যাভেঙ্গেল নামে এক ফরাসি মহিলাকে নিয়ে। তার দোতলার ঘরের জানলার পাশে বসে সারাদিন ধরে উল বুনতেন তিনি। আর বাইরের দিকে নজর রাখতেন জার্মান সেনাদের উপরে। তার ঘরের ঠিক নীচের ঘরটাতেই গোপনে থাকত কিছু বিপ্লবী কিশোর কিশোরী। ল্যাভেঙ্গেল ও ওই বিপ্লবীদের মধ্যে কিছু কোড তৈরি ছিল। ম্যাডাম মেঝেতে পা ঠুকে ঠুকে সেই শব্দ কোডের মাধ্যমে খবর পৌঁছে দিত নীচের তলায়। জার্মান সেনারা এইসব গুপ্তচরদের টিকিও ছুঁতে পারেনি কোনও দিন।
এলিজাবেথ বেন্টলে নামে এক মার্কিন গুপ্তচর এই উল কাঁটাকে হাতিয়ার করেই দুটো গুপ্তচর সংস্থা চালাতেন। কিছু মহিলাও ছিলেন তাঁর দলে। যাঁদের কাজই ছিল ট্রেনের কামরায় বসে উল কাঁটা বুনতে থাকা আর রেলে মার্কিন সেনাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা। তারপর সেই খবর বুননের মাধ্যমে বিভিন্ন কোডের মাধ্যমে লিখে দিত শীত পোশাকের গায়ে।
সুত্র...আমেজিং ফ্যাক্টস
উল কাঁটা বিশ্বযুদ্ধের(World War) সাক্ষী! না, যুদ্ধ করে রক্তারক্তির সাক্ষী উল কাঁটা নয়, এই যুগলবন্দি ছিল সেনাদের গুপ্তচর (Spy) আর কোডের বাহক হিসেবে। যুদ্ধকালীন সময়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সেনাদের পোশাক সরবরাহ করতেন ঘরের মায়েরা। সোয়েটার, টুপি, মজা বুনে প্রায়ই পাঠাতেন তাঁরা। কিন্তু এই শীতপোশাকগুলি যে শুধুই শীতপোশাক ছিল, তা কিন্তু নয়। আসলে এই সব বুননের মধ্যে ফুটে ওঠা নকশাগুলি ছিল এক-একটা কোড, খবর ব্যাপারটা বলতে পারেন আজকের দিনের স্টেনগ্রাফির মত। স্টেনগ্রাফি বা শর্টহ্যান্ডে যেমন যে কোনও তথ্য স্বল্প সময়ে মাত্র কয়েকটি কোডের মাধ্যমে একটা বড় লাইন লিখে ফেলা যায়, এই শীতপোশাকের উপর বুননের নকশাটাও ছিল আসলে এইরকম। এক-একটা নকশা আসলে খবর হয়ে পৌঁছে যেত দেশীয় সেনাদের কাছে। আর এই কোড যে শুধু মহিলা বা সেনারাই জানতেন তা কিন্তু নয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে মুমূর্ষু রোগী সবাইকেই শিখিয়ে দেওয়া হত এই কোড। এই উল বোনা নিয়ে একটা দারুণ গল্পও শোনা যায়। মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলাদেলফিয়ার বাসিন্দা মলি নামের এক গৃহবধূ দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। একদিন মলির বাড়িতে হামলা করে ইংরেজ সেনা। বাড়িতে মলিকে আটকে রেখে সবাইকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। মলিকে তারা রেখেছিল তাদের সেবা করার জন্য। মলি তাতে ঘাবড়ে না গিয়ে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ফেলে। কাজ করতে করতে সেনাদের সব কথা সে শুনতে থাকে। আর সেই সব তথ্য কাগজে লিখে সেই কাগজ মুড়িয়ে তাকে পুরে ফেলত উলের গোলার ভিতরে। সেই গোলা পাচার করে দিত বাইরে, দেশীয় সেনাদের কাছে। এই রকম আরও একটা গল্প প্রচলন আছে ল্যাভেঙ্গেল নামে এক ফরাসি মহিলাকে নিয়ে। তার দোতলার ঘরের জানলার পাশে বসে সারাদিন ধরে উল বুনতেন তিনি। আর বাইরের দিকে নজর রাখতেন জার্মান সেনাদের উপরে। তার ঘরের ঠিক নীচের ঘরটাতেই গোপনে থাকত কিছু বিপ্লবী কিশোর কিশোরী। ল্যাভেঙ্গেল ও ওই বিপ্লবীদের মধ্যে কিছু কোড তৈরি ছিল। ম্যাডাম মেঝেতে পা ঠুকে ঠুকে সেই শব্দ কোডের মাধ্যমে খবর পৌঁছে দিত নীচের তলায়। জার্মান সেনারা এইসব গুপ্তচরদের টিকিও ছুঁতে পারেনি কোনও দিন। এলিজাবেথ বেন্টলে নামে এক মার্কিন গুপ্তচর এই উল কাঁটাকে হাতিয়ার করেই দুটো গুপ্তচর সংস্থা চালাতেন। কিছু মহিলাও ছিলেন তাঁর দলে। যাঁদের কাজই ছিল ট্রেনের কামরায় বসে উল কাঁটা বুনতে থাকা আর রেলে মার্কিন সেনাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা। তারপর সেই খবর বুননের মাধ্যমে বিভিন্ন কোডের মাধ্যমে লিখে দিত শীত পোশাকের গায়ে। সুত্র...আমেজিং ফ্যাক্টস
0 Комментарии 0 Поделились 74 Просмотры
BlackBird Ai
https://bbai.shop