যদি বলা হয়- কঠোর পরিশ্রম ছাড়াও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া সম্ভব, অনেকেই সেটা বিশ্বাস করতে চাইবেন না (উল্টো ধান্দাবাজি মনে করলেও করতে পারেন)! আমরা মনে করি সাফল্য মানেই রক্ত-জল করা খাটুনি। কিন্তু আসল খেলাটা পরিশ্রমের নয়, বরং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সঠিক সুযোগ খুঁজে বের করার- অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দরজা সবার জন্যই উন্মুক্ত, শুধু তালা খোলার সঠিক চাবিটা চিনতে হবে?

বেশিরভাগ মানুষ কেন অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পায় না, জানেন? কারণ ছোটবেলা থেকেই টাকা নিয়ে আমাদের মনে এমন সব নেতিবাচক ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় (যেমন : টাকা সব নষ্টের গোড়া)- যার ফলে আমরা অবচেতন মনে টাকাকে ভয় পাই। এই মনস্তাত্ত্বিক বাধা দূর করতে না পারলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা অসম্ভব।

অধিকাংশ মানুষ স্ব-উদ্যোগী হয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা না করে অন্যের অধীনে চাকরি করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। চাকরি করতে গিয়ে আমরা মূলত অন্যের স্বপ্ন পূরণে ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং অন্যের তৈরি করা নিয়মে বাকি জীবন কাটিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। অথচ মানুষ চাইলে পরাধীনতার বন্ধন ছিন্ন করে নিজেই নিজের জীবনের স্থপতি হতে পারতো!

একটি কঠিন সত্য হলো- যারা আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, তাঁরা প্রায়শ আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কেননা তাঁরা আপনার জন্য সেরাটা চায় না, তাঁরা চায় আপনি নিরাপদ থাকুন। ঝুঁকি বিহীন জীবন মানেই বৃদ্ধিহীন জীবন। সেই কারণে বড় করে স্বপ্ন দেখতে হলে আপনাকে প্রিয়জনদের বেঁধে দেওয়া নিরাপত্তার গণ্ডি ভাঙার সাহস রাখতে হবে।

আমি যখন কর্পোরেট চাকরির চক্করে আটকা পড়ে ছিলাম, তখনি লোভনীয় চাকরি ছেড়ে মুক্ত বিক্রয় প্রশিক্ষক হওয়ার ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করিনি। আমার লক্ষ্য ছিল এক দশকের পেশাগত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি নিশ্চিত আয়ের উৎস তৈরি করা। এই ছোট্ট কিন্তু সাহসী পদক্ষেপই পরবর্তীতে আমাকে অনেক বড় অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে..!

কিভাবে আপনার প্রথম ব্যবসা কিনবেন?

আপনার দক্ষতা ব্যবহার করুন : আপনি যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন, সেই ইন্ডাস্ট্রির কোনো ছোট ব্যবসা ধরার তথা কেনার চেষ্টা করুন। যেমন : আমি একটি মুঠোফোন কোম্পানির বেতন-ভোগী বিক্রয় প্রশিক্ষক ছিলাম। সেটাকেই পরবর্তীতে নিজের স্বাধীন পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছি। আপনি যদি content creator হন, তাহলে একটি ছোট প্রোডাকশন স্টুডিও কেনার কথা ভাবতে পারেন। এতে আপনার সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি জানা, বোঝা ও শেখার পথ আরো সুগম (smooth) হবে।

উদ্দেশ্য খুঁজুন : ব্যবসার মালিকের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি কেন ব্যবসাটি বিক্রি বা হাতবদল করতে চান? বেশিরভাগ সময় মালিকেরা তাঁদের দাঁড় করানো ব্যবসা থেকে পরিত্রাণ চান; আপনি তাঁদের সেই মুক্তির উপলক্ষ হতে পারেন? মজার ব্যাপার হলো- টাকা ছাড়াও ব্যবসা কেনা সম্ভব!

এটাই আলোচনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যে, ব্যবসা কেনার জন্য আপনার নিজের টাকার প্রয়োজন নেই! বেশিরভাগ ছোট ব্যবসার মালিকরা তাঁদের ব্যবসার জন্য নগদ ক্রেতা খুঁজে পান না? আপনি তাঁদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ লাভের একটি অংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় শূন্য ডাউন পেমেন্টে ব্যবসাটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন (অর্থাৎ ব্যবসার টাকা দিয়েই ব্যবসাকে কেনা যায়)! এবারে বলে দিচ্ছি- কিভাবে প্রথম পদক্ষেপ নেবেন?

