পর্দার বাইরের এক মহানায়ক: পল নিউম্যান
১৯৮৫ সাল। শিকাগোতে চলছে “The Color of Money” ছবির শুটিং। প্রস্তুতি পূর্ণমাত্রায়—তারকা, আলো, ক্যামেরা, বিলাসবহুল হোটেল, ব্যক্তিগত রাঁধুনি, ওয়াইনের তালিকা… চুক্তি অনুযায়ী সবই সাজানো।
কিন্তু শুটিং শুরুর আগের দিন পল নিউম্যান হঠাৎ নিজেই বলে বসলেন—এই সব সুবিধা তিনি নিচ্ছেন না। আর যেই বাজেট তার জন্য বরাদ্দ ছিল, সেটা পাঠিয়ে দিলেন কাছের এক শিশু হাসপাতালের তহবিলে।
একটি কথাও বললেন না।
টিম অবাক হয়ে শুধু দেখল—কেউ চাইলে কতোটা নিঃস্বার্থ হতে পারে।
সবসময়ই করতেন!
আশি দশকের প্রায় প্রতিটি ছবিতেই নিউম্যান করতেন একই কাজ— প্রযোজকদের কাছে বিলাসের দাবি জানাতেন, তারপর সব বাতিল করে পুরো টাকা দান করে দিতেন শিশু হাসপাতালগুলোতে।
একবার এক প্রযোজক বিস্ময়ে বলেছিলেন— “পল বলেছিল, যদি কেউ আমার জন্য কিছু করতেই চায়, তাহলে সেটা যেন হয় এমন কারও জন্য—যার জীবনে কোনো ন্যায্য সুযোগই ছিল না।” ‘Harper & Son’ সিনেমার সময়ও নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে চলে যায় এমনই এক ‘নামহীন’ অনুদান।
কে দিয়েছে, কেউ জানত না।
পল নিউম্যান নিজের এই দানধর্মের কোনো প্রচার করতেন না। না কোনো হাসপাতালের দেয়ালে তার নাম,
না কোনো প্ল্যাকার্ড, না কোনো “Paul Newman Pediatric Ward”।
সেই দান ছিল নিঃশব্দ, নিঃস্বার্থ, নিরাভরণ—
একটা ভালোবাসা, যেটা কেবল অনুভবেই ধরা দেয়।
'Harry & Son’ ছবির সেটে এক সহকারী লক্ষ করেন—
নিউম্যান এসেছেন একটা ভাড়া করা সাধারণ গাড়িতে,
যেখানে চুক্তিতে ছিল লিমুজিন! জিজ্ঞেস করলে নিউম্যান হেসে উত্তর দেন— “যদি কারও দেখাতে ইচ্ছে করে, করুক।
আমি চাই, একটা বাচ্চা যেন হাসপাতালের বিছানাটা পায়।”
এই কথতেই তার মানবিকতার পরিচয় তোলার জন্য যথেষ্ট ।
তাঁর এই মহত্ত্ব ছিল লোকদেখানো নয়, একেবারে ভিতর থেকে আসা। ‘Blaze’ সিনেমার সেটে তিনি ব্যস্ত ছিলেন চিত্রনাট্য নয়, লোকাল ক্লিনিকের ম্যাপ ঘাঁটতে। ‘The Verdict’ ছবির সময় বলেছিলেন— “এই বছরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সিনেমা নয়, একটা শিশুর হাঁটতে শেখার খবর শুনে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।”
এই লাইনটিই হয়তো তাঁর জীবনের সারাংশ।
সব নায়ক আলোয় দাঁড়িয়ে থাকেন না।
কিছু নায়ক ছায়ায় থাকেন— তাঁরা মঞ্চে ওঠেন না, বরং অন্যদের জন্য মঞ্চ তৈরি করেন।
যেখানে অন্যরা হাততালির খোঁজে থাকেন, তিনি খুঁজে ফিরতেন কোনো শিশুর মুখে ছোট্ট একটুখানি হাসি।
তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে এক মহানায়ক।
---
১৯৮৫ সাল। শিকাগোতে চলছে “The Color of Money” ছবির শুটিং। প্রস্তুতি পূর্ণমাত্রায়—তারকা, আলো, ক্যামেরা, বিলাসবহুল হোটেল, ব্যক্তিগত রাঁধুনি, ওয়াইনের তালিকা… চুক্তি অনুযায়ী সবই সাজানো।
কিন্তু শুটিং শুরুর আগের দিন পল নিউম্যান হঠাৎ নিজেই বলে বসলেন—এই সব সুবিধা তিনি নিচ্ছেন না। আর যেই বাজেট তার জন্য বরাদ্দ ছিল, সেটা পাঠিয়ে দিলেন কাছের এক শিশু হাসপাতালের তহবিলে।
একটি কথাও বললেন না।
টিম অবাক হয়ে শুধু দেখল—কেউ চাইলে কতোটা নিঃস্বার্থ হতে পারে।
সবসময়ই করতেন!
