থরের হাতুড়ি মিওলনিরের নাম শুনলেই মনে হয় বজ্রের মতো আকাশ কাঁপানো এক দেবতুল্য অস্ত্র, যার গায়ে কেউ হাত দিতেও সাহস পায় না। কিন্তু অবাক করার মতো সত্য হলো, এই শক্তিশালী হাতিয়ার আসলে জন্ম নিয়েছিল এক দুষ্টু বুদ্ধির ফলস্বরূপ। আর সেই কূটবুদ্ধির দেবতা ছিলেন থরের ভাই, লোকি।
এক রাতে থর ও তার স্ত্রী সিফ গভীর ঘুমে। ঠিক তখনই মদ্যপ অবস্থায় লোকির মাথায় আসে এক দুষ্টু খেয়াল। সিফের সোনালী লম্বা চুল কেটে দিলে নাকি খুব মজা হবে! চুপিচুপি ঘরে ঢুকে সিফের চুল একেবারে গোড়া থেকে কেটে দেন লোকি। সকালে সিফকে দেখে থর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এমন কাণ্ড একমাত্র লোকিই করতে পারে, তা বুঝে তিনি লোকির গলা চেপে ধরেন। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে লোকি স্বীকার করেন—চুল আর ফেরত আনা সম্ভব নয়। তখন থরের হুমকি, “চুল না ফেরালে, হাড় ভেঙে গুড়িয়ে দেব!”
প্রাণ বাঁচাতে লোকি ছুটে যান ইভালডির দুই বামন পুত্রের কাছে। তাদের বোঝান—ব্রক ও ইত্রি নাকি তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কামার। এতে ইভালডির সন্তানরা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। বানায় সিফের সোনালী চুল, ওডিনের জন্য গুংগির বর্শা, আর ফ্রের জন্য ভাঁজযোগ্য জাহাজ স্কিডব্লাডনির।
লোকি এবার যায় ব্রক ও ইত্রির কাছে। তাদেরও একইভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টেনে আনেন। তবে শর্ত রাখে তারা—জিতলে লোকির মাথা কেটে নিতে পারবে।
ভয়ানক ফাঁদে পড়ে যায় লোকি। একদিকে থরের রাগ, অন্যদিকে নিজের মাথা খোয়ানোর ভয়। কিন্তু হাল ছাড়েন না। মাছির রূপ ধরে গিয়ে ইত্রির কাজ নষ্ট করার চেষ্টা করেন। ব্রকের ঘাড়ে, চোখে বারবার কামড় দেন। কিন্তু ব্রক নিজের সব যন্ত্রণা সহ্য করে হাপর চালাতে থাকেন।
শেষমেশ ব্রক ও ইত্রির তিনটি জিনিস তৈরি হয়—ড্রুপনির নামক আংটি, আলো ছড়ানো স্বর্ণের শুকর, আর একটি ছোট হাতলের শক্তিশালী হাতুড়ি। এই হাতুড়িই পরে হয়ে ওঠে থরের মিওলনির।
দেবতারা বিচার করেন উপহারগুলো। যদিও মিওলনির হাতল ছোট, কিন্তু তার ক্ষমতা—কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট না হওয়া, ফিরে আসা, রূপ পরিবর্তন ও অবিনাশিতা—সবাইকে মুগ্ধ করে। ওডিন ঘোষণা দেন, বিজয়ী ব্রক ও ইত্রির দল।
এবার লোকির মাথা কাটার পালা। কিন্তু চতুর লোকি জানিয়ে দেয়, শর্ত ছিল “মাথা”, “গলা” নয়। গলা কাটা যাবে না! ওডিন এই দাবিকে বৈধ ঘোষণা করেন। ব্রক ক্ষিপ্ত হয়ে লোকির ঠোঁট সেলাই করে দেন, যেন ভবিষ্যতে সে আর কেউকে প্রতারণা করতে না পারে।
এইভাবেই এক দুষ্টুমির ফসল হয়ে উঠে আসে মিওলনির, যা পরবর্তীতে অ্যাসগার্ডের প্রতিরক্ষা আর থরের প্রতীক হয়ে ওঠে। আর লোকি? সে হয়ে ওঠে গল্পের সেই ‘অপরিহার্য সমস্যা’, যার হাতেই জন্ম নেয় অসাধারণ সমাধান।
এক রাতে থর ও তার স্ত্রী সিফ গভীর ঘুমে। ঠিক তখনই মদ্যপ অবস্থায় লোকির মাথায় আসে এক দুষ্টু খেয়াল। সিফের সোনালী লম্বা চুল কেটে দিলে নাকি খুব মজা হবে! চুপিচুপি ঘরে ঢুকে সিফের চুল একেবারে গোড়া থেকে কেটে দেন লোকি। সকালে সিফকে দেখে থর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এমন কাণ্ড একমাত্র লোকিই করতে পারে, তা বুঝে তিনি লোকির গলা চেপে ধরেন। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে লোকি স্বীকার করেন—চুল আর ফেরত আনা সম্ভব নয়। তখন থরের হুমকি, “চুল না ফেরালে, হাড় ভেঙে গুড়িয়ে দেব!”