ব্রেক দ্য ফ্রেম : আপনার যদি তিন বছরের কোনো লক্ষ্য থাকে, নিজেকে প্রশ্ন করুন- কিভাবে এটা দুই বছরে অর্জন করতে পারবো? এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে গতানুগতিক চিন্তার বাইরে বের করে আনবে এবং অসাধারণ সব পরিকল্পনার জন্ম দেবে!

কিভাবে নয়, কে : আপনার প্রশ্ন হওয়া উচিত নয়- আমি কিভাবে এটা করবো, বরং প্রশ্ন করুন- কে আমাকে এটা করতে সাহায্য করতে পারে? সঠিক মানুষ খুঁজে বের করাই সাফল্যের দ্রুততম পথ।

সফলতার জগতে একটি অদৃশ্য পর্দা আছে, যার আড়ালের খবর সাধারণ মানুষ পায় না? কোটিপতিরা কঠোর পরিশ্রমের চেয়ে মানি গেমস বা টাকার খেলা খেলেই বেশি সম্পদ তৈরি করছেন! আপনার চেয়ে সফল কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করুন, সময় কাটান- এমনকি বিনামূল্যে হলেও। তাঁদের সান্নিধ্যে থেকে আপনি এমন সব কৌশল শিখবেন- যা কোনো বইয়ে লেখা থাকে না বা কোর্সে অংশগ্রহণ করেও জানা সম্ভব নয়। সফল ব্যক্তিদের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো-

দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা : তাঁরা তাৎক্ষণিক লাভের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাকে বেশি গুরুত্ব দেন।

বড় মিশন : তাঁদের জীবনের লক্ষ্য এতোটাই বড় হয় যে, পথের ছোট ছোট যন্ত্রণা বা ব্যর্থতা তাঁদেরকে দমাতে পারে না।

সাহায্যের মানসিকতা : তাঁরা যখন দেখে যে কেউ সত্যিই ক্ষুধার্ত এবং কঠোর পরিশ্রমী, তখন তাঁরা তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে।

কনটেন্ট তৈরি কেন আপনার জন্য জরুরি?

চুম্বকের মতো আকর্ষণ : কনটেন্ট আপনাকে মানুষের কাছে গিয়ে নিজেকে বিক্রি করতে বাধ্য করে না, বরং সঠিক মানুষকে আপনার দিকে টেনে আনে। এটিই হলো push marketing বনাম pool marketing-এর পার্থক্য।

নেটওয়ার্কিং-এর সেরা উপায় : কনটেন্ট হলো আধুনিক যুগের নেটওয়ার্কিং। এর মাধ্যমে আপনি আপনার কমিউনিটি খুঁজে পান- যারা আপনার মতো করেই ভাবে এবং আপনাকে সমর্থন করে।

সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি বেদনাদায়ক কিন্তু জরুরি অংশ হলো- পুরানো বন্ধু বা পুরানো পরিচয়কে পেছনে ফেলে আসা। আপনি যখন দ্রুতগতিতে এগোতে থাকবেন, তখন আপনার চারপাশের অনেকেই আপনাকে টেনে ধরতে চাইবে, কারণ আপনার সাফল্য তাঁদের নিজেদের ব্যর্থতাকে মনে করিয়ে দেয়।

কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন?

ডেডলাইন দিন : কোনো একদিন করবো বা কিছুদিন পরে করবো- এই ধরনের অস্পষ্ট লক্ষ্যের কোনো মূল্য নেই। আপনার ক্যালেন্ডারে একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করুন। একটি ডেডলাইন আপনার মস্তিষ্ককে কাজ করতে বাধ্য করবে।

স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য : ৫ বা ১০ বছরের পরিকল্পনা না করে ৩-৬ মাসের ছোট ছোট লক্ষ্যের উপর মনোযোগ দিন। জীবন পরিবর্তনশীল এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বেশিরভাগ সময়ই অকেজো হয়ে পড়ে।

টাকা নিয়ে আমাদের দর্শন কী হওয়া উচিত?

 টাকা জমিয়ে কখনোই ধনী হতে পারবেন না, আপনাকে আয় করে ধনী হতে হবে।
 ছোট ছোট খরচ বাঁচিয়ে বড়লোক হওয়ার ধারণাটি একটি মরীচিকা, বরং কিভাবে নিজের আয় বাড়ানো যায়- সেদিকে মনোযোগ দিন।
 ফিন্যান্স হলো টাকার ভাষা। যারা এই ভাষা বোঝে, তাঁরাই এই খেলায় জিততে পারেন!