আশি দশকের প্রায় প্রতিটি ছবিতেই নিউম্যান করতেন একই কাজ— প্রযোজকদের কাছে বিলাসের দাবি জানাতেন, তারপর সব বাতিল করে পুরো টাকা দান করে দিতেন শিশু হাসপাতালগুলোতে।
একবার এক প্রযোজক বিস্ময়ে বলেছিলেন— “পল বলেছিল, যদি কেউ আমার জন্য কিছু করতেই চায়, তাহলে সেটা যেন হয় এমন কারও জন্য—যার জীবনে কোনো ন্যায্য সুযোগই ছিল না।” ‘Harper & Son’ সিনেমার সময়ও নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে চলে যায় এমনই এক ‘নামহীন’ অনুদান।
কে দিয়েছে, কেউ জানত না।
পল নিউম্যান নিজের এই দানধর্মের কোনো প্রচার করতেন না। না কোনো হাসপাতালের দেয়ালে তার নাম,
না কোনো প্ল্যাকার্ড, না কোনো “Paul Newman Pediatric Ward”।
সেই দান ছিল নিঃশব্দ, নিঃস্বার্থ, নিরাভরণ—
একটা ভালোবাসা, যেটা কেবল অনুভবেই ধরা দেয়।
'Harry & Son’ ছবির সেটে এক সহকারী লক্ষ করেন—
নিউম্যান এসেছেন একটা ভাড়া করা সাধারণ গাড়িতে,
যেখানে চুক্তিতে ছিল লিমুজিন! জিজ্ঞেস করলে নিউম্যান হেসে উত্তর দেন— “যদি কারও দেখাতে ইচ্ছে করে, করুক।
আমি চাই, একটা বাচ্চা যেন হাসপাতালের বিছানাটা পায়।”
এই কথতেই তার মানবিকতার পরিচয় তোলার জন্য যথেষ্ট ।
তাঁর এই মহত্ত্ব ছিল লোকদেখানো নয়, একেবারে ভিতর থেকে আসা। ‘Blaze’ সিনেমার সেটে তিনি ব্যস্ত ছিলেন চিত্রনাট্য নয়, লোকাল ক্লিনিকের ম্যাপ ঘাঁটতে। ‘The Verdict’ ছবির সময় বলেছিলেন— “এই বছরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সিনেমা নয়, একটা শিশুর হাঁটতে শেখার খবর শুনে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।”
এই লাইনটিই হয়তো তাঁর জীবনের সারাংশ।
সব নায়ক আলোয় দাঁড়িয়ে থাকেন না।
কিছু নায়ক ছায়ায় থাকেন— তাঁরা মঞ্চে ওঠেন না, বরং অন্যদের জন্য মঞ্চ তৈরি করেন।
যেখানে অন্যরা হাততালির খোঁজে থাকেন, তিনি খুঁজে ফিরতেন কোনো শিশুর মুখে ছোট্ট একটুখানি হাসি।
তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে এক মহানায়ক।
---
🎬 পর্দার বাইরের এক মহানায়ক: পল নিউম্যান
১৯৮৫ সাল। শিকাগোতে চলছে “The Color of Money” ছবির শুটিং। প্রস্তুতি পূর্ণমাত্রায়—তারকা, আলো, ক্যামেরা, বিলাসবহুল হোটেল, ব্যক্তিগত রাঁধুনি, ওয়াইনের তালিকা… চুক্তি অনুযায়ী সবই সাজানো।
কিন্তু শুটিং শুরুর আগের দিন পল নিউম্যান হঠাৎ নিজেই বলে বসলেন—এই সব সুবিধা তিনি নিচ্ছেন না। আর যেই বাজেট তার জন্য বরাদ্দ ছিল, সেটা পাঠিয়ে দিলেন কাছের এক শিশু হাসপাতালের তহবিলে।
একটি কথাও বললেন না।
টিম অবাক হয়ে শুধু দেখল—কেউ চাইলে কতোটা নিঃস্বার্থ হতে পারে।
📜 সবসময়ই করতেন!