প্রাণ বাঁচাতে লোকি ছুটে যান ইভালডির দুই বামন পুত্রের কাছে। তাদের বোঝান—ব্রক ও ইত্রি নাকি তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কামার। এতে ইভালডির সন্তানরা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। বানায় সিফের সোনালী চুল, ওডিনের জন্য গুংগির বর্শা, আর ফ্রের জন্য ভাঁজযোগ্য জাহাজ স্কিডব্লাডনির।
লোকি এবার যায় ব্রক ও ইত্রির কাছে। তাদেরও একইভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টেনে আনেন। তবে শর্ত রাখে তারা—জিতলে লোকির মাথা কেটে নিতে পারবে।
ভয়ানক ফাঁদে পড়ে যায় লোকি। একদিকে থরের রাগ, অন্যদিকে নিজের মাথা খোয়ানোর ভয়। কিন্তু হাল ছাড়েন না। মাছির রূপ ধরে গিয়ে ইত্রির কাজ নষ্ট করার চেষ্টা করেন। ব্রকের ঘাড়ে, চোখে বারবার কামড় দেন। কিন্তু ব্রক নিজের সব যন্ত্রণা সহ্য করে হাপর চালাতে থাকেন।
শেষমেশ ব্রক ও ইত্রির তিনটি জিনিস তৈরি হয়—ড্রুপনির নামক আংটি, আলো ছড়ানো স্বর্ণের শুকর, আর একটি ছোট হাতলের শক্তিশালী হাতুড়ি। এই হাতুড়িই পরে হয়ে ওঠে থরের মিওলনির।
দেবতারা বিচার করেন উপহারগুলো। যদিও মিওলনির হাতল ছোট, কিন্তু তার ক্ষমতা—কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট না হওয়া, ফিরে আসা, রূপ পরিবর্তন ও অবিনাশিতা—সবাইকে মুগ্ধ করে। ওডিন ঘোষণা দেন, বিজয়ী ব্রক ও ইত্রির দল।
এবার লোকির মাথা কাটার পালা। কিন্তু চতুর লোকি জানিয়ে দেয়, শর্ত ছিল “মাথা”, “গলা” নয়। গলা কাটা যাবে না! ওডিন এই দাবিকে বৈধ ঘোষণা করেন। ব্রক ক্ষিপ্ত হয়ে লোকির ঠোঁট সেলাই করে দেন, যেন ভবিষ্যতে সে আর কেউকে প্রতারণা করতে না পারে।
এইভাবেই এক দুষ্টুমির ফসল হয়ে উঠে আসে মিওলনির, যা পরবর্তীতে অ্যাসগার্ডের প্রতিরক্ষা আর থরের প্রতীক হয়ে ওঠে। আর লোকি? সে হয়ে ওঠে গল্পের সেই ‘অপরিহার্য সমস্যা’, যার হাতেই জন্ম নেয় অসাধারণ সমাধান।
থরের হাতুড়ি মিওলনিরের নাম শুনলেই মনে হয় বজ্রের মতো আকাশ কাঁপানো এক দেবতুল্য অস্ত্র, যার গায়ে কেউ হাত দিতেও সাহস পায় না। কিন্তু অবাক করার মতো সত্য হলো, এই শক্তিশালী হাতিয়ার আসলে জন্ম নিয়েছিল এক দুষ্টু বুদ্ধির ফলস্বরূপ। আর সেই কূটবুদ্ধির দেবতা ছিলেন থরের ভাই, লোকি।
এক রাতে থর ও তার স্ত্রী সিফ গভীর ঘুমে। ঠিক তখনই মদ্যপ অবস্থায় লোকির মাথায় আসে এক দুষ্টু খেয়াল। সিফের সোনালী লম্বা চুল কেটে দিলে নাকি খুব মজা হবে! চুপিচুপি ঘরে ঢুকে সিফের চুল একেবারে গোড়া থেকে কেটে দেন লোকি। সকালে সিফকে দেখে থর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এমন কাণ্ড একমাত্র লোকিই করতে পারে, তা বুঝে তিনি লোকির গলা চেপে ধরেন। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে লোকি স্বীকার করেন—চুল আর ফেরত আনা সম্ভব নয়। তখন থরের হুমকি, “চুল না ফেরালে, হাড় ভেঙে গুড়িয়ে দেব!”
