নটরডেম কলেজের এক ভাইকে দেখেছিলাম। পড়াশুনার ধরনটা বলি। কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো। এরপর রাতের ডিনার করে পড়তে বসতো। ড্রয়ারে থাকতো ৩০/৩৫ বিভিন্ন ধরনের কলম। বিভিন্ন ব্রান্ডের অগনিত পেন্সিল। দিস্তা দিস্তা খাতা টেবিলের পাশে রাখা ছিল। কলেজ লেভেলের সবগুলা বই সুন্দর করে বাধাই করে নতুন মলাট করা। প্যাকেট ভর্তি দামী ইরেজার।

এই মানুষটা পড়ত আর লিখতো। লিখতো আর পড়তো। বিরক্ত লাগলে উঠে গোসল করে আবার পড়তে বসতো। এভাবে চলতো সারা রাত। খালি কলমগুলো পড়ে থাকতো টেবিলের পাশে। দিস্তা দিস্তা খাতা শেষ হয়ে টেবিলের নিচে জমতো।

এরকম ভয়ঙ্কর ধরনের পড়াশুনা করেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে সে বুয়েট, ঢাবি, জাবি, রাবি, চবি থেকে শুরু করে কোথাও চান্স পায় নি। আমি আজও হিসাব মেলাতে পারি না কেন সে চান্স পায় নি। কি এমন বাকি ছিল যা সে করে নি? আর কিভাবে পরিশ্রম করলে ভালো করা যেতো? এখন সে কি করে জানেন?

সে কোন পড়াশুনাই করে না। একটা বেসরকারী ভার্সিটি থেকে নামমাত্র ডিগ্রি নিয়ে সে কোন রকমে আছে। আগের সেই তেজ নাই। নটরডেমিয়ান বলে আলাদা কোন ভাবও নাই।

আরেকটা ছেলে।

SSC তে এভারেজ রেজাল্ট।

ইন্টারে এ মাইনাস।

কোন রকমে ওয়েটিং থেকে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে।

এরপরেরটা ইতিহাস। ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড রেজাল্ট।

অনার্সে ফাস্ট। মাস্টার্সে ফাস্ট। বাইরের কোন নামী দামী ক্যাম্পাসে ডক্টরেট করা এখন তার জন্য কোন ইস্যু না। চবিতে এপ্লাইড ফিজিক্সে এক ভাই ছিল। কোন রকমে এসএসসি আর ইন্টারের বাধা পেরিয়ে এখানে এসে এপ্লাইডে ভর্তি হয়েছে। বাকিটা ইতিহাস। ডিপার্টমেন্টে রেজাল্ট 3.89 !!!

(নামটা ভুলে গেছি। কেউ চিনলে আমাকে বলে দিয়েন) আবার এরকমও আছে।

ক্যাম্পাসে সুপার রেজাল্ট। চাকুরীর পরীক্ষায় কোন সফলতা নাই। তিন বছর ধরে বেকার। লোকে এখন সন্দেহ করে ভার্সিটির রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক? দুর্দান্ত মেধা নিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। অথচ মেডিকেলে এখন ফাস্ট ইয়ারই পাস করতে পারে না। অন্যজন কোটা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল মেডিকেলে। এক চান্সেই MBBS পাশ করে ফেলেছে।

এর নাম জীবন।

একবার গ্রাফটা থাকে উপরে। আবার কখনো থাকে তলানীতে। একেবারে তলানী থেকে উঠে আসতে পারে খুব কম মানুষই। কিন্তু যারা উঠে আসে তারা হচ্ছে একেকটা ডায়মন্ড। একেবারে সবার উপরের জায়গাটাই দখল করে। জীবন আপনাকে তলানিতে এই জন্যই ফেলে দেয় যেন আপনি উঠে এসে সেরা জায়গাটা ধরতে পারেন।