জীবনের সবচেয়ে বড় সাহসিকতার পরিচয় হলো- যে পর্বত আপনার নয়, সেই পর্বতে আরোহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া। অন্যের চাপিয়ে দেওয়া লক্ষ্যের পেছনে না ছুটে নিজের পথ বেছে নেওয়াটাই সত্যিকারের স্বাধীনতা।


যদি বলা হয়- কঠোর পরিশ্রম ছাড়াও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া সম্ভব, অনেকেই সেটা বিশ্বাস করতে চাইবেন না (উল্টো ধান্দাবাজি মনে করলেও করতে পারেন)! আমরা মনে করি সাফল্য মানেই রক্ত-জল করা খাটুনি। কিন্তু আসল খেলাটা পরিশ্রমের নয়, বরং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সঠিক সুযোগ খুঁজে বের করার- অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দরজা সবার জন্যই উন্মুক্ত, শুধু তালা খোলার সঠিক চাবিটা চিনতে হবে? বেশিরভাগ মানুষ কেন অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পায় না, জানেন? কারণ ছোটবেলা থেকেই টাকা নিয়ে আমাদের মনে এমন সব নেতিবাচক ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় (যেমন : টাকা সব নষ্টের গোড়া)- যার ফলে আমরা অবচেতন মনে টাকাকে ভয় পাই। এই মনস্তাত্ত্বিক বাধা দূর করতে না পারলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা অসম্ভব। অধিকাংশ মানুষ স্ব-উদ্যোগী হয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা না করে অন্যের অধীনে চাকরি করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। চাকরি করতে গিয়ে আমরা মূলত অন্যের স্বপ্ন পূরণে ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং অন্যের তৈরি করা নিয়মে বাকি জীবন কাটিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। অথচ মানুষ চাইলে পরাধীনতার বন্ধন ছিন্ন করে নিজেই নিজের জীবনের স্থপতি হতে পারতো! একটি কঠিন সত্য হলো- যারা আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, তাঁরা প্রায়শ আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কেননা তাঁরা আপনার জন্য সেরাটা চায় না, তাঁরা চায় আপনি নিরাপদ থাকুন। ঝুঁকি বিহীন জীবন মানেই বৃদ্ধিহীন জীবন। সেই কারণে বড় করে স্বপ্ন দেখতে হলে আপনাকে প্রিয়জনদের বেঁধে দেওয়া নিরাপত্তার গণ্ডি ভাঙার সাহস রাখতে হবে। আমি যখন কর্পোরেট চাকরির চক্করে আটকা পড়ে ছিলাম, তখনি লোভনীয় চাকরি ছেড়ে মুক্ত বিক্রয় প্রশিক্ষক হওয়ার ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করিনি। আমার লক্ষ্য ছিল এক দশকের পেশাগত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি নিশ্চিত আয়ের উৎস তৈরি করা। এই ছোট্ট কিন্তু সাহসী পদক্ষেপই পরবর্তীতে আমাকে অনেক বড় অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে..! কিভাবে আপনার প্রথম ব্যবসা কিনবেন? আপনার দক্ষতা ব্যবহার করুন : আপনি যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন, সেই ইন্ডাস্ট্রির কোনো ছোট ব্যবসা ধরার তথা কেনার চেষ্টা করুন। যেমন : আমি একটি মুঠোফোন কোম্পানির বেতন-ভোগী বিক্রয় প্রশিক্ষক ছিলাম। সেটাকেই পরবর্তীতে নিজের স্বাধীন পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছি। আপনি যদি content creator হন, তাহলে একটি ছোট প্রোডাকশন স্টুডিও কেনার কথা ভাবতে পারেন। এতে আপনার সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি জানা, বোঝা ও শেখার পথ আরো সুগম (smooth) হবে। উদ্দেশ্য খুঁজুন : ব্যবসার মালিকের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি কেন ব্যবসাটি বিক্রি বা হাতবদল করতে চান? বেশিরভাগ সময় মালিকেরা তাঁদের দাঁড় করানো ব্যবসা থেকে পরিত্রাণ চান; আপনি তাঁদের সেই মুক্তির উপলক্ষ হতে পারেন? মজার ব্যাপার হলো- টাকা ছাড়াও ব্যবসা কেনা সম্ভব! এটাই আলোচনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যে, ব্যবসা কেনার জন্য আপনার নিজের টাকার প্রয়োজন নেই! বেশিরভাগ ছোট ব্যবসার মালিকরা তাঁদের ব্যবসার জন্য নগদ ক্রেতা খুঁজে পান না? আপনি তাঁদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ লাভের একটি অংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় শূন্য ডাউন পেমেন্টে ব্যবসাটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন (অর্থাৎ ব্যবসার টাকা দিয়েই ব্যবসাকে কেনা যায়)! এবারে বলে দিচ্ছি- কিভাবে প্রথম পদক্ষেপ নেবেন? ব্রেক দ্য ফ্রেম : আপনার যদি তিন বছরের কোনো লক্ষ্য থাকে, নিজেকে প্রশ্ন করুন- কিভাবে এটা দুই বছরে অর্জন করতে পারবো? এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে গতানুগতিক চিন্তার বাইরে বের করে আনবে এবং অসাধারণ সব পরিকল্পনার জন্ম দেবে! কিভাবে নয়, কে : আপনার প্রশ্ন হওয়া উচিত নয়- আমি কিভাবে এটা করবো, বরং প্রশ্ন করুন- কে আমাকে এটা করতে সাহায্য করতে পারে? সঠিক মানুষ খুঁজে বের করাই সাফল্যের দ্রুততম পথ। সফলতার জগতে একটি অদৃশ্য পর্দা আছে, যার আড়ালের খবর সাধারণ মানুষ পায় না? কোটিপতিরা কঠোর পরিশ্রমের চেয়ে মানি গেমস বা টাকার খেলা খেলেই বেশি সম্পদ তৈরি করছেন! আপনার চেয়ে সফল কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করুন, সময় কাটান- এমনকি বিনামূল্যে হলেও। তাঁদের সান্নিধ্যে থেকে আপনি এমন সব কৌশল শিখবেন- যা কোনো বইয়ে লেখা থাকে না বা কোর্সে অংশগ্রহণ করেও জানা সম্ভব নয়। সফল ব্যক্তিদের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো- দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা : তাঁরা তাৎক্ষণিক লাভের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাকে বেশি গুরুত্ব দেন। বড় মিশন : তাঁদের জীবনের লক্ষ্য এতোটাই বড় হয় যে, পথের ছোট ছোট যন্ত্রণা বা ব্যর্থতা তাঁদেরকে দমাতে পারে না। সাহায্যের মানসিকতা : তাঁরা যখন দেখে যে কেউ সত্যিই ক্ষুধার্ত এবং কঠোর পরিশ্রমী, তখন তাঁরা তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। কনটেন্ট তৈরি কেন আপনার জন্য জরুরি? চুম্বকের মতো আকর্ষণ : কনটেন্ট আপনাকে মানুষের কাছে গিয়ে নিজেকে বিক্রি করতে বাধ্য করে না, বরং সঠিক মানুষকে আপনার দিকে টেনে আনে। এটিই হলো push marketing বনাম pool marketing-এর পার্থক্য। নেটওয়ার্কিং-এর সেরা উপায় : কনটেন্ট হলো আধুনিক যুগের নেটওয়ার্কিং। এর মাধ্যমে আপনি আপনার কমিউনিটি খুঁজে পান- যারা আপনার মতো করেই ভাবে এবং আপনাকে সমর্থন করে। সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি বেদনাদায়ক কিন্তু জরুরি অংশ হলো- পুরানো বন্ধু বা পুরানো পরিচয়কে পেছনে ফেলে আসা। আপনি যখন দ্রুতগতিতে এগোতে থাকবেন, তখন আপনার চারপাশের অনেকেই আপনাকে টেনে ধরতে চাইবে, কারণ আপনার সাফল্য তাঁদের নিজেদের ব্যর্থতাকে মনে করিয়ে দেয়। কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন? ডেডলাইন দিন : কোনো একদিন করবো বা কিছুদিন পরে করবো- এই ধরনের অস্পষ্ট লক্ষ্যের কোনো মূল্য নেই। আপনার ক্যালেন্ডারে একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করুন। একটি ডেডলাইন আপনার মস্তিষ্ককে কাজ করতে বাধ্য করবে। স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য : ৫ বা ১০ বছরের পরিকল্পনা না করে ৩-৬ মাসের ছোট ছোট লক্ষ্যের উপর মনোযোগ দিন। জীবন পরিবর্তনশীল এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বেশিরভাগ সময়ই অকেজো হয়ে পড়ে। টাকা নিয়ে আমাদের দর্শন কী হওয়া উচিত?  টাকা জমিয়ে কখনোই ধনী হতে পারবেন না, আপনাকে আয় করে ধনী হতে হবে।  ছোট ছোট খরচ বাঁচিয়ে বড়লোক হওয়ার ধারণাটি একটি মরীচিকা, বরং কিভাবে নিজের আয় বাড়ানো যায়- সেদিকে মনোযোগ দিন।  ফিন্যান্স হলো টাকার ভাষা। যারা এই ভাষা বোঝে, তাঁরাই এই খেলায় জিততে পারেন! জীবনের সবচেয়ে বড় সাহসিকতার পরিচয় হলো- যে পর্বত আপনার নয়, সেই পর্বতে আরোহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া। অন্যের চাপিয়ে দেওয়া লক্ষ্যের পেছনে না ছুটে নিজের পথ বেছে নেওয়াটাই সত্যিকারের স্বাধীনতা।
0 Comments 0 Shares 58 Views
BlackBird Ai
https://bbai.shop