আশি দশকের প্রায় প্রতিটি ছবিতেই নিউম্যান করতেন একই কাজ— প্রযোজকদের কাছে বিলাসের দাবি জানাতেন, তারপর সব বাতিল করে পুরো টাকা দান করে দিতেন শিশু হাসপাতালগুলোতে।
একবার এক প্রযোজক বিস্ময়ে বলেছিলেন— “পল বলেছিল, যদি কেউ আমার জন্য কিছু করতেই চায়, তাহলে সেটা যেন হয় এমন কারও জন্য—যার জীবনে কোনো ন্যায্য সুযোগই ছিল না।” ‘Harper & Son’ সিনেমার সময়ও নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে চলে যায় এমনই এক ‘নামহীন’ অনুদান।
কে দিয়েছে, কেউ জানত না।
🔇 পল নিউম্যান নিজের এই দানধর্মের কোনো প্রচার করতেন না। না কোনো হাসপাতালের দেয়ালে তার নাম,
না কোনো প্ল্যাকার্ড, না কোনো “Paul Newman Pediatric Ward”।
সেই দান ছিল নিঃশব্দ, নিঃস্বার্থ, নিরাভরণ—
একটা ভালোবাসা, যেটা কেবল অনুভবেই ধরা দেয়।
🚗 'Harry & Son’ ছবির সেটে এক সহকারী লক্ষ করেন—
নিউম্যান এসেছেন একটা ভাড়া করা সাধারণ গাড়িতে,
যেখানে চুক্তিতে ছিল লিমুজিন! জিজ্ঞেস করলে নিউম্যান হেসে উত্তর দেন— “যদি কারও দেখাতে ইচ্ছে করে, করুক।
আমি চাই, একটা বাচ্চা যেন হাসপাতালের বিছানাটা পায়।”
এই কথতেই তার মানবিকতার পরিচয় তোলার জন্য যথেষ্ট ।
📚 তাঁর এই মহত্ত্ব ছিল লোকদেখানো নয়, একেবারে ভিতর থেকে আসা। ‘Blaze’ সিনেমার সেটে তিনি ব্যস্ত ছিলেন চিত্রনাট্য নয়, লোকাল ক্লিনিকের ম্যাপ ঘাঁটতে। ‘The Verdict’ ছবির সময় বলেছিলেন— “এই বছরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সিনেমা নয়, একটা শিশুর হাঁটতে শেখার খবর শুনে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।”
এই লাইনটিই হয়তো তাঁর জীবনের সারাংশ।
🎞️ সব নায়ক আলোয় দাঁড়িয়ে থাকেন না।
কিছু নায়ক ছায়ায় থাকেন— তাঁরা মঞ্চে ওঠেন না, বরং অন্যদের জন্য মঞ্চ তৈরি করেন।
যেখানে অন্যরা হাততালির খোঁজে থাকেন, তিনি খুঁজে ফিরতেন কোনো শিশুর মুখে ছোট্ট একটুখানি হাসি।
তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে এক মহানায়ক। ❤️
---
0 التعليقات
0 المشاركات
22 مشاهدة