ধৈর্য রাখুন।
©
নটরডেম কলেজের এক ভাইকে দেখেছিলাম। পড়াশুনার ধরনটা বলি। কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো। এরপর রাতের ডিনার করে পড়তে বসতো। ড্রয়ারে থাকতো ৩০/৩৫ বিভিন্ন ধরনের কলম। বিভিন্ন ব্রান্ডের অগনিত পেন্সিল। দিস্তা দিস্তা খাতা টেবিলের পাশে রাখা ছিল। কলেজ লেভেলের সবগুলা বই সুন্দর করে বাধাই করে নতুন মলাট করা। প্যাকেট ভর্তি দামী ইরেজার। এই মানুষটা পড়ত আর লিখতো। লিখতো আর পড়তো। বিরক্ত লাগলে উঠে গোসল করে আবার পড়তে বসতো। এভাবে চলতো সারা রাত। খালি কলমগুলো পড়ে থাকতো টেবিলের পাশে। দিস্তা দিস্তা খাতা শেষ হয়ে টেবিলের নিচে জমতো। এরকম ভয়ঙ্কর ধরনের পড়াশুনা করেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে সে বুয়েট, ঢাবি, জাবি, রাবি, চবি থেকে শুরু করে কোথাও চান্স পায় নি। আমি আজও হিসাব মেলাতে পারি না কেন সে চান্স পায় নি। কি এমন বাকি ছিল যা সে করে নি? আর কিভাবে পরিশ্রম করলে ভালো করা যেতো? এখন সে কি করে জানেন? সে কোন পড়াশুনাই করে না। একটা বেসরকারী ভার্সিটি থেকে নামমাত্র ডিগ্রি নিয়ে সে কোন রকমে আছে। আগের সেই তেজ নাই। নটরডেমিয়ান বলে আলাদা কোন ভাবও নাই। আরেকটা ছেলে। SSC তে এভারেজ রেজাল্ট। ইন্টারে এ মাইনাস। কোন রকমে ওয়েটিং থেকে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে। এরপরেরটা ইতিহাস। ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড রেজাল্ট। অনার্সে ফাস্ট। মাস্টার্সে ফাস্ট। বাইরের কোন নামী দামী ক্যাম্পাসে ডক্টরেট করা এখন তার জন্য কোন ইস্যু না। চবিতে এপ্লাইড ফিজিক্সে এক ভাই ছিল। কোন রকমে এসএসসি আর ইন্টারের বাধা পেরিয়ে এখানে এসে এপ্লাইডে ভর্তি হয়েছে। বাকিটা ইতিহাস। ডিপার্টমেন্টে রেজাল্ট 3.89 !!! (নামটা ভুলে গেছি। কেউ চিনলে আমাকে বলে দিয়েন) আবার এরকমও আছে। ক্যাম্পাসে সুপার রেজাল্ট। চাকুরীর পরীক্ষায় কোন সফলতা নাই। তিন বছর ধরে বেকার। লোকে এখন সন্দেহ করে ভার্সিটির রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক? দুর্দান্ত মেধা নিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। অথচ মেডিকেলে এখন ফাস্ট ইয়ারই পাস করতে পারে না। অন্যজন কোটা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল মেডিকেলে। এক চান্সেই MBBS পাশ করে ফেলেছে। এর নাম জীবন। একবার গ্রাফটা থাকে উপরে। আবার কখনো থাকে তলানীতে। একেবারে তলানী থেকে উঠে আসতে পারে খুব কম মানুষই। কিন্তু যারা উঠে আসে তারা হচ্ছে একেকটা ডায়মন্ড। একেবারে সবার উপরের জায়গাটাই দখল করে। জীবন আপনাকে তলানিতে এই জন্যই ফেলে দেয় যেন আপনি উঠে এসে সেরা জায়গাটা ধরতে পারেন। ধৈর্য রাখুন। ©
0 Comments 0 Shares 13 Views
BlackBird Ai
https://bbai.shop