প্রাণ বাঁচাতে লোকি ছুটে যান ইভালডির দুই বামন পুত্রের কাছে। তাদের বোঝান—ব্রক ও ইত্রি নাকি তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কামার। এতে ইভালডির সন্তানরা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। বানায় সিফের সোনালী চুল, ওডিনের জন্য গুংগির বর্শা, আর ফ্রের জন্য ভাঁজযোগ্য জাহাজ স্কিডব্লাডনির।
লোকি এবার যায় ব্রক ও ইত্রির কাছে। তাদেরও একইভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টেনে আনেন। তবে শর্ত রাখে তারা—জিতলে লোকির মাথা কেটে নিতে পারবে।
ভয়ানক ফাঁদে পড়ে যায় লোকি। একদিকে থরের রাগ, অন্যদিকে নিজের মাথা খোয়ানোর ভয়। কিন্তু হাল ছাড়েন না। মাছির রূপ ধরে গিয়ে ইত্রির কাজ নষ্ট করার চেষ্টা করেন। ব্রকের ঘাড়ে, চোখে বারবার কামড় দেন। কিন্তু ব্রক নিজের সব যন্ত্রণা সহ্য করে হাপর চালাতে থাকেন।
শেষমেশ ব্রক ও ইত্রির তিনটি জিনিস তৈরি হয়—ড্রুপনির নামক আংটি, আলো ছড়ানো স্বর্ণের শুকর, আর একটি ছোট হাতলের শক্তিশালী হাতুড়ি। এই হাতুড়িই পরে হয়ে ওঠে থরের মিওলনির।
দেবতারা বিচার করেন উপহারগুলো। যদিও মিওলনির হাতল ছোট, কিন্তু তার ক্ষমতা—কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট না হওয়া, ফিরে আসা, রূপ পরিবর্তন ও অবিনাশিতা—সবাইকে মুগ্ধ করে। ওডিন ঘোষণা দেন, বিজয়ী ব্রক ও ইত্রির দল।
এবার লোকির মাথা কাটার পালা। কিন্তু চতুর লোকি জানিয়ে দেয়, শর্ত ছিল “মাথা”, “গলা” নয়। গলা কাটা যাবে না! ওডিন এই দাবিকে বৈধ ঘোষণা করেন। ব্রক ক্ষিপ্ত হয়ে লোকির ঠোঁট সেলাই করে দেন, যেন ভবিষ্যতে সে আর কেউকে প্রতারণা করতে না পারে।
এইভাবেই এক দুষ্টুমির ফসল হয়ে উঠে আসে মিওলনির, যা পরবর্তীতে অ্যাসগার্ডের প্রতিরক্ষা আর থরের প্রতীক হয়ে ওঠে। আর লোকি? সে হয়ে ওঠে গল্পের সেই ‘অপরিহার্য সমস্যা’, যার হাতেই জন্ম নেয় অসাধারণ সমাধান।
