বাংলাদেশি বিজ্ঞানী প্রমিত ঘোষ,,,,

[প্রমিত ঘোষ তার উচ্চশিক্ষার প্রথম ধাপ পূরণ করেছেন বুয়েট (BUET)-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, যার ভিত্তিতেই তার গবেষণাকে তিনি শক্তিশালী করেছেন ।

এরপর তিনি পিএইচডি করেছেন Penn State University-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে।]

যেই গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলে আলোড়ন তুলেছেন, তার মূল বিষয় ছিল:

Nonreciprocal Thermal Radiation — অর্থাৎ "অপ্রতিসম তাপ বিকিরণ"।

এই গবেষণাটি ১৬৫ বছরের পুরনো পদার্থবিজ্ঞানের একটি মূল সূত্র Kirchhoff's Law of Thermal Radiation-কে চ্যালেঞ্জ করেছে।

গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি পদার্থ বা বস্তু তৈরি করা, যা একদিকে থেকে তাপ বিকিরণ বেশি করবে কিন্তু সেই দিকে তাপ শোষণ করবে কম — অর্থাৎ nonreciprocal (অপ্রতিসম) আচরণ করবে।

Kirchhoff-এর সূত্র বলে —

"যে বস্তু যতটা তাপ বিকিরণ করে, ঠিক ততটাই সে তাপ শোষণ করে।"

এই সূত্র চিরকাল সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রমিত ঘোষ ও তার দল এই ধারনাটিকে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

কিভাবে গবেষণা করা হয়:

1. মেটামেটেরিয়াল তৈরি:

প্রমিত ঘোষের দল একটি পাঁচ স্তরবিশিষ্ট পাতলা ফিল্ম (thin-film) তৈরি করেন, যা বিশেষভাবে ডিজাইন করা ছিল এমনভাবে, যেন সেটা তাপের নির্গমন একদিকে বেশি করে — কিন্তু বিপরীত দিকে কম।

2. চুম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার:

তাপ বিকিরণকে "অপ্রতিসম" করতে তারা চুম্বকীয় ক্ষেত্র (Magnetic Field) ব্যবহার করেন। এটি বস্তুটির তাপ বিকিরণ গুণকে পরিবর্তন করে, যাতে একদিকে emission বাড়ে কিন্তু absorption বাড়ে না।

3. নতুন যন্ত্র আবিষ্কার:

তারা "Magnetic Thermal Spectrophotometer" নামে একটি নতুন যন্ত্র তৈরি করেন, যেটি এমন অপ্রতিসম তাপ বিকিরণ সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারে। এটাই ছিল প্রথম এই ধরনের যন্ত্র।

এটি আধুনিক থার্মোডাইনামিক্সে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

ভবিষ্যতে তাপ নির্গমন নিয়ন্ত্রণযোগ্য হবে — যা ব্যবহার হতে পারে:

স্পেস টেকনোলজিতে (NASA, Satellites)

থার্মাল ক্যামেরা ও সেন্সরে

এনার্জি হারভেস্টিং ও তাপ ব্যবস্থাপনায়।

Nusrat Chowdhury
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী প্রমিত ঘোষ,,,, 🙂 [প্রমিত ঘোষ তার উচ্চশিক্ষার প্রথম ধাপ পূরণ করেছেন বুয়েট (BUET)-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, যার ভিত্তিতেই তার গবেষণাকে তিনি শক্তিশালী করেছেন । এরপর তিনি পিএইচডি করেছেন Penn State University-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে।] যেই গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলে আলোড়ন তুলেছেন, তার মূল বিষয় ছিল: Nonreciprocal Thermal Radiation — অর্থাৎ "অপ্রতিসম তাপ বিকিরণ"। এই গবেষণাটি ১৬৫ বছরের পুরনো পদার্থবিজ্ঞানের একটি মূল সূত্র Kirchhoff's Law of Thermal Radiation-কে চ্যালেঞ্জ করেছে। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি পদার্থ বা বস্তু তৈরি করা, যা একদিকে থেকে তাপ বিকিরণ বেশি করবে কিন্তু সেই দিকে তাপ শোষণ করবে কম — অর্থাৎ nonreciprocal (অপ্রতিসম) আচরণ করবে। Kirchhoff-এর সূত্র বলে — "যে বস্তু যতটা তাপ বিকিরণ করে, ঠিক ততটাই সে তাপ শোষণ করে।" এই সূত্র চিরকাল সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রমিত ঘোষ ও তার দল এই ধারনাটিকে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ⚙️ কিভাবে গবেষণা করা হয়: 1. মেটামেটেরিয়াল তৈরি: প্রমিত ঘোষের দল একটি পাঁচ স্তরবিশিষ্ট পাতলা ফিল্ম (thin-film) তৈরি করেন, যা বিশেষভাবে ডিজাইন করা ছিল এমনভাবে, যেন সেটা তাপের নির্গমন একদিকে বেশি করে — কিন্তু বিপরীত দিকে কম। 2. চুম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার: তাপ বিকিরণকে "অপ্রতিসম" করতে তারা চুম্বকীয় ক্ষেত্র (Magnetic Field) ব্যবহার করেন। এটি বস্তুটির তাপ বিকিরণ গুণকে পরিবর্তন করে, যাতে একদিকে emission বাড়ে কিন্তু absorption বাড়ে না। 3. নতুন যন্ত্র আবিষ্কার: তারা "Magnetic Thermal Spectrophotometer" নামে একটি নতুন যন্ত্র তৈরি করেন, যেটি এমন অপ্রতিসম তাপ বিকিরণ সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারে। এটাই ছিল প্রথম এই ধরনের যন্ত্র। এটি আধুনিক থার্মোডাইনামিক্সে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ভবিষ্যতে তাপ নির্গমন নিয়ন্ত্রণযোগ্য হবে — যা ব্যবহার হতে পারে: স্পেস টেকনোলজিতে (NASA, Satellites) থার্মাল ক্যামেরা ও সেন্সরে এনার্জি হারভেস্টিং ও তাপ ব্যবস্থাপনায়। Nusrat Chowdhury
0 Comments 0 Shares 11 Views
BlackBird Ai
https://bbai